ঈদের ছুটিতেও তৎপর দেশের হসপিটালিটি সেবাখাত
প্রকাশিত : ১৪:৫৭, ২৩ আগস্ট ২০১৮ | আপডেট: ১২:০০, ২৬ আগস্ট ২০১৮
দেশজুড়ে উদযাপিত হচ্ছে পবিত্র ঈদুল আজহা। মুসলমানদের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় এ উৎসবকে কেন্দ্র করে আবর্তিত হয় আমাদের সামাজিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক জীবনচক্র। আবার এর পাশাপাশি, ঈদের ছুটি মানেই অদ্ভুত এক আনন্দ। কিন্তু, আমাদের পাশেই এমন কিছু মানুষ রয়েছেন যারা এ সময়টাতেও অন্যের আনন্দকে পরিপূর্ণতা দিতে উৎসর্গ করেন নিজেদের। পেশাগত দায়িত্ববোধ তখন তাদের কাছে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়ায়। আর এ দায়িত্ববোধকে প্রাধান্য দেয়াকেই তারা নিজেদের আনন্দ মনে করেন।
এশিয়ার অন্যতম কসমোপলিটান শহর হওয়ার কারণে ঢাকায় রয়েছে অনেক আন্তর্জাতিক হোটেল ও রেস্টুরেন্ট। সারাবছর প্রতিদিন সর্বক্ষণ চালু থাকে প্রতিষ্ঠানগুলো। ক্রমবর্ধমান পর্যটন শিল্পের কারণে এসব হোটেলগুলোতে দেশি-বিদেশি অতিথিদের সার্বক্ষণিক আসা-যাওয়া চলতেই থাকে। পাঁচতারা হোটেল, হাসপাতাল, এয়ারপোর্ট, কলসেন্টার সহ বেশ কিছু স্থাপনা আছে যা বছরের প্রতিটা সময় খোলা রাখতে হয়। আর এ কারণেই সারাদেশ যখন ছুটি কাটায়, তখনও কিছু মানুষকে তার প্রতিষ্ঠানকে কর্মক্ষম রাখতে ও সুনাম অক্ষুণ্ণ রাখতে উৎসব আয়োজনের মধ্যেও পরিবারের সান্নিধ্য বাদ দিয়ে পেশাগত দায়িত্ববোধকেও প্রাধান্য দিতে হয়।
এ নিয়ে কথা হয় শীর্ষস্থানীয় আন্তর্জাতিক হোটেল চেইন লা মেরিডিয়ান ঢাকার কয়েকজন কর্মীর সাথে। এবারের ছুটিতেও কাজ অতিথি সেবাদানে কাজ করছে এসব কর্মী। তারা জানালেন, ‘আমরা আমাদের আন্তর্জাতিক মান বজায় রেখে সার্বক্ষণিক সেবাদানে ঈদের সময়েও তৎপর আছি। দেশি-বিদেশি অতিথিদের আপ্যায়নের ক্ষেত্রে আমরা কোন ত্রুটি রাখি না, সে কারণে এ ছুটিতে আমরা পালাবদল করে ২৪ ঘণ্টাই সবধরনের সেবায় সচেষ্ট থাকবো।’
পরিবার ছেড়ে ঈদ করতে কেমন লাগে জিজ্ঞেস করলে তারা তাদের পেশাগত দায়িত্ববোধকেই এগিয়ে রাখেন। ‘আমরা হসপিটালিটি সেবাখাতে কাজ করছি। সেক্ষেত্রে, অতিথিদের সঠিক আপ্যায়ন ও সেবাদানই আমাদের প্রথম ও প্রধান দায়িত্ব। প্রিয়জনের সাথে ঈদ কাটাতে পারছি না, এতে একধরনের শূন্যতা অনুভব করি কিন্তু পেশাগত প্রয়োজন ও অতিথি সেবাকেই আমরা অগ্রাধিকার দেই।’
লা মেরিডিয়ান ঢাকার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলে জানা যায়, এবারের ঈদে প্রায় ২৭৫ জন পুরুষ ও নারী কর্মী হোটেলটিতে কর্মরত আছেন।
//এস এইচ এস//
আরও পড়ুন