ঢাকা, বুধবার   ০২ এপ্রিল ২০২৫

Ekushey Television Ltd.

ঈদের দিনেও রক্ত ঝরলো গাজায়, ইসরায়েলি হামলায় নিহত ৬৪

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১০:২৮, ৩১ মার্চ ২০২৫

Ekushey Television Ltd.

ঈদের আনন্দের মাঝেও রেহাই পায়নি ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকা। পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিন, ৩০ মার্চ, ইসরায়েলের বর্বর হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ৬৪ জন ফিলিস্তিনি, যাদের মধ্যে ছিল শিশু ও নারীও।

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার প্রতিবেদনে জানা যায়, দক্ষিণ গাজার রাফাহ ও খান ইউনিস শহরে ইসরায়েলি বাহিনীর একাধিক বিমান হামলায় অন্তত ৩৫ জন নিহত হন। এছাড়া, উপত্যকার অন্যান্য এলাকাতেও চালানো হামলায় বহু মানুষ হতাহত হয়েছেন।

ফিলিস্তিন রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি (পিআরসিএস) জানিয়েছে, রাফাহ থেকে ১৫ জন চিকিৎসাকর্মীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে, যাদের ইসরায়েলি বাহিনী গত সপ্তাহে হত্যা করেছিল। উপগ্রহ চিত্র বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ওই হামলায় পাঁচটি অ্যাম্বুলেন্স ধ্বংস হয়েছে। পিআরসিএস এক বিবৃতিতে একে "মানবতার জন্য ভয়াবহ ট্র্যাজেডি" ও "যুদ্ধাপরাধ" বলে আখ্যা দিয়েছে।

গাজায় মানবিক সংকট ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। ইসরায়েল চলতি মার্চের শুরু থেকে গাজায় ত্রাণ প্রবেশ সম্পূর্ণ বন্ধ করে দিয়েছে, ফলে খাদ্যের অভাবে দুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করেছে। আল-জাজিরার সাংবাদিক হিন্দ খোদারি বলেন, "যেখানে ঈদের দিনে সুস্বাদু খাবার খাওয়ার কথা ছিল, সেখানে ফিলিস্তিনিরা একবেলা খাবারের জন্য সংগ্রাম করছে।"

যুদ্ধবিরতি আলোচনা কার্যত থমকে গেছে। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু হামাসকে নিরস্ত্র করতে হবে ও নেতাদের গাজা ছাড়তে হবে বলে শর্ত দিয়েছেন। বরং যুদ্ধবিরতির পরিবর্তে হামলা আরও জোরদার করার হুমকি দিয়েছেন তিনি।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুসারে, ইসরায়েলের অব্যাহত হামলায় এ পর্যন্ত ৫০ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন ১ লাখ ১৪ হাজারেরও বেশি। গাজার সরকারি মিডিয়া অফিসের তথ্য অনুযায়ী, ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়া নিখোঁজদের অন্তর্ভুক্ত করলে মৃতের সংখ্যা ৬১ হাজার ৭০০ ছাড়িয়ে যেতে পারে।

 

এমবি//


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি