ঢাকা, সোমবার   ২১ এপ্রিল ২০২৫

Ekushey Television Ltd.

ইউনেসকোর বিশ্ব সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের তালিকায় ঢাকার রিকশা ও রিকশাচিত্র

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৯:৩৮, ৬ ডিসেম্বর ২০২৩ | আপডেট: ১৯:৩৯, ৬ ডিসেম্বর ২০২৩

Ekushey Television Ltd.

বাংলাদেশের অন্যতম ঐতিহ্যবাহী যানবাহন রিকশা ইউনেস্কোর সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের স্বীকৃতি পেয়েছে। জাতিসংঘের শিক্ষা, সংস্কৃতি ও বিজ্ঞানবিষয়ক এই সংস্থা আজ বুধবার বিকেলে তার এক্সে (সাবেক টুইটার) দেওয়া এক পোস্টের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে এই স্বীকৃতির কথা জানিয়েছে।

দক্ষিণ আফ্রিকার দেশ বতসোয়ানায় ইউনেস্কোর স্পর্শাতীত সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যবিষয়ক আন্তরাষ্ট্রীয় কমিটির (ইন্টার গভর্নমেন্টাল কমিটি অন ইনট্যানজিবল হেরিটেজ) ১৮তম সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সভায় ফ্রান্সে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ও ইউনেস্কোতে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি খন্দকার এম তালহা এবং ফ্রান্সে বাংলাদেশ দূতাবাসের ফার্স্ট সেক্রেটারি (রাজনীতি) মো. ওয়ালিদ বিন কাশেম উপস্থিত ছিলেন।

তাঁরা ঢাকার রিকশা ও রিকশা পেইন্টিংকে সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য করার পক্ষে যুক্তি ও তথ্য-উপাত্ত তুলে ধরেন।

এর আগে ২০০৮ সালে বাউলসংগীত, ২০১৩ সালে জামদানি শাড়ি ও ২০১৬ সালে মঙ্গল শোভাযাত্রা ইউনেসকোর স্পর্শাতীত সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়। ২০১৭ সালে বাংলাদেশের শীতল পাটিকে বিশ্ব ঐতিহ্যের ঘোষণা দেয় জাতিসংঘের শিক্ষা ও সংস্কৃতিবিষয়ক সংস্থা ইউনেসকো। 

চলতি বছর ‘ঢাকার রিকশা ও রিকশাচিত্রে’র আবেদনপত্রটি বাংলা একাডেমির মাধ্যমে ইউনেস্কোর কাছে জমা দেওয়া হয়।

আজ বুধবার আনুষ্ঠানিকভাবে সেটিও স্বীকৃতি পায়।

বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা কালের কণ্ঠকে জানান, বিগত তিন বছর ধরে রিকশাকে ইউনেস্কোর সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের স্বীকৃতির জন্য কাজ করে আসছিল বাংলাদেশ। সর্বশেষ চলতি বছরের জানুয়ারিতে চূড়ান্ত আবেদন করা হয়। 

ইউনেস্কোর এই স্বীকৃতির সুফল কী হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এর মাধ্যমে রিকশাচিত্রের প্রতি বিশ্বের মনোযোগ আকর্ষণ হবে।

শিল্পকলার একটি স্বতন্ত্র ধারা হিসেবে বিশ্বব্যাপী রিকশাচিত্র চর্চিত হবে এখন। সামাজিক, সাংস্কৃতিক লাভের পাশাপাশি এর সঙ্গে একটি অর্থনৈতিক অর্জনও যুক্ত হবে।

গতবছর সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে ও প্যারিসস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের সহযোগিতায় রিকশাচিত্রের স্বীকৃতির আবেদনের সম্পূর্ণ নথিটি নতুনভাবে প্রস্তুত করা হয় জানিয়ে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ ও সচিব খলিল আহমদ এ অর্জনকে বাংলাদেশের জন্য বিরল সম্মান হিসাবে অভিহিত করেছেন। তারা নিবন্ধন ও স্বীকৃতি প্রক্রিয়ায় অগ্রণী ভূমিকা পালনের জন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বাংলা একাডেমি, জাতীয় জাদুঘর ও প্যারিসস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।

কেআই//

 


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি