ইতিহাসের সর্বোচ্চ রেমিটেন্স এসেছে মে মাসে
প্রকাশিত : ১৭:৪৬, ৮ জুন ২০১৯ | আপডেট: ১৭:৫২, ৮ জুন ২০১৯
প্রবাস থেকে গত মে মাসে রেমিটেন্স এসেছে ১৭৫ কোটি ৫৮ লাখ ডলার। যা বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রতি মাসের হিসাবে সর্বোচ্চ। টাকায় অংকে যার পরিমাণ ১৪ হাজার ৮৩৫ কোটি টাকা।
বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা যায়, এর আগে সর্বোচ্চ রেমিটেন্স এসেছিল চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে, ১৫৯ কোটি ৭২ লাখ ডলার।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, সবচেয়ে বেশি প্রবাসী আয় এসেছে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে। এরপরই রয়েছে ডাচ-বাংলা, অগ্রণী ও সোনালী ব্যাংক।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য মতে, চলতি ২০১৮-১৯ অর্থবছরের ১১ মাসে (জুলাই-মে) রেমিট্যান্স এসেছে ১ হাজার ৫০৬ কোটি ডলার; গত অর্থবছরের তুলনায় ১০.৭৫ শতাংশ বেশি। গত অর্থবছরের প্রথম ১১ মাসে দেশে আসা রেমিট্যান্সের পরিমাণ ছিল ১ হাজার ৪৯৮ কোটি ডলার, যা ২০১৬-১৭ অর্থবছরের তুলনায় ১৭.৩২ শতাংশ বেশি।
কেন্দ্রিয় ব্যাংক সূত্রে জানা যায়, প্রবাসীরা ২০১০-১১ অর্থবছরে ১ হাজার ১৬৫ কোটি, ২০১১-১২ অর্থবছরে ১ হাজার ২৮৪ কোটি ৩৪ লাখ, ২০১২-১৩ অর্থবছরে ১ হাজার ৪৪৬ কোটি ১১ লাখ ও ২০১৩-১৪ অর্থবছরে ১ হাজার ৪২২ কোটি ৮২ লাখ ডলার রেমিট্যান্স দেশে পাঠান।
বাংলাদেশের ইতিহাসে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি রেমিট্যান্স আসে ২০১৪-১৫ অর্থবছরে। ওই বছর প্রবাসীরা ১ হাজার ৫৩১ কোটি ৬৯ লাখ ডলার মূল্যের অর্থ পাঠিয়েছেন। এর পর ২০১৫-১৬ অর্থবছরে রেমিট্যান্সপ্রবাহ কমে ১ হাজার ৪৯৩ কোটি ১১ লাখ ডলারে নেমে আসে। ২০১৬-১৭ অর্থবছরে ১ হাজার ২৭৬ কোটি ৯৪ লাখ ও ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ১ হাজার ৪৯৮ কোটি ডলার রেমিট্যান্স আসে। আর চলতি অর্থবছরের নয় মাসে রেমিট্যান্স এসেছে ১ হাজার ১৮৬ কোটি ডলার।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, হুন্ডি ঠেকাতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নানা পদক্ষেপ ও স্থানীয় বাজারে ডলারের তেজি ভাবের কারণে রেমিট্যান্সের প্রবাহ ধারাবাহিকভাবে বাড়ছে। আর মে মাসে রোজা ও ঈদ উপলক্ষে প্রবাসীরা পরিবার-পরিজনের কাছে বেশি অর্থ পাঠিয়েছেন।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্যমতে, মে মাসের প্রথম ২৪ দিনে রেমিট্যান্স এসেছে ১৩৫ কোটি ৫ লাখ ডলার। দেশের ৫৭টি ব্যাংকের মাধ্যমে এ রেমিট্যান্স আসে। রেমিট্যান্সের এ প্রবৃদ্ধিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভের স্থিতিও সন্তোষজনক। সর্বশেষ রিজার্ভের পরিমাণ রয়েছে ৩১.৪০ বিলিয়ন ডলার।
তথ্য মতে, মে মাসে এসেছে ১৭৫ কোটি ৫৭ লাখ ডলার। এপ্রিলে এসেছিল ১৪৩ কোটি ডলার, মার্চে ১৪৫ কোটি ডলার। আর চলতি বছরের জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারিতে এসেছিল যথাক্রমে ১৫৯ কোটি ও ১৩১ কোটি ডলার। ফলে চলতি অর্থবছরের ১১ মাসে দেশে প্রবাসী আয় এসেছে ১ হাজার ৫০৬ কোটি ডলার।
এসএ/
আরও পড়ুন