ইবি শিক্ষার্থীকে হেনস্তা, গোল্ডেন লাইনের ৪ বাস আটক
প্রকাশিত : ১০:১১, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) আরবি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের এক শিক্ষার্থীকে হেনস্তার অভিযোগে কুষ্টিয়া থেকে ঢাকাগামী গোল্ডেন লাইন পরিবহনের ৪টি বাস আটক করেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) দুপুর থেকে বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন সড়কে চলাচলকারী ঢাকাগামী বাসগুলো আটকাতে শুরু করে শিক্ষার্থীরা। একে একে ৪টি জব্দ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে আটকে রাখে তারা।
ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থীর নাম আব্দুল্লাহ আল নোমান।
জানা যায়, গত ১৩ ডিসেম্বর রাতে নাটোরের বনপাড়া থেকে ক্যাম্পাসে আসার জন্য হানিফ পরিবহনে ওঠেন নোমান। লক্ষ্মীপুরের কাছাকাছি এলাকায় গাড়ি নষ্ট হওয়ায় হানিফ বাসের সুপারভাইজার নোমানসহ আরও ২ জনকে গোল্ডেন লাইনের বাসে তুলে দেন।
পরে গোল্ডেন লাইনের সুপারভাইজার অযৌক্তিকভাবে ১০০ টাকা ভাড়া দাবি করলে ভুক্তভোগী নোমান ৫০ টাকা নিতে বলেন। এসময় নোমানকে রাত আড়াইটার দিকে ইঞ্জিন কাভার থেকে টান দিয়ে নির্জন এলাকায় নামিয়ে দেয় গোল্ডেন লাইনের বাসের স্টাফরা।
পরে বিভাগের সিনিয়ররা তাকে সেখান থেকে উদ্ধার করে ক্যাম্পাসে নিয়ে আসেন। বিষয়টি ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে সবাইকে জানালে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে ইবি শিক্ষার্থীরা৷
পরবর্তীতে দুপুরের পর থেকে একের পর এক গোল্ডেন লাইনের বাস আটকাতে থাকেন শিক্ষার্থীরা। একে একে ৪টি বাস আটকালেও ওই সময়ে একটি বাস ছেড়ে দেওয়া হয়। এসময় ভোগান্তিতে পড়েন আটককৃত বাসের ঢাকাগামী যাত্রীরা।
পরবর্তীতে মালিকপক্ষের লোকজন আসার পর শিক্ষার্থী, বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও প্রশাসনের নেতৃবৃন্দের সাথে আলোচনার পর আরও ২টি বাস ছেড়ে দেওয়া হলেও বিষয়টি চূড়ান্ত সমাধান না হওয়া পর্যন্ত ১টি বাস আটকে রাখা হয়।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহিনুজ্জামান বলেন, গোল্ডেন লাইনের লোকাল ম্যানেজার এবং ডিভিশনের ম্যানেজারের সাথে কথা হয়েছে। তারা আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করে ক্ষমা চেয়েছে এবং অভিযুক্ত কর্মচারীদের শাস্তি দিবে বলেও জানিয়েছে। এখন যে বাসের স্টাফেরা খারাপ ব্যবহার করেছিল তারা ক্যাম্পাসে আসার আগ পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের দাবির প্রেক্ষিতে একটি বাস আটকে রাখা হয়েছে।
রোববার তারা এলে ঘটনার সমাধান হবে বলে আশা করেন তিনি।
এএইচ
আরও পড়ুন