ইফতার আয়োজনে বেশি সময় নিচ্ছি না তো?
প্রকাশিত : ১২:৩২, ১৫ মে ২০১৯ | আপডেট: ১১:০৯, ১৬ মে ২০১৯
রোযার গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ হল ইফতার। এর ফজিলত অসংখ্য। এ সময় আল্লাহ তার বান্দার উপর দয়ার দৃষ্টিতে তাকান। ইফতারের পূর্ব মুহূর্তের প্রার্থনাকে আল্লাহ বিশেষ গুরুত্ব দেন।
এই মহামূল্যবান সময়টিকে আমরা কিভাবে অতিবাহিত করছি? পুরুষেরা বাজার থেকে বিভিন্ন ফলের সমাহার, অন্যান্য খাবার এবং বাসায় তৈরির জন্য বিভিন্ন জিনিসপত্র ক্রয় করে বাসায় নিয়ে আসি ইফতারির উদ্দেশ্যে। বাসার মা-বোনেরা বিকেলে অস্থির হয়ে পড়েন ইফতার তৈরির জন্য। কত আইটেম বানানো যায় এবং বাসার কর্তা যাতে খুশি হন। এ যেন ছোট পর্যায় মহাভোজনের আয়োজন। আমরা কি ভোজনদাস হতে পছন্দ করি?
ইফতারির আয়োজন সংক্ষিপ্ত করে এই সময়টিতে আমরা কুরআন পাঠ ও অনুধাবন, তসবিহ-তাহলিল, অনুনয়-বিনয় করে সৃষ্টিকর্তা দেখছেন এমন ভাবনায় দোয়ায় অংশ নেই, অন্য রোযাদার (গরীব, আত্মীয়-স্বজন, প্রতিবেশী, পথিক)কে ইফতারে অংশীদার করাই তবেই সময়টির মূল্যায়ন হতে পারে।
হযরত যায়েদ বিন খালেদ আল জাহানী (রা.) বর্ণনা করেন। রাসূল (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি কোন রোযাদারকে ইফতার করাবে সে রোযাদারের সমান সওয়াব পাবে। তবে রোযাদারের সওয়াব বিন্দুমাত্র কমবে না।’ (তিরমিযি, ইবনে মাজা, নাসাঈ)
তাই আসুন মনের ও চোখের চাহিদাকে সংক্ষিপ্ত করে নিজের কল্যাণে আল্লাহতে সমর্পিত হই।
তথ্যসূত্র : সহিহ সিত্তাহ
এএইচ/