ইদ্রিছ আলীর মুক্তিযুদ্ধ সনদ নিয়ে নানা প্রশ্ন!
প্রকাশিত : ২২:১৬, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৩
ইদ্রিছ আলী, সাবেক শিক্ষা ক্যাডার কর্মকর্তা। তিনি একজন নাবালক মুক্তিযোদ্ধা। মাত্র আট বছর বয়সে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছেন মর্মে মুক্তিযোদ্ধা সার্টিফিকেট নিয়েছেন। তিনি কোন সেক্টরে এবং কার অধীনে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন তা অজ্ঞাত। ফলে সময়ের দাবি, তাঁর মুক্তিযুদ্ধ সনদ সঠিক কিনা তার পরীক্ষা করে দেখা প্রয়োজন। এ ধরণের মুক্তিযোদ্ধা প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের লজ্জিত করে।
বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াকালীন লজিং ছিলেন ইদ্রিছ আলী। সেখানে নিজের এক ছাত্রীর সাথে অনৈতিক সম্পর্ক ধরা পড়লে প্রথমে সকলের সামনে অপমান করা হয় তাঁকে। পরবর্তীতে ওই ছাত্রীকে বিয়ে করতে বাধ্য হন তিনি। চট্টগ্রাম কলেজে চাকরিকালীন ছাত্রশিবিরের রাজত্বকালে তিনি হল টিউটর ছিলেন। তখন তাঁর সাথে শিবিরের ছাত্রদের সখ্যতা শিক্ষক মহলে আলোচনার বিষয় ছিল। তিনি শিক্ষক হয়েও পাবলিক পরীক্ষা পদ্ধতি সম্পর্কে একজন জ্ঞান পাপী। তিনি পাবলিক পরীক্ষা পদ্ধতি নিয়ে জনমনে বিভ্রান্তি ছড়ান। পাবলিক পরীক্ষা পদ্ধতি এমন যে, যেখানে কারো পক্ষেই উত্তরপত্র চিহ্নিত করা সম্ভব নয় সেখানে কোনো পরীক্ষার্থীর উত্তরপত্র শিক্ষার্থীর ঘরে নিয়ে আসার আষাঢ়ে গল্প মানুষের মনে পরীক্ষা পদ্ধতি নিয়ে বিভ্রান্তি তৈরি করে, যা পুরো পরীক্ষা ব্যবস্থাপনাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে। যেমনি প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে আছে তাঁর মুক্তিযোদ্ধা হওয়ার গল্প। এসব কুলাঙ্গাররা অন্যের সৎ ও ন্যায়পরায়ন কাজে প্রতিনিয়ত জ্বলতে থাকে। জ্ঞানী-গুণী, বয়োজেষ্ঠ কেউ রেহাই পায়নি তার টিটকারি থেকে। চলুন এসমস্ত কুলাঙ্গারদের সকলে ধিক্কার জানাই।
ইদ্রিছ আলীর চাকরি মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে দেশের স্বনামধন্য শিক্ষাবিদ ও বুদ্ধিজীবী ড. অনুপম সেনের কাছে যান এবং তাঁর চাকরির মেয়াদ বাড়ানোর জন্য মন্ত্রণালয়ে সুপারিশ করেন। তখন ড. অনুপম সেনের কাছে তিনি নিজেকে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে পরিচয় দেন। ড. অনুপম সেন ওই সময় তাঁর বয়স জানতে চেয়েছিলেন। হিসাব কষে জানা গেল, তিনি আট বছর বয়সে মুক্তিযুদ্ধ অংশ নেন, যা নজিরবিহীন ঘটনা! কিন্তু মহান একাত্তরে হাজার হাজার কিশোরের মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেওয়া এবং বীরত্বের অনেক কাহিনী বর্ণিত আছে। কিন্তু কোনো শিশু মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছে এমন নজির নেই। শিশু বয়সে ইদ্রিছ আলীর মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেওয়ার গল্প বিশ্বাসযোগ্য না হওয়ায় তাঁকে ড. অনুপম সেন রুম থেকে চলে যেতে বলেন। এরপর তিনি অনুপম সেনকে কটাক্ষ করে ফেসবুকে পোস্ট দেন। তাঁর অসংখ্য পোস্ট কাটাক্ষমূলক, যা সাইবার অপরাধ। কিন্তু সাইবার আইনে কেউ এখনো পর্যন্ত তাঁর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেয়নি। ফলে তিনি বেপরোয়া হয়ে ওঠেন।
আরও পড়ুন