উত্তরাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতি অবনতি হওয়ার আশঙ্কা
প্রকাশিত : ১০:০৬, ৮ জুলাই ২০১৭ | আপডেট: ১৬:০৬, ৮ জুলাই ২০১৭
ছবি: ফাইল ফটো
ভারি বর্ষণের সঙ্গে উজান থেকে নেমে আসা ঢল অব্যাহত থাকায় যমুনা তীরবর্তী অঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে। যমুনার পানি বৃদ্ধির ধারা আরও কয়েকদিন অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
উজানে বৃষ্টিপাত বাড়তে থাকলে দেশের উত্তরাঞ্চলের পরিস্থিতির আরও অবনতি হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।
আগামী কয়েকদিনে বৃষ্টির প্রবণতা বাড়তে পারে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী সাজ্জাদ হোসেন বলেন, শুক্রবার বহ্মপুত্র-যমুনা ও গঙ্গা-পদ্মা অববাহিকার নদীগুলোর পানি বাড়ার প্রবণতা দেখা গেছে। তবে সুরমা-কুশিয়ারার পানি কমছে।
গতকাল উজানে বৃষ্টি তুলনামূলকভাবে কম থাকায় যমুনা-বহ্মপুত্রের বিভিন্নি পয়েন্টে পানি ততটা বাড়েনি। তবে আগামী কয়েকদিন উজানে বৃষ্টির আভাস থাকায় এখানেও পানি বাড়বে।
শুক্রবার দেশের ৯০টি নদী পর্যবেক্ষণ স্টেশনের মধ্যে সাতটি পয়েন্টে পানি বিপদসীমার উপরে ছিল। গত ২৪ ঘণ্টায় ৩২ টি পয়েন্টে পানি কমলেও বেড়েছে৫১টি পয়েন্টে পানির।
যমুনা নদীর বাহাদুরাবাদ, সারিয়াকান্দি, কাজীপুর, সিরাজগঞ্জ পয়েন্টে বিপদসীমার ৫ থেকে ২৫ সেন্টিমিটার ওপরে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। গতকাল এসব পয়েন্টে পানির উচ্চতা বেড়েছে ৪ থেকে ৭ সেন্টিমিটার।
গতকাল কংশ নদীর জারিয়াজঞ্জাইল পয়েন্টে পানি বিপদসীমার ৫০ সেন্টিমিটার ওপরে বয়ে গেলেও উচ্চতা আর বাড়েনি। আর সুরমা নদীর কানাইঘাট, সিলেট পয়েন্টে ও কুশিয়ারার সিলেট-শেরপুর, অমলশীদ ও শেওলা পয়েন্টে পানি কমেছে। পানি কমা অব্যাহত রয়েছে মাতামুহুরি ও হালদায় ।
গত কয়েকদিনের বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলে গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলার উত্তর উড়িয়া, কাতলামারী ও নামাপাড়া এলাকায় অন্তত ৫০টি পরিবার নদী ভাঙনের শিকার হয়েছেন বলে জানান গেছে।
আজ খুলনা ওরংপুর বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ী দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। সেই সাথে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ভারি বর্ষণেরও সম্ভবনা রয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, আগামী সোমবার পর্যন্ত এ প্রবণতা বাড়তে পারে।
আরও পড়ুন