উত্তরাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত
প্রকাশিত : ০৯:৩৪, ২ আগস্ট ২০১৬ | আপডেট: ০৯:৩৪, ২ আগস্ট ২০১৬
দেশের উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন জেলার বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। তবে অবনতি হয়েছে মধ্যাঞ্চলের বেশ কয়েকটি জেলায়। বন্যার পানি বেড়েছে জামালপুর, শেরপুর, ময়মনসিংহ মুন্সিগঞ্জ, ফরিদপুর, রাজবাড়ীসহ আশাপাশের জেলাগুলোয়। নতুন করে প্লাবিত হয়েছে অনেক এলাকা। দূর্গত এলাকায় বিশুদ্ধ পানি ও খাবারের অভাবের পাশাপাশি দেখা দিয়েছে পানিবাহিত নানা রোগ।
উজান থেকে নেমে আসা পানিতে পুরাতন ব্রহ্মপুত্র, দশানী ও মৃগী নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় শেরপুরে প্লাবিত হয়েছে নতুন নতুন এলাকা।
বন্ধ হয়ে গেছে শেরপুর-জামালপুর আঞ্চলিক সড়কের যোগাযোগ ব্যবস্থা। শেরপুর সদর উপজেলার চরাঞ্চলের ৫০টি গ্রামসহ নকলার ও শ্রীবরদী উপজেলার আরও ৭টি গ্রাম নতুন করে প্লাবিত হয়েছে। গবাদি পশু নিয়ে বিপাকে পড়েছে পানিবন্দি মানুষ। তলিয়ে গেছে বীজতলা আর সবজি ক্ষেত।
ফরিদপুরের চরভদ্রাসন উপজেলায় পদ্মা নদীর বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে নতুন করে আরো ১৫টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। নতুন করে পানিবন্দী হয়ে পড়েছে প্রায় ২০ হাজার মানুষ। বাঁধে আশ্রয় নেয়া মানুষের মধ্যে দেখা দিয়েছে বিশুদ্ধ পানি আর খাবারের তীব্র সংকট।
রাজবাড়ী সদর ও গোয়ালন্দ উপজেলার ৭ ইউনিয়নের ১০ হাজার ৪ শত ৮৯ টি পরিবার পানি বন্দি হয়ে আছে। নতুন করে প্লাবিত হয়েছে সদর উপজেলার মিজানপুর, বরাট ও চন্দনী ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি গ্রাম। আর নদী ভাঙ্গনে হারিয়ে গেছে ২ টি বিদ্যালয়সহ কয়েকশত বসত বাড়ি, বন্ধ হয়ে গেছে ৩২ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এখনো কোনো ত্রান সহযোগীতা পৌছেনি দূর্গত অঞ্চলে।
এদিকে পানি কিছুটা কমছে উত্তরাঞ্চলের নদনদীর।
গাইবান্ধার তিস্তা, যমুনা, ব্রহ্মপুত্রসহ সবগুলো নদনদীর পানি কমলেও বেড়েছে মানুষের দূর্ভোগ। পানিবন্দী এলাকায় দেখা দিচ্ছে চর্মরোগ আর বিশুদ্ধ পানি ও খাবারের সংকট। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ত্রান বিতরণের কথা বলা হলেও চরাঞ্চলের বানভাসীদের অভিযোগ তাদের খোঁজ নিচ্ছে না কেউই।
একই অভিযোগ সিরাজগঞ্জেও, সরকারী ভাবে জেলা প্রশাসন বন্যার্তদের জন্য ৪শ মেট্রিক টন চাল ও ১৩ লাখ টাকা বরাদ্দ দিলেও এখনো তা পৌছেনি বানভাসীদের কাছে। এদিকে পানি উঠায় বন্ধ আছে জেলার ১৭১ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
জামালপুরে খাবারের জন্যে হাহাকার বন্যাকবলিত এলাকায়। বিভিন্ন বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের উদ্যোগে ত্রান দেয়া হলেও তা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল।
আরও পড়ুন