ইতিহাস কেউ মুছে ফেলতে পারে না : প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ইতিহাস কেউ মুছে ফেলতে পারে না। যেন বারবার ফিরে ফিরে আসে। রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ৭ মার্চ উপলক্ষ্যে আজ বুধবার আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথির  বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

১৯৭১ সালের ৭ মার্চ তৎকালীন রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমান সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) এক ঐতিহাসিক ভাষণ দেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। পাক বাহিনীর বিরুদ্ধে সশস্ত্র সংগ্রামের আহ্বান জানিয়ে বঙ্গবন্ধুর দেওয়া সেই ভাষণটিকে ‘মেমরি অব দ্য ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ’ হিসেবে স্বীকৃতি দেয় ইউনেস্কো।

বক্তব্যের এক পর্যায়ে দেশের স্বাধীনতায় যারা বঙ্গবন্ধুর অবদানকে অস্বীকার করে তাদেরকে সতর্ক করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ইতিহাসও প্রতিশোধ নেয়। ইতিহাস কেউ নিশ্চিহ্ন করতে পারে না। জাতিসংঘের প্রামাণ্য দলিলে এই ভাষণ স্বীকৃতি পেয়েছে। ইউনেস্কো এই স্বীকৃতি দিয়েছে।

এসময় বঙ্গবন্ধুর ভাষণের তাৎপর্য উল্লেখ করে তিনি বলেন, গত আড়াই হাজার বছরে যত ভাষণ পাওয়া যায় তার মধ্যে থেকে ৪১টি ভাষণকে তালিকাভুক্ত করা হয়। আর সেখান থেকেই সেরা ভাষণ হিসেবে স্বীকৃতি পায় বঙ্গবন্ধুর ভাষণ। ভাষণটি লিখিত ছিল না। সেটি ছিল জাতির পিতার সম্পূর্ণ মনের কথা। যে ভাষণের মধ্যে দিয়ে সংগ্রামের ইতিহাস, অত্যাচারের ইতিহাস, পাকিস্তানি শাসকদের অত্যাচার যেমন উঠে এসেছে তেমনি মুক্তিযুদ্ধের জন্য কী কী করণীয় সেগুলোও তিনি তুলে ধরেছেন।

তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুর এই ভাষণের আবেদন কোনো দিন শেষ হবে না। এক সময় প্রতিদিন এই ভাষণ বাজানো হত। কিন্তু সেই জাতির পিতার নামটাই মুছে ফেলার চেষ্টা করা হয়েছিল।

মুক্তিযুদ্ধের আগের সময়ের প্রেক্ষাপটের কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, সেই সময় পাকিস্তানের করাচিতে বসে ইয়াহিয়া ফরমান জারি করতো। আর অন্য দিকে ধানমন্ডির ৩২ নম্বর থেকে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ যে নির্দেশ দিত দেশবাসী তাই মেনে চলত। বঙ্গবন্ধুর নির্দেশ অক্ষরে অক্ষরে পালন করতো তারা।

বক্তব্যের এক পর্যায়ে আগামী ২০১৯ নির্বাচনে আবারও আওয়ামী লীগকে নির্বাচিত করতে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, যে দেশের স্বাধীনতা বিরোধীরা ক্ষমতায় আসে সেদশের উন্নয়ন কেমন করে হবে? জেনারেল জিয়া, এরশাদ, খালেদা জিয়া ক্ষমতায় থেকে কী উন্নয়ন করেছে দেশের? কীভাবে করবেন তারা তো এই দেশের স্বাধীনতায় বিশ্বাসই করে না!

এসএইচ/