ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪

ইনজেকশনের মাধ্যমে নেওয়া মাদকে হৃদরোগের ঝুঁকি বেশি : গবেষণা

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৯:১৮, ৩০ এপ্রিল ২০১৮

ইনজেকশনের মাধ্যমে মাদক নেওয়ার ফলে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর ঝুঁকিতে থাকেন মাদকসেবীরা। অন্য যে কোন উপায়ে মাদক সেবনের তুলনায় সিরিঞ্জ বা ইনজেকশনের মাধমে মাদক সেবন করলে এই ঝুঁকি অনেকখানি বেশি।

ইনজেকশনের মাধ্যমে যারা মাদক সেবন করেন তাদের মধ্যে হৃদযন্ত্রে সংক্রমণের হার অন্যান্য ধরণের মাদক সেবীদের তুলনায় অনেক বেশি। আর এমন সংক্রমণে একমাত্র চিকিৎসা ওপেন হার্ট সার্জারি। তবে চিকিৎসকেরা একবারের বেশি দুই বার এই অস্ত্রোপচার করতে চান না।

উপরন্ত অনেক সময়েই এসব মাদক সেবীদের হৃদযন্ত্রে সংক্রমণের বিষয়টি ধরা পরে না। এমনটা হলে মৃত্যু অনেকটাই অবধারিত।

যুক্তরাষ্ট্রের বোস্টনে এক গবেষণায় দেখা গেছে যে, ইনজেকশনের মাধ্যমে মাদক সেবনকারীদের মাত্র ৭ শতাংশের মধ্যেই কোন ধরণের প্বার্শপ্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি। তাদের কোন ধরণের হৃদরোগও হয়নি। তবে বাকি ৯৩ শতাংশের অবস্থা ছিল উদ্বেগজনক।

যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসের একজন চিকিৎসক ড. থমান পোলার্ড নিউ ইয়র্ক টাইমসের কাছে তাঁর এক রোগীর অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন। ইনজেকশনের মাধ্যমে মাদক নেয় এমন ২৫ বছর বয়সী এক যুবকের চিকিৎসা করেন তিনি। তাঁর হৃদপিণ্ডের একটি ভালভ নষ্ট হয়ে গেলে টা প্রতিস্থাপন করে দেন তিনি।

মাত্র কয়েক মাসের ব্যবধানে তিনি আবার চিকিৎসা নিতে আসেন ড. পোলার্ডের কাছে। এবার ঐ যুবকের দুইটি ভালভই নষ্ট ধরা পরে। তবে আর তাঁর হার্ট সার্জারী করতে রাজি হননি চিকিৎসক। কিছুদিন পর মারা যান সেই রোগী।

এমনি আরেক রোগী যুক্তরাষ্ট্রের বাসিন্দা জেরিকা হোয়াইটফিল্ড। ২৮ বছর বয়সী তিন সন্তানের জননী জেরিকা ২০১৬ সালে একদিন ইনজেকশনের মাধ্যমে মিথামফিটামাইন নামের এক ধরণের মাদক সেবন করেন। এর কিছুদিন পরেই তাঁর হৃদযন্ত্রে এনডোকারডায়াটিস নামক সংক্রমণ ধরা পরে।

চিকিৎসকেরা ওপেন হার্ট সার্জারির মাধ্যমে সে যাত্রা তাকে বাঁচিয়ে তোলেন। তবে তাকে সতর্ক করে দেন যে, তিনি যদি আবার এমন মাদক নেন তাহলে তারা আর তাঁর চিকিৎসা করবেন না।

এরপর ধীরে ধীরে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে সক্ষম হন জেরিকা।

তাই মাদকের সাথে যাদের সম্পৃক্ততা আছে তারা এখনই সচেতন এবং সতর্ক হোন।

সূত্রঃ নিউ ইয়র্ক টাইমস

//এস এইচ এস// এআর


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি