ঢাকা, মঙ্গলবার   ২৬ নভেম্বর ২০২৪

উত্তরাঞ্চলে বন্যায় নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত [ভিডিও]

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ২১:১৩, ৬ জুলাই ২০১৮

নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় উত্তরাঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। লালমনিরহাট, নীলফামারী ও গাইবান্ধায় প্লাবিত হয়েছে নতুন নতুন এলাকা।  

বৃষ্টি কমে যাওয়ায় সিলেটে পরিস্থিতি অপরিবর্তিত থাকলেও সুনামগঞ্জে প্লাবিত হয়েছে নতুন এলাকা।

ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের কারণে লালমনিরহাটে তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। জেলার ১৫ ইউনিয়নের ৪০টি গ্রামের অর্ধ লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। 

ধসে যাওয়ার হুমকিতে আদিতমারীর মহিষখোচা গোবর্ধন স্পার বাঁধ। তবে বাঁধ রক্ষায় প্রস্তুতির কথা জানালেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী লিটন ইসলাম।  

উজানের ঢলের কারণে নীলফামারীর ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি বৃদ্ধির কারণে ব্যারেজের ৪৪টি জলকপাট খুলে রেখেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।

কুড়িগ্রামে ধরলা, তিস্তা, ব্রহ্মপুত্র ও দুধকুমারসহ নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় ২৫ ইউনিয়নের শতাধিক গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দী হয়ে পড়েছে প্রায় ৫০ হাজার পরিবার।

সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর ও পাবনার ফরিদপুর উপজেলার বিস্তীর্ণ বাথানি জমি বন্যার পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় বিপাকে বাঘাবাড়ি মিল্কভিাটার প্রায় ৩০ হাজার খামারী।

উৎকৃষ্ট মানের কাঁচা ঘাস ডুবে থাকায় চড়া দামে দানাদার খাদ্য দিয়ে দুধ উৎপাদন করতে হচ্ছে খামারীদের।

তিস্তা, যমুনা ও ব্রহ্মপুত্রের পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জের বেলকা, কাপাসিয়া, হরিপুর ও সদর উপজেলার চরাঞ্চলে পানি উঠেছে।

সুনামগঞ্জ শহর এলাকায় পানি কিছু কমলেও পাহাড়ী ঢল ও বৃষ্টিতে বিশ্বম্ভরপুর, তাহিরপুর, দোয়ারাবাজার, ছাতক ও জগন্নাথপুরের নিম্নাঞ্চলের শতাধিক গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।

বৃষ্টি কমলেও সিলেটের সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। তবে এখনো পানিতে নিমজ্জিত সদরের একাংশসহ গোয়াইনঘাট, কোম্পানীগঞ্জ ও বালাগঞ্জের বিস্তীর্ণ এলাকা। গোয়াইনঘাট ও কোম্পানিগঞ্জের অনেক এলাকা এখনো যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন।   

ভিডিও:   

এসি   

 


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি