দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউনের প্রতিবেদন
উচ্চপদস্থ বাংলাদেশি সেনাকর্মকর্তার বিরল সফর পাকিস্তানে
প্রকাশিত : ১৬:৩৬, ১৫ জানুয়ারি ২০২৫
বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার (PSO) লেফটেন্যান্ট জেনারেল এস এম কামর-উল-হাসান সম্প্রতি পাকিস্তান সফর করেছেন। তার এই সফর পাকিস্তান ও বাংলাদেশ মধ্যে সম্পর্কের নতুন মাত্রা যোগ করেছে।
বুধবার (১৫ জানুয়ারি) পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউন এই বিষয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
সংবাদমাধ্যমটি জানায়, অনেক বছর পর এই সফরের মাধ্যমে কোনো শীর্ষ বাংলাদেশি সেনা কর্মকর্তা ইসলামাবাদে পা রাখলেন।
পত্রিকাটি আরও জানায়, শেখ হাসিনার ১৫ বছরের শাসনকালে পাকিস্তান ও বাংলাদেশের সম্পর্ক অনেকটাই অচলাবস্থায় ছিল। ওই সময়ে বারবার পাকিস্তানের শান্তি উদ্যোগ প্রত্যাখ্যান করেছিল শেখ হাসিনা সরকার। তবে গত ৫ আগস্ট গণঅভ্যূত্থানে শেখ হাসিনা সরকার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর দুই দেশের সম্পর্কের নতুন মাত্রা পেয়েছে, আগের গুমোট পরিস্থিতির পরিবর্তন হয়েছে। লেফটেন্যান্ট জেনারেল হাসানের এই সফরকে দুই দেশের মধ্যকার ক্রমবর্ধমান সম্পর্কের উদাহরণ হিসেবেও অভিহিত করেছে পত্রিকাটি।
পাকিস্তান সফরে লেফটেন্যান্ট জেনারেল এস এম কামর-উল-হাসান পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল সৈয়দ আসিম মুনির এবং চেয়ারম্যান জয়েন্ট চিফস অফ স্টাফ কমিটি (CJCSC) জেনারেল সাহির শামশাদ মির্জার সঙ্গে বৈঠক করেন।
এদিকে পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর জনসংযোগ বিভাগ (আইএসপিআর)-এর বিবৃতি অনুসারে, ওই বৈঠকে উভয় কর্মকর্তা এই মর্মে একমত হয়েছেন যে, বাংলাদেশ এবং পাকিস্তান ভাতৃপ্রতিম দেশ এবং বহিঃস্থ শক্তির প্রভাব থাকা সত্ত্বেও দুই দেশের সম্পর্ক অবশ্যই দৃঢ় থাকবে।
এছাড়াও প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত বিভিন্ন ইস্যুতে দুই দেশের সেনাবাহিনীর পারস্পরিক আদান-প্রদান, সহযোগিতা ও অংশীদারিত্বের মাত্রাবৃদ্ধির ব্যাপারেও আলোচনা করেন পাকিস্তানের সেনাপ্রধান এবং বাংলাদেশের পিএসও।
পাকিস্তানের সেনাপ্রধান বলেন, দুই দেশের প্রতিরক্ষাবাহিনীর মধ্যকার সহযোগিতাপূর্ণ বিভিন্ন উদ্যোগ ও পদক্ষেপের মাধ্যমেই দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের নিরাপত্তা ও সীমান্ত সুরক্ষা সম্ভব এবং পাকিস্তান ও বাংলাদেশের বন্ধুত্ব ও অংশীদারিত্বপূর্ণ সম্পর্ক উপমহাদেরশের সীমান্ত সুরক্ষিত রাখার জন্য খুবই কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে।
বাংলাদেশের পিএসও লেফটেন্যান্ট জেনারেল কামর-উল-হাসান পাকিস্তানের সেনাবাহনীর পেশাদারিত্বের ভূয়সী প্রশংসা করেন। সেই সঙ্গে বলেন, সন্ত্রাসবাদ দমনের লড়াইয়ে ব্যাপক আত্মদানের মাধ্যমে পাকিস্তানের সেনাবাহিনী নিজেকে সাহস এবং দৃঢ় সংকল্পের বাতিঘরে পরিণত করেছে।
এসএস//
আরও পড়ুন