ঈদ সামনে রেখে হঠাৎ শোকের কালো ছায়া
প্রকাশিত : ১৪:৫৪, ২ জুলাই ২০১৬ | আপডেট: ১৫:২৪, ২ জুলাই ২০১৬
ঈদ সামনে রেখে উৎসব মুখর বাড়িগুলোয় হঠাৎ করেই নেমে এসেছে শোকের কালো ছায়া। গুলশানের আর্টিসান রেস্তোরাঁয় সন্ত্রাসীদের জিম্মির ঘটনায় নিহত দুই পুলিশ কর্মকর্তাসহ হতাহতদের পরিবারে চলছে শোকের মাতম। আহতদের কয়েকজনকে বিভিন্ন হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেয়া হলেও অনেকের অবস্থা আশংকাজনক। নিহত দুই পুলিশ কর্মকর্তার জানাজা বাদ আসর রাজারবাগ পুলিশ লাইনে অনুষ্ঠিত হয়।
রাজধানী গুলশানের হলি আর্টিসান রেস্টুরেন্টে সন্ত্রাসীদের হাতে জিম্মিদের জীবন বাঁচাতে যেন যুদ্ধ চলেছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সাহসী কর্মকর্তারা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এগিয়ে যান সন্ত্রাসীদের মোকাবেলায়। গ্রেনেড বিস্ফোরন ও গুলিতে গুরুতর আহত হন অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মারুফ হাসান, ডিবি পুলিশের সহকারী কমিশনার রবিউল ইসলাম ও বনানী থানার ওসি সালাউদ্দিন আহমেদসহ কয়েকজন।
পরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান রবিউল ও সালাউদ্দিন।
আহতরা শরীরে গুলি ও বোমার ¯িপ্রন্টার নিয়ে হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে যন্ত্রনায় ছটফট করছেন।
গুলশানের ইউনাইটেড হাসপাতাল সূত্র জানায়, এই হাসপাতালে প্রথমে ২৫ জন আহত ব্যক্তিকে ভর্তি করা হয়। এর মধ্যে দুজন মারা যান। এখনও ভর্তি আছেন কয়েকজন। বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়।
নিহত পুলিশ কর্মকর্তা রবিউল ইসলামের বাড়ী মানিকগঞ্জের কাটিবাড়িতে। বলেছিলেন ছুটি পেলে ঈদে বাড়ী ফিরবেন। অনাগত সন্তানের মুখ না দেখেই সন্ত্রাসীদের হামলায় চলে গেলেন না ফেরার দেশে। রেখে গেলেন স্ত্রী সালমা আর ৭ বছরের শিশু সন্তান সুমনকে। রবিউলের মৃত্যুর খবরে বারবার জ্ঞান হারিয়ে ফেলছেন স্ত্রী ও মা। স্বজনেরা বলছেন, আরও সতর্ক থাকলে হয়তো এ দুর্ঘটনা ঘটতো না।
আরেক পুলিশ কর্মকর্তা সালাউদ্দিনের পরিবারও শোকে স্তব্ধ। গোপালগঞ্জের গ্রামের বাড়িতেও তার ছোট ভাই জানান, যাকাতের কাপড় কিনেছিলেন সালাউদ্দিন। তাঁর আর সেগুলো দেয়া হলনা। দোষীদের দৃষ্টান্তমুলক বিচার দাবী করেন স্বজনেরা।
এদিকে রাজারবাগ পুলিশ লাইনে জানাযা শেষে রবিউলকে তাঁর গ্রামের বাড়ী মানিকগঞ্জের কাটিবাড়ি পারিবারিক গোরস্থান ও সালাউদ্দিনকে বনানী গোরস্থানে দাফন করা হয়।
আরও পড়ুন