ঢাকা, বুধবার   ২৪ এপ্রিল ২০২৪

উইনি ম্যান্ডেলার শেষ বিদায়ে অশ্রুসিক্ত আফ্রিকানরা

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১০:৩৭, ১৫ এপ্রিল ২০১৮ | আপডেট: ১০:৩৯, ১৫ এপ্রিল ২০১৮

বর্ণবাদবিরোধী আন্দোলনের অবিসংবাদী নেতা ও দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক প্রেসিডেন্ট নেলসন ম্যান্ডেলার সাবেক স্ত্রী উইনি ম্যান্ডেলাকে শেষ বিদায় জানাতে হাজির হয়েছিলেন কয়েক হাজার আফ্রিকান। শনিবার দেশটির ওরলান্দো স্টেডিয়ামে উইনিকে শেষ বিদায় জানানো হয়। এসময় দক্ষিণ আফ্রিকার জনতা উইনিকে ‘মাদার অব দ্য নেশন’বলে উল্লেখ করেন।
অ্যাক্টিভিস্ট ও রাজনৈতিককর্মী উইনিকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে মানুষ আবেগপ্রবণ হয়ে ওঠেন। তারা স্লোগান দেন, ‘কমরেড উইনি দীর্ঘজীবী হোন’, ‘লড়াই চলবে’, ‘জনগণের হাতে ক্ষমতা চাই’। আনন্দময় ও অশ্রুসজল শেষ বিদায়ের অনুষ্ঠানে নাচ ও গান থেকে শুরু করে ছিল প্রার্থনা, শ্রদ্ধা এবং দক্ষিণ আফ্রিকার নিপীড়নবিরোধী সংগ্রামের গান গাওয়া হয়। জাতীয় নেতাদের শোক প্রকাশ করে বক্তব্য দেওয়ার পর গোটা স্টেডিয়াম জুড়ে মরদেহ প্রদক্ষিণ করা হয়। এসময় জাতীয় সঙ্গীত বাজানো হয়। আফ্রিকানরা ফুলেল ভালোবাসায় সিক্ত করেন উইনিকে।
দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসা, মহাদেশের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ, দেশের বিখ্যাত রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ও ক্ষমতাসীন দলের নেতা ও সারাদেশের শুভাকাঙ্ক্ষীরা উপস্থিত ছিলেন।
উইনি ম্যান্ডেলা নিজেও সারাজীবন বর্ণবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করে গেছেন। দীর্ঘদিন অসুস্থ থাকার পর গত ৩ এপ্রিল ৮১ বছর বয়সে মারা যান উইনি।
২৭ বছর পর ম্যান্ডেলা যখন কারাগার থেকে মুক্তি পান তখন উইনির সঙ্গে হাতে হাত ধরা একটি ছবিই তখন বর্ণবাদ বিরোধী আন্দোলনের প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়েছিল। ১৯৩৬ সালে ইস্টার্ন কেপ- এ জন্মগ্রহণ করেন উইনি। তখন তাকে ত্রানস্কেই নামে চিনত সবাই। নিজেকে সমাজকর্মী হিসেবে গড়ে তুলেছিলেন উইনি। ১৯৫০ দশকে নেলসনের সঙ্গে দেখা হয়েছিল তার। দীর্ঘ ৩৮ বছর দাম্পত্য জীবন ছিল তাদের। তবে এরমধ্যে ত্রিশ বছরই নেলসন ম্যান্ডেলার কারাবাসের কারণে বিচ্ছিন্ন থাকতে হয়েছে। ১৯৯৬ সালে তাদের বিচ্ছেদ হয়ে গেলেও নাম পাল্টাননি উইনি ম্যান্ডেলা। যোগাযোগও ছিল নেলসনের সঙ্গে।
সূত্র: সিএনএন।
/এআর /



Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি