ঈদে ৪ দিন বন্ধ বেনাপোল বন্দরের আমদানি-রফতানি কার্যক্রম
প্রকাশিত : ১৫:২৯, ১৩ জুন ২০২৪
পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে টানা ৪ দিন বন্ধ থাকবে দেশের সর্ববৃহৎ বেনাপোল স্থলবন্দরে আমদানি-রফতানি কার্যক্রম।
বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বেনাপোল সিএন্ডএফ এজেন্টস স্টাফ এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সাজেদুর রহমান।
সাজেদুর রহমান জানান, পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে আগামী শনিবার (১৫ জুন) থেকে মঙ্গলবার (১৮ জুন) পর্যন্ত ভারত থেকে এ বন্দরে আমদানি-রফতানির কার্যক্রমসহ কাস্টমস ও বন্দরের কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। ১৯ জুন (বুধবার) সকাল থেকে ভারত হতে আমদানি-রফতানিসহ কাস্টমস ও বন্দরের কার্যক্রম সচল হবে। তবে ১৩ জুন বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে বন্ধ হয়ে যাবে আমদানি-রফতানি।
বন্দর সূত্রে জানা যায়, পবিত্র ঈদুল আজহার ছুটিতে বেনাপোল-পেট্রাপোল বন্দরের মধ্যে আমদানি-রফতানি বাণিজ্য বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে দুই দেশের ব্যবসায়ীদের মধ্যে আলোচনার ভিত্তিতে। আগামী ১৯ জুন সকাল থেকে পূর্বের ন্যায় এপথে আমদানি-রফতানিসহ কাস্টমস হাউজ ও বন্দরে পণ্য খালাস কার্যক্রম সকল থেকে চলবে। তবে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে পাসপোর্টযাত্রী চলাচল স্বাভাবিক থাকবে।
জানা যায়, দেশে চলমান ১২টি স্থলবন্দরের মধ্যে সবচেয়ে বড় আর বেশি রাজস্ব আদায়কারী বেনাপোল স্থলবন্দর। স্থলপথে যে পণ্য আমদানি হয় তার ৭০ শতাংশ হয়ে থাকে বেনাপোল বন্দর দিয়ে। প্রতিদিন বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারত থেকে ৩শ‘ থেকে সাড়ে ৩শ‘ ট্রাক বিভিন্ন ধরনের পণ্য নিয়ে বেনাপোল বন্দরে প্রবেশ করে থাকে। প্রতিবছর এ বন্দর থেকে সরকারের প্রায় ৫ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব আসে।
বেনাপোল বন্দরের পরিচালক (ট্রাফিক) রেজাউল করিম জানান, ঈদের ছুটির মধ্যে বন্দরে যাতে কোন ধরনের নাশকতামূলক বা অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে তার জন্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। বন্দরের নিজস্ব নিরাপত্তা বাহিনী ও আনসার সদস্যরা দিনে রাতে বন্দর এলাকায় টহল দিবে। পাশাপাশি বেনাপোল পোর্ট থানা কর্তৃপক্ষকেও বিষয়টি জানানো হয়েছে।
বেনাপোল পোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুমন ভক্ত বলেন, ঈদের ছুটির মধ্যে বন্দর এলাকায় যাতে কোনো অপ্রীতিকর ও দুর্ঘটনা না ঘটে সেজন্য বিশেষ নজরদারি নেওয়া হয়েছে।
এদিকে বেনাপোল চেকপোস্ট পুলিশ ইমিগ্রেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজহারুল ইসলাম বলেন, ঈদ-উল-আযহার ছুটিতে বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকলেও স্বাভাবিক থাকবে পাসপোর্টধারী যাত্রীদের যাতায়াত। এ সময় একটু বেশি ভিড় হয়ে থাকে। সে কারণে ইমিগ্রেশনে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের স্ট্যান্ডবাই রাখা হয়েছে।
এএইচ
আরও পড়ুন