ঢাকা, শুক্রবার   ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪

ঈশা খাঁর সমাধিতে নতুনত্ব ও আধুনিকতার ছোঁয়া (ভিডিও)

গাজীপুর প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ১২:৩৩, ২৩ ডিসেম্বর ২০২১

বাংলার ইতিহাসে বারো ভূঁইয়াদের প্রতাপশালী জমিদার ছিলেন ঈশা খাঁ। মুঘলবাহিনী থেকে রক্ষা পেতে গাজীপুরের কালিগঞ্জের বক্তারপুরে দুর্গ নগরীতে প্রায়ই বসবাস করতেন তিনি। এই বক্তারপুরেই রয়েছে ঈশা খাঁর সমাধি। প্রশাসনের উদ্যোগে তার সমাধিতে এখন নতুনত্ব ও আধুনিকতার ছোঁয়া লেগেছে। 

ঈশা খাঁ ছিলেন ভাওয়ালের শাসক বারভূঁইয়ার অন্যতম ফজল গাজীর বন্ধু। দু’জনই মোঘলদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেন। ঈশা খাঁ ভাওয়ালের এগারসিন্ধুর দুর্গকে প্রধান সামরিক দুর্গ হিসেবে গড়ে তুলেন। তবে কাপাসিয়ার একডালা দুর্গে অবস্থান করে মোঘল আক্রমণ এবং প্রতিরোধ গড়ে তুলেন। 

ঈশা খাঁর সুরক্ষিত দুর্গের মধ্যে বক্তারপুর ছিল অন্যতম। ১৫৯৯ সালে জঙ্গলবাড়ী থেকে নৌকায় বক্তারপুর আসার পথে অসুস্থ হয়ে মারা যান তিনি। তার ইচ্ছাতেই বক্তারপুর দুর্গের ভেতর সমাহিত করা হয়। 
 
দীর্ঘদিন তার কবরটি ছিলো অযত্ন-অবহেলায়। প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ বক্তারপুর পুরান দীঘির পশ্চিম পাড়ে থাকা ঈশা খাঁর কবরটি চিহ্নিত করে। এরপর সংস্কার করা হয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, লোকজন এসে জিজ্ঞেস ঈশা খাঁর কবর। দেশ-বিদেশের সবাই জানুক এখানে ওনার মাজারটি। এটা ইতিহাস, আমাদের সন্তানেরা যেন জানতে পারে এখানে ঈশা খাঁর মাজার ছিল।

সঠিক ইতিহাস ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতেই প্রশাসনের এই উদ্যোগ। স্থানটিতে পর্যটন-সুবিধা বাড়ানোর কথাও জানান স্থানীয় সংসদ সদস্য।

গাজীপুর জেলা প্রশাসক এস এম তরিকুল ইসলাম বলেন, এখানে আরেকটি কমপ্লেক্স হওয়ার প্রয়োজন এবং রাস্তাটি ভাল হওয়া দরকার। আমরা প্রাথমিকভাবে রাস্তাটি করেছি। পরবর্তীতে প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর ও কালচারাল মিনিস্ট্রিকে জানিয়েছি, আমরা আশা বাদি এখানে সরকারের বড় ধরনের স্থাপনা হবে।

গাজীপুর-৫ সংসদ সদস্য মেহের আফরোজ চুমকি বলেন, আমাদের ইতিহাসের একটি অংশ ঈশা খাঁ বারভূঁইয়াদের এক ভূঁইয়া। তার সমাধি এটা, সেটা বিভিন্নভাবে বিশ্লেষণ ও পরীক্ষার মাধ্যমে প্রমাণিত হয়েছে। তাই আমরা এটাকে সংরক্ষণ করার ব্যবস্থা করেছি।

ঈশা খাঁর কবরের উপর লাল সিরামিক ইট দিয়ে ১৭ ফুট উচ্চতা এবং ২০ ফুট প্রস্থের প্রাচীন নির্মাণশৈলী অনুসরণে আধুনিক সমাধি-স্থাপনা নির্মাণ করা হয়েছে।

এএইচ/


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি