ঈদের নামাজও পড়তে দেওয়া হয়নি ইমরান খানকে
প্রকাশিত : ১৩:৩৭, ১ এপ্রিল ২০২৫

পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও প্রধান বিরোধী দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) প্রতিষ্ঠাতা ইমরান খান এবারও ঈদের নামাজ পড়তে পারেননি। রাওয়ালপিন্ডির আদিয়ালা কারাগারে বন্দি থাকায় এবং কঠোর নিরাপত্তার কারণে তাকে ঈদের নামাজে অংশ নিতে দেওয়া হয়নি।
পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম জিও নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইমরান খান টানা তৃতীয়বারের মতো ঈদ কাটাচ্ছেন কারাগারে। তবে, কেন্দ্রীয় মসজিদে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হলেও নিরাপত্তাজনিত কারণে তাকে সেখানে অংশগ্রহণের অনুমতি দেওয়া হয়নি।
ইমরান খানের কারাবাসকালীন নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও কঠোর করা হয়েছে। ঈদ উপলক্ষে কারাগারের চারপাশে তিন দিনের বিশেষ নিরাপত্তা পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হয়েছে।
বিশেষ সূত্রের বরাত দিয়ে জানা গেছে, আদিয়ালা কারাগারে যাওয়ার পথে আটটি অতিরিক্ত নিরাপত্তা চৌকি স্থাপন করা হয়েছে। পাশাপাশি, প্রায় ২০০ নিরাপত্তা কর্মী মোতায়েন করা হয়েছে, যারা তিন শিফটে দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়া, পিটিআই সমর্থকদের সম্ভাব্য বিক্ষোভ প্রতিহত করতে কারাগারের বাইরে পুলিশ সদস্যদের দাঙ্গা-বিরোধী সরঞ্জামসহ মোতায়েন করা হয়েছে।
ইমরান খানের ঈদ উদযাপনের জন্য তার জন্য কিছু নতুন পোশাক পাঠানো হয়েছিল। সূত্র জানায়, পাঠানো সামগ্রীর মধ্যে ছিল চারটি নতুন পোশাক, এক জোড়া জুতা এবং একটি কোমর কোট। অন্যদিকে, তার স্ত্রী বুশরা বিবিও একই কারাগারে বন্দি রয়েছেন এবং ঈদের সময় তিনি ইমরানের সঙ্গেই ছিলেন।
এদিকে, কারাগারের অন্যান্য বন্দি, বিচারাধীন বন্দি ও জেল কর্মকর্তারা ঈদের জামাতে অংশ নেন। তবে, নিরাপত্তাজনিত কারণে ইমরান খান সেই সুযোগ পাননি।
২০২৩ সালের আগস্ট থেকে কারাবন্দি থাকা ইমরান খানের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয় গোপনীয়তা ফাঁস, রাষ্ট্রীয় উপহার বিক্রিসহ বিভিন্ন অভিযোগে ১০০টিরও বেশি মামলা রয়েছে। এসব মামলার শুনানির মধ্যেই তিনি কারাগারে ঈদ উদযাপন করলেন।
পিটিআই সমর্থকরা দাবি করছেন, ইমরান খানকে রাজনৈতিক কারণে বন্দি রাখা হয়েছে এবং তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগগুলো উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। অন্যদিকে, পাকিস্তান সরকার ও বিচার বিভাগ বলছে, তার বিরুদ্ধে আইনানুগ প্রক্রিয়ায় মামলা চলছে।
ঈদের দিনেও কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে থাকতে হয়েছে ইমরান খানকে। রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে তার বন্দিত্ব ও নিরাপত্তা নিয়ে বিতর্ক অব্যাহত রয়েছে। আগামীর দিনগুলোতে তার ভাগ্যে কী আছে, তা এখনো অনিশ্চিত।
এমবি//
আরও পড়ুন