ঢাকা, সোমবার   ১৪ এপ্রিল ২০২৫

Ekushey Television Ltd.

ইরান-যুক্তরাষ্ট্রের আলোচনা ইতিবাচক, ফের বসতে সম্মত

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১০:১০, ১৩ এপ্রিল ২০২৫

Ekushey Television Ltd.

ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে তেহরান ও যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধি দলের মধ্যে প্রথম দফার বৈঠক শেষ হয়েছে। বৈঠকে ‘ইতিবাচক’ ও ‘গঠনমূলক’ আলোচনা হয়েছে।

শনিবার (১২ এপ্রিল) ওমানে এ আলোচনা হয়। 

ওই বৈঠক ‌‘গঠনমূলক পরিবেশে এবং পারস্পরিক শ্রদ্ধার ভিত্তিতে’ পরিচালিত হয়েছে বলে উল্লেখ করেছে ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। 

দু’দেশের মধ্যে আগামী সপ্তাহগুলোতে আরও আলোচনার বিষয়ে দুপক্ষই সম্মতি জানিয়েছে। এই আলোচনার উদ্দেশ্য ছিল তেহরানের বাড়তে থাকা পারমাণবিক কর্মসূচি মোকাবিলা করা। 

আগেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, যদি কোনো সমঝোতা না হয়, তবে ইরানে সামরিক অভিযান শুরু করা হতে পারে।

ওমানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর উপস্থিতিতে হওয়া এই বৈঠক শেষে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক দূত স্টিভ উইটকফ ও ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি।

ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাকচি বলেছেন, আমার মনে হয়, আমরা আলোচনার রূপরেখার খুব কাছাকাছি আছি। আর যদি আগামী সপ্তাহে এই ভিত্তির বিষয়ে সমঝোতায় পৌঁছতে পারি, তবে সেটি একটি বড় অগ্রগতি হবে। আমরা সেই ভিত্তির ওপর বাস্তব আলোচনা শুরু করতে পারব। আলোচনা "শান্তিপূর্ণ ও ইতিবাচক পরিবেশে" হয়েছে। 

তিনি জানিয়েছেন, আলোচনার মূল লক্ষ্য হলো—আঞ্চলিক উত্তেজনা কমানো, বন্দি বিনিময়, ও কিছু সীমিত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের বিনিময়ে ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ন্ত্রণ।

এদিকে হোয়াইট হাউস এক বিবৃতিতে বলেছে, ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্য দূত স্টিভেন উইক ওমানে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত আনা এসক্রোগিমা এবং ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. আব্বাস আরাকচিকে নিয়ে অনুষ্ঠিত আলোচনা ‘খুবই ইতিবাচক ও গঠনমূলক’ হয়েছে। বৈঠকের বিষয়ে বলা হয়েছে, এই বিষয়গুলো অত্যন্ত জটিল, তবে আজ বিশেষ দূত উইটকফের সরাসরি যোগাযোগ পারস্পরিক উপকারে পৌঁছানোর পথে একটি অগ্রগতি।” 

উভয় পক্ষ আবার আগামী শনিবার সাক্ষাৎ করতে সম্মত হয়েছে।

ওমানের যে স্থানে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়, সে সম্পর্কে সুস্পষ্ট করে কিছু জানানো না হলেও দুই ঘণ্টার বেশি সময় ধরে এই আলোচনা হয়েছে বলে জানা গেছে। বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে শুরু হয়ে ৫টা ৫০ মিনিটে বৈঠকটি শেষ হয়।

প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালের পরমাণু চুক্তি অনুযায়ী, ইরান ৩ দশমিক ৬৭ শতাংশ পর্যন্ত ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ উপাদান মজুত রাখতে পারে। তবে বর্তমানে তেহরানের ইউরেনিয়ামের মজুদ এমন পর্যায়ে আছে যে তারা চাইলে একাধিক পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করতে পারে। এছাড়া তাদের কাছে ৬০ শতাংশ পর্যন্ত ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ উপাদানও রয়েছে, যা অস্ত্র-গ্রেড মান থেকে প্রযুক্তিগতভাবে মাত্র কয়েক ধাপ দূরে।

এএইচ


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি