উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠনে যুগোপযোগী কৌশল দাঁড় করিয়েছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। তরুণদের কাজে লাগিয়ে দীর্ঘমেয়াদি উন্নয়ন পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে নতুন শিল্পের বাজার তৈরি, ও দক্ষ জনবল তৈরির ক্ষেত্রে মনোযোগী বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ।
গরীব, অসচ্ছল মানুষদের সচ্ছলতা এনে দিতে স্বাধীনতাকালীন সময় থেকেই বদ্ধ পরিকর। আগামী ৫ বছরে দারিদ্র্য বিমোচনে চলমান সকল পরিকল্পনা অব্যাহত রাখার পাশাপাশি এগুলোকে আরো বড় পরিসরে নিয়ে আসার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে আওয়ামী লীগ যাতে করে ২০২০ সালের মধ্যে দেশে দরিদ্র মানুষের সংখ্যা ৯ শতাংশে নেমে আসে। পাশাপাশি কৃষিভিত্তিক অর্থনীতির আধুনিকায়ন ও ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের সম্প্রসারনেও নতুন পরিকল্পনা নিয়েছে আওয়ামী লীগ।
সামষ্টিক অর্থনীতি: উচ্চ আয়, টেকসই ও অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন
২০০৭-০৮ সালে বৈশ্বিক মন্দা, অর্থনৈতিক শ্লথ ও সংকট পরবর্তী একটি কঠিন সময়ে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার গঠন করে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। বিগত সময়ে বিএনপি-জামাত জোটের দুঃশাসন এবং ১/১১ সরকারের জোরজবরদস্তি ও অবিমৃশ্যকারী পদক্ষেপের ফলে সৃষ্ট অর্থনৈতিক বন্ধ্যাত্ব এবং দুই মেয়াদে ১০ বছর বিভিন্ন প্রতিকুলতাকে মোকাবিলা করে বর্তমানে উন্নয়নের ক্ষেত্রে যে সাফল্য ও অর্জন করেছে, তা দেশের ইতিহাসে অনন্য এবং আন্তর্জাতিক বিশ্বে অনুকরণীয় উদাহরণ সৃষ্টি করেছে। সামষ্টিক অর্থনীতিতে এই ধারাকে অগ্রসর করে নেয়াই আগামী দিনগুলোর চ্যালেঞ্জ।
লক্ষ্য ও পরিকল্পনা: স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী ২০২১ থেকে স্বাধীনতার সত্তর বছর ২০৪১
- বিগত ১০ বছরে আওয়ামী লীগ শাসনামলে উন্নয়নের সূচকগুলোর বিস্ময়কর অগ্রগতি এবং আপামর মানুষের জীবন জীবিকার উন্নতি গণমনে আত্মবিশ্বাস ও সাহস এমন পর্যায়ে উন্নীত করেছে যে, ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উন্নত ও সমৃদ্ধশালী দেশে রূপান্তর সম্ভব। স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীর লক্ষ্য অর্জন করতে হবে এবং পর্যায়ক্রমে স্বাধীনতার সত্তর বছরের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের দিকে অগ্রসর হতে হবে। এ লক্ষ্য বাস্তবায়নে বাংলাদেশের ভবিষ্যত উন্নয়ন পরিকল্পনা, সুদূরপ্রসারি কৌশল ও ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে।
- এই পরিকল্পনায় অঙ্গিকার অনুয়ায়ী ২০১৯-২৩ সময়কালের লক্ষ্যমাত্রা ও কর্মসূচির সাথে সাথে ভবিষ্যত উন্নয়ন পরিকল্পনা ও লক্ষ্যমাত্রাকে এমনভাবে সমন্বয় করা হবে, যাতে দেশ ধারাবাহিকভাবে সুদূরপ্রসারি লক্ষ্য অভিমুখে অগ্রসর হয়। বাংলাদেশ স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী ২০২১ পালনকালে হবে মধ্যম আয়ের দেশ, ২০৩০ সালে উচ্চ মধ্যম আয়ের দেশ এবং ২০৪১ সালে উন্নত দেশ হিসাবে বিশে^র বুকে মাথা তুলে দাঁড়াবে।
- এই পরিকল্পনা অনুযায়ী ২০৩০ সালে বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় হবে ৫৪৭৯ ডলারেরও বেশি।
- এই পরিকল্পনায় ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশের সার্বিক দারিদ্র্যের হার শূণ্য শতাংশে নামিয়ে আনার লক্ষ্যমাত্রা স্থির করা হয়েছে।
- ২০২১ থেকে ২০৪১ অর্থাৎ ২০ বছর বাংলাদেশকে প্রকৃত জিডিপি প্রবৃদ্ধির গড় হার ৯ শতাংশ ধরে রাখতে হবে। গত অর্থবছরে ৭.৮৬ শতাংশের প্রবৃদ্ধির হার প্রমাণ করে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পরিচালিত সরকার এ লক্ষ্য অর্জনে সঠিক পথেই এগিয়ে যাচ্ছে।
কৌশল ও পদক্ষেপ
বেসরকারি খাতে নতুন মূলধন সৃষ্টির হার বৃদ্ধি করার লক্ষ্যে
- ২০৪১ সালের মধ্যে বিনিয়োগের হার জিডিপি’র ৪০ শতাংশে উন্নীত করতে হবে।
- পর্যাপ্ত অবকাঠামো সেবা সরবরাহ করতে হবে।
- রপ্তানি বাজারে প্রতিযোগিতা সক্ষমতা বাড়াতে হবে।
- ব্যাংক ও বীমা খাতের সেবা সম্প্রসারণ, দক্ষতা ও দায়বদ্ধতা নিশ্চিত করতে হবে।
- পুঁজি বাজারের সম্প্রসারণ ও গভীরতা এবং পুঁজি পণ্য সরবরাহ ও বৈচিত্র্য বাড়াতে হবে। ইতোমধ্যে চীনা কনসর্টিয়াম ঢাকা পুঁজি বাজারে কৌশলগত বিনিয়োগ করেছে।
- প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীর অংশগ্রহণ বৃদ্ধি করা হবে।
- ক্ষুদ্র ও মাঝারি মূলধনী কোম্পানীর শেয়ার এবং ভেঞ্চার ক্যাপিটালে বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানসমূহের লেনদেন দ্রুত নিষ্পন্ন করা হবে।
- দেশব্যাপী বিনিয়োগ প্রশিক্ষণ কার্যক্রম সম্প্রসারণ করে পুঁজি বাজারে বিনিয়োগ সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টি করা হবে।
জনসংখ্যায় বয়স কাঠামোর সুবিধাকে কাজে লাগানোর লক্ষ্যে
- ২০১৫ সালে বাংলাদেশে কর্মক্ষম জনগোষ্ঠীর অনুপাত ছিল ৬৬ শতাংশ, ২০৩০ সালে যা বৃদ্ধি পেয়ে হবে ৭০ শতাংশ। ২০৩০ এর পর থেকে এই হার কমতে থাকবে। এই জনমিত্রিক সম্ভাবনার সুফল বাস্তবায়নের জন্য সকল পদক্ষেপ নেয়া হবে।
- শোভন কাজের পরিসর বৃদ্ধি করা হবে, শ্রমের উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধিতে প্রশিক্ষণ ও নতুন প্রযুক্তির বিকাশে গুরুত্বারোপ করা হবে, ব্যবস্থাপনাগত দক্ষতা বাড়ানোর উদ্যোগ নেয়া হবে। বয়স্ক জনগোষ্ঠীর সঞ্চয়কে বিনিয়োগে রূপান্তরের সুযোগ তৈরি করা হবে।
- কারিগরি শিক্ষা প্রসারের লক্ষ্যে ১১৯ উপজেলায় টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজ প্রতিষ্ঠা প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে; অতিরিক্ত ৩৮৯ টি টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজ স্থাপন করা হবে।
- শুধু ভৌত উপকরণের উপর নির্ভর করে অব্যাহত প্রবৃদ্ধি সম্ভব নয়। শিল্পনির্ভর প্রবৃদ্ধির জন্য জ্ঞান ও প্রযুক্তি ভিত্তিক উৎপাদন ব্যবস্থা সুনিশ্চিত করা হবে।
রপ্তানি আয় বৃদ্ধির লক্ষ্যে
- রপ্তানি পণ্যের বৈচিত্র্য বৃদ্ধি এবং নতুন বাজার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। সীমিত সংখ্যক পণ্য ও বাজারের উপর নির্ভর করে রপ্তানি সম্প্রসারণ দু:সাধ্য।রপ্তানি বহুমুখীকরণের জন্য খাতভিত্তিক সমস্যাবলি সমাধানের পদক্ষেপ নেয়া হবে।
- রপ্তানি বৃদ্ধির জন্য সরকার যে সকল সহায়তা দেয়, যথা- শুল্ক-কর-মুসক রেয়াৎ, নগদ প্রণোদনা ইত্যাদির সামগ্রিক কার্যকারিতা বিশ্লেষণ করে প্রয়োজন অনুসারে সংস্কার ও সমন্বয় করা হবে। জ্ঞান ও প্রযুক্তি ভিত্তিক শিল্প বিকাশের জন্য শুল্ক-কর সুবিধা ও প্রণোদনা বিশেষ বিবেচনা পাবে, যা প্রশিক্ষিত তরুণ ও যুবকদের শিল্পের প্রতি আকৃষ্ট করবে এবং দক্ষ উদ্যোক্তা শ্রেণি সৃষ্টিতে ভূমিকা রাখবে।
প্রবৃদ্ধি ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির লক্ষ্যে
- ২০৩০ সালের মধ্যে দেশকে উচ্চ মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করার জন্য সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার (২০১৬-২০) কালপর্বে গড় প্রবৃদ্ধি ৭.৫ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে এবং অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার (২০২১-২৫) কালপর্বে এ হার গড়ে ৮.৩ শতাংশ করার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হবে।
কাঙ্খিত রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যে
- আয়কর, ভ্যাট ও সম্পূরক শূল্কের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় সংস্কার করে রাজস্ব সংগ্রহ বাড়ানো হবে।
- মূসক আইন যুক্তিযুক্ত ও বাস্তবায়নযোগ্য করে বিদ্যমান ইস্যুগুলোকে সমাধান করা হবে। ভ্রান্ত পৌন:পুনিক কর আরোপ (কাসকেডিং) পরিহার করা হবে। বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তির (এডিআর) ব্যবহার বৃদ্ধি করা হবে। নিরীক্ষা প্রতিবেদন ও বিরোধ নিষ্পত্তির সাফল্য বিবেচনায় নিয়ে কর কর্মকর্তাদের পুরষ্কার বা প্রণোদনা প্রদান কার্যক্রমকে অধিক কার্যকর করা হবে।
- আয়ের সাথে সঙ্গতি রেখে আয়করের পরিধি ক্রমান্বয়ে বাড়ানো হবে।
- কর কর্মকর্তাদের ব্যবসায়িক অর্থায়ন, হিসাববিজ্ঞান, বাণিজ্যিক আইন, ব্যাংকিং আইন, আন্তর্জাতিক বাণিজ্য প্রভৃতি বিষয়ে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে।
বাজেট প্রক্রিয়ার প্রয়োজনীয় সংস্কার করার লক্ষ্যে
- বিনিয়োগ ও কল্যাণমুখী পরিকল্পনার অংশ হিসেবে দক্ষতা প্রশিক্ষণ চলাকালীন প্রশিক্ষণার্থীদের মাসিক ভাতা প্রদান করা হবে।
- সামাজিক সুরক্ষা বেষ্টনীর জন্য প্রয়োজন অনুসারে বরাদ্দ বৃদ্ধি করা হবে, যার মধ্যে বয়স্ক পুরুষ জনগোষ্ঠীও অন্তর্ভুক্ত হবেন। দুঃস্থ, বিধবা ও বয়স্ক নারীদের জন্য বিদ্যমান কর্মসূচীর আওতা ও ব্যয় বৃদ্ধি করা হবে।
- বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) দ্বিগুণ করার জন্য অর্থাৎ জাতীয় আয়ের ৯ শতাংশ এডিপিতে খরচ করার উদ্দেশ্যে বাজেট কৌশলে সমন্বয় করা হবে। বিদেশি অর্থায়নের কার্যকরী ব্যবহার নিশ্চিত করা হবে। ব্যাংক হতে ঘাটতি অর্থ সংস্থান নিয়ন্ত্রণে রাখা হবে।
- একটি শক্তিশালী বেসরকারি খাত যাতে অধিক রাজস্ব প্রদান করার সক্ষমতা অর্জন করতে পারে, সেই লক্ষ্য সামনে রেখে পরিকল্পনা প্রণয়ন করা হবে।
- বিশেষজ্ঞ জ্ঞান ও প্রশাসনিক ক্ষমতা সমন্বিত করে পিপিপি ও বিডা’র প্রধান নির্বাহী নিয়োগ করা হবে যা প্রতিষ্ঠান দুটির কর্মদক্ষতা বাড়াবে। বিশেষজ্ঞ ও প্রশাসনিক প্রধান ও সর্বোচ্চ অনুমোদন ক্ষমতা দুটির মধ্যে আমলাতান্ত্রিক স্তর কমিয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করা হবে।
- ব্যবসার পরিচালনা ব্যয় (Cost for doing Business) ক্রম-উন্নয়নের জন্য সর্বপ্রকার উদ্যোগ নেয়া হবে।
ব্যাংকিং ও আর্থিক খাতের উন্নয়নের লক্ষ্যে
- খেলাপি ঋণের পরিমাণ কমিয়ে আনার এবং দেউলিয়া আইন বাস্তবায়নের টেকসই ও কার্যকর পদ্ধতি নির্ণয় করা হবে।বাজার ব্যবস্থাকে ক্ষতিগ্রস্ত না করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বিচক্ষণতার সাথে নির্দিষ্ট পদ্ধতি ব্যবহার করে সুদের হার নিয়ন্ত্রণে রাখবে। ঋণ অনুমোদন ও অর্থছাড়ে দক্ষতা এবং গ্রাহকের প্রতি ব্যাংকের দায়বদ্ধতা পরিবীক্ষণের জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংক পদক্ষেপ নিবে।
অর্থপাচার রোধ করার লক্ষ্যে
- বিদেশে অর্থ বা পুঁজি পাচার ও সম্পদ গচ্ছিত রাখা সম্পর্কে সচেতনতা বাড়ানোর লক্ষ্যে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে। অপরাধীদের আইনের আওতায় আনবার জন্য সরকার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিচ্ছে এবং অপরাধ দৃঢ়ভাবে দমনে সক্রিয় থাকছে। পুঁজি পাচার ও সন্ত্রাসী অর্থ সংস্থান দমনের ক্ষেত্রে বিশ্ব সংস্থা এগমন্ট গ্রুপের সদস্য হিসাবে বাংলাদেশ গ্রুপের ১৫৯টি সদস্য রাষ্ট্র এবং অন্যান্য কয়েকটি দেশের সাথে মানি-লন্ডারিং ও সন্ত্রাস সমর্থনে অর্থসংস্থান সম্পর্কিত তথ্য আদান-প্রদান করে এবং অপরাধ নিরোধ কার্যক্রম সমন্বয় করে। অর্থ পাচার ও জঙ্গি সহায়তায় অর্থসংস্থান দমনের জন্য সরকার প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বৃদ্ধি করেছে। বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইনটেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) একটি স্বতন্ত্র সংস্থা হিসাবে বিশ্বসংস্থা ও বিদেশি সংস্থাসমূহের সাথে যোগাযোগ রাখছে। অর্থ পাচার রোধ এবং পাচারকৃত অর্থ পুনরুদ্ধারের জন্য ‘বিদেশে পাচারকৃত সম্পদ ফেরৎ আনার লক্ষ্যে গঠিত আন্তঃসংস্থা টাস্কফোর্স’ কাজ করছে।
- মানি-লন্ডারিং ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধ বিষয়ক জাতীয় কৌশলপত্র ২০১৫-২০১৭ সংশ্লিষ্ট অপরাধ দমনের আবশ্যিক কৌশল নির্ধারণ করা হয়েছে। অপরাধ ও শুল্ক-কর ফাঁকি দিয়ে অর্জিত সম্পদ পাচাররোধ এবং পাচারকৃত সম্পদ পুনরুদ্ধার কৌশলের উপর সর্বাধিক গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে। অর্থপাচার রোধে সকল কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
দারিদ্র্য বিমোচন ও বৈষম্য হ্রাস
দারিদ্য বিমোচন
বিদেশী শাসন ও শোষণের ফলে উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত দারিদ্র একবিংশ শতকের উপযোগী আলোকোজ্জ্বল সুখি সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার পথে অন্তরায়। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্টের পর সামরিক স্বৈরশাসনের আমলে ‘মানি ইজ নো প্রবলেম’ নীতি জাতির পিতার স্বপ্ন ‘দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর’ পথে বাঁধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল। ১৯৯৬-২০০১ আওয়ামী লীগ শাসনামলে জাতি দারিদ্র বিমোচনে অনেকটাই অগ্রসর হয়েছিল। কিন্তু আবারও পথভ্রষ্ট হয় জাতি। বিগত ১০ বছরে জাতি আজ অনেক দূর এগিয়েছে। কিন্তু অনেক পথ পাড়ি দেয়া বাকী। বর্তমানের সাফল্য ও অর্জনের ভিতের ওপর দাঁড়িয়ে আগামী দিনগুলোতে দারিদ্রমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তোলা হবে।
লক্ষ্য ও পরিকল্পনা
- বর্তমানে সামাজিক সুরক্ষার আওতায় ৪ কোটি ৯২ লক্ষ লোক বিভিন্ন প্রকার আর্থিক সহযোগিতা পাচ্ছে; আগামী ৫ বছরে এই খাতে বরাদ্দ দ্বিগুণ করা হবে।
- দেশ থেকে ভিক্ষাবৃত্তি ও ভবঘুরেপনা সম্পূর্ণ উচ্ছেদ করা হবে। দারিদ্র্যসীমা ও চরম দারিদ্র্যের হার যথাক্রমে ১২.৩ ও ৫ শতাংশে নামিয়ে আনা হবে।
- ২০২৩ সালের মধ্যে দরিদ্র্য জনসংখ্যা ২.২ কোটির নীচে নামানো হবে।
- প্রতিটি পরিবারে অন্তত একজনের নিয়মিত রোজগার নিশ্চিত করে দারিদ্র্য বিমোচনের লক্ষ্য হাসিল করা হবে।
- পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকসহ অন্যান্য ব্যাংকের মাধ্যমে পল্লী জনপদের দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে ঋণ প্রদানের মাধ্যমে তাদের অর্থনৈতিক কর্মকান্ডে সম্পৃক্ত করা হবে।
- পিকেএসএফ-এর৮ মিলিয়ন ঋণগ্রহীতার মধ্যে ৯১ শতাংশ নারী। সকল ক্ষুদ্রঋণে নারীদের অগ্রাধিকার প্রদান অব্যাহত রাখা হবে।
- আশ্রায়ন প্রকল্পের পরিধি আরো বৃদ্ধি করে সকলের জন্য বাসস্থানের মত মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করা হবে।
বৈষম্য হ্রাসঃ
ধনী-দরিদ্র ও শহর-গ্রাম পর্যায়ে আয় বৈষম্য হ্রাস করার লক্ষ্যে আওয়ামী লীগ অঙ্গীকারাবদ্ধ।
লক্ষ্য ও পরিকল্পনা
- বৈষম্য দূরীকরণে গৃহীত পরিকল্পনা ও কর্মসূচির পরিধি অর্থ বরাদ্দ বৃদ্ধি করে জোরদার করা হবে।
কৃষি, খাদ্য ও পুষ্টি: খাদ্য নিরাপত্তা অর্জনে নিশ্চয়তা
বাংলাদেশে কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি ও খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের অভূতপূর্ব সাফল্য বিশ্ববাসীর নজর কেড়েছে। খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা ও কৃষি পণ্যের রপ্তানি বৃদ্ধি করা টেকসই উন্নয়নের অন্যতম প্রধান লক্ষ্য। এখন খাদ্যোৎপাদন বৃদ্ধি ও সবার জন্য খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা বিধানে এগিয়ে যাওয়া আমাদের সুদৃঢ় প্রত্যয়।
লক্ষ্য ও পরিকল্পনা
- সবার জন্য পুষ্টিমান সম্পন্ন খাদ্যের যোগান দেয়ার লক্ষ্যে দ্রুত কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি ও খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের সফল ধারা অব্যাহত রাখা হবে। প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী সময়মত মানসম্পন্ন কৃষি উপকরণের উপর ভর্তুকি অব্যাহত রাখা হবে।
- কৃষিতে শ্রমিক সংকট লাঘবের জন্য সহজে ব্যবহার্য ও টেকসই কৃষি যন্ত্রপাতি সুলভে সহজপ্রাপ্য করা হবে।
- সহজ শর্তে সময়মত কৃষি ঋণ, বিশেষ করে বর্গাচাষীদের জন্য জামানতবিহীন কৃষি ঋণ প্রদানের ব্যবস্থা অব্যাহত থাকবে। মহিলা কৃষকদের জন্য গৃহাঙ্গন ও মাঠে ফসল চাষের জন্য কৃষি ঋণ আরো সহজপ্রাপ্য করা হবে।
- খাদ্যশস্যের পাশাপাশি আলু, শাক-সবজি, তৈলবীজ, মসলা, নানাজাতীয় ফলমূল, ফুল, লতাপাতা-গুল্ম, ঔষধি ও ফসল উৎপাদনে বর্তমানে প্রদত্ত সহযোগিতা অব্যাহত রাখা হবে। এ লক্ষ্যে কৃষি সম্প্রসারণ কার্যক্রমকে আরো শক্তিশালী করা হবে।
- স্থানীয় পর্যায়ে কোল্ড স্টোরেজ স্থাপন, ফসল প্রক্রিয়াজাতকরণ এবং কৃষি পণ্যের দক্ষ সাপ্লাই চেন/ভ্যালু চেইন গড়ে তোলা হবে। সেই সঙ্গে গ্রামীণ কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করা হবে।
- কৃষি গবেষণায় বাজেট বরাদ্দ ইতোমধ্যে বাড়ানো হয়েছে এবং কৃষি গবেষণা প্রতিষ্ঠানসমূহের সক্ষমতা আরো বৃদ্ধি করা হবে। বিশেষ করে জীবপ্রযুক্তি, জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং, ন্যানো প্রযুক্তি, সংরক্ষণশীল ও সুনির্দিষ্ট কৃষি, হাইব্রিডাইজেশন, জিএম ফুড ইত্যাদি বিষয়ে গবেষণাকে অগ্রাধিকার দেয়া হবে।
- ইতোমধ্যে পাট ও ইলিশ মাছের জেনম আবিষ্কারের ফলাফলকে অধিকতর উৎপাদনশীল ও লাভজনক প্রযুক্তি উদ্ভাবনে উৎসাহ ও সহযোগিতা দেয়া হবে।
- উৎপাদিত কৃষি পণ্যের ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত করার লক্ষ্যে স্থানীয় অবকাঠামো, কৃষক সংগঠন (এফএফএস), বিপণন সংগঠন, সমবায় সমিতি ও কৃষি ব্যবসায়ী সংগঠনগুলোকে শক্তিশালী করা হবে।
- জলবায়ু পরিবর্তনের পরিপ্রেক্ষিতে প্রতিকুল কৃষি-আবহাওয়া অঞ্চল যেমন লবণাক্ত অঞ্চল, হাওর ও চরাঞ্চল, পার্বত্যাঞ্চল ও বরেন্দ্র অঞ্চলসমূহের কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি এবং জীবিকায়নের ওপর জোর দেয়া হবে।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ
দানাদার খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের পাশাপাশি প্রাণিজ আমিষের প্রয়োজন মেটানো, পুষ্টি ও খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা আগামী মেয়াদে সরকারের অন্যতম প্রধান চ্যালেঞ্জ। বিপুল জনগোষ্ঠী গুরুত্বপূর্ণ প্রাণিসম্পদ খাতেজড়িত আছেন।
লক্ষ্য ও পরিকল্পনা
- ২০২৩ এর মধ্যে হাঁস-মুরগির সংখ্যা দ্বিগুণ করার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
- প্রাণীখাদ্য, গবাদি পশুর ঔষধপত্র ও চিকিৎসা ব্যয় হ্রাস ও সহজ প্রাপ্য করার ওপর জোর দেয়া হবে। সেই সঙ্গে এগুলোর জন্য যাতে ভালো দাম পাওয়া যায় তার জন্য বাজার ব্যবস্থা ও বর্জ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ সুবিধার আরো উন্নয়ন করা হবে।
- ছোট ও মাঝারি আকারের দুগ্ধ ও পোল্ট্রি খামার প্রতিষ্ঠা এবং মৎস্য চাষের জন্য সহজ শর্তে ঋণ, প্রয়োজনমত ভর্তুকি, প্রযুক্তিগত পরামর্শ ও নীতি সহায়তা বৃদ্ধি করে তা অব্যাহত রাখা হবে।
- পুকুরে মাছ চাষ ও যেখানে সম্ভব ধান ক্ষেতে মাছ চাষের আরো প্রসারের জন্য উন্নত জাতের পোনা, খাবার, রোগব্যাধির চিকিৎসা, পুঁজি সংস্থান ও সুলভে বিদ্যুৎ সংযোগসহ অন্যান্য সুযোগ সুবিধা প্রদান অব্যাহত রাখা হবে।
- মৎস্য খাতের উন্নয়ন ও সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য গবেষণার ব্যাপক মানোন্নয়ন, কৃষকদের সম্পৃক্ত করে মাছ চাষের ব্যবস্থাপনাগত উন্নতি সাধন ও ধৃত মাছের অপচয় ও ক্ষয়ক্ষতি হ্রাস করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
শিল্প উন্নয়ন
উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বির্নিমাণে শিল্পায়নের গুরুত্ব খুবই বেশি। দেশে প্রতি বছর বিপুল সংখ্যক শিক্ষিত তরুণ-যুব সমাজের জন্য কর্মসংস্থান ও কাজের উৎস সৃষ্টি করা প্রয়োজন। এই বাস্তবতা বিবেচনায় নিয়ে সরকার বিপুল শ্রমশক্তি কাজে লাগাতে শ্রমঘন ক্ষুদ্র ও মাঝারী শিল্পভিত্তিক শিল্প উন্নয়ন কৌশলের উপর জোর দিয়ে যাচ্ছে। সেই সাথে গুরুত্ব পাচ্ছে ভারী ও মৌলিক শিল্প- যে শিল্পকে ভিত্তি করে বহুমাত্রিক সংযোজন শিল্প গড়ে উঠবে।
লক্ষ্য ও পরিকল্পনা
- রপ্তানি বহুমুখীকরণের ক্ষেত্রে সম্ভাবনাময় খাত হিসেবে পাটজাত পণ্যের রপ্তানিতে আর্থিক প্রণোদনা অব্যাহত রাখা হবে।
- শিল্পায়নের প্রবৃদ্ধি অর্জনে সম্পদ ও উপাদান হিসেবে প্রযুক্তির উদ্ভাবনে দেশীয় গবেষণাকে উৎসাহিত করার লক্ষ্যে গবেষণায় ব্যয় বৃদ্ধি করা হবে।
- শিল্প স্থাপনের বাধা, বিশেষত: ভূমি ব্যবস্থাপনার জটিলতা দূর করা হবে।
- দেশে যেসব পণ্য উৎপাদনের সম্ভাবনা আছে সেসব ক্ষেত্রে যুক্তিসঙ্গত প্রতিরক্ষণ ও প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে প্রণোদনা দেয়া হবে।
- কৃষি প্রক্রিয়াজাতকরণ খাতকে বিশেষ গুরুত্ব সহকারে সুযোগ-সুবিধা দেয়া হবে।
- পোশাক ও টেক্সটাইল খাতের মানোন্নয়ন ও সম্প্রসারণ, জাহাজ নির্মাণ শিল্প, চামড়া, খেলনা, জুয়েলারি, আসবাবপত্র, পর্যটন এ সকল খাত এই কর্মসূচির সুবিধা পাবে।
- ঔষধ শিল্প ও ঔষধের কাঁচামাল প্রস্তুতকারী এ্যাক্টিভ ফার্মাসিউটিক্যাল ইনগ্রেডিয়েন্ট শিল্পকে উৎসাহ দেয়া হবে। ডব্লিউটিও (WTO) অনুন্নত দেশের জন্য এ.পি.আই শিল্পকে ২০৩২ সাল পর্যন্ত বিবিধ রেয়াত দিয়েছে, যার সুফল গ্রহণের জন্য গৃহীত নীতি দ্রুত বাস্তবায়ন করা হবে।
- পিপিপি আইন ও ব্যবস্থাপনা কাঠামো সংস্কার করা হবে। বিডা (BIDA)-কে অধিকতর কার্যক্ষম করা হবে।
- অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলো আনুমানিক অতিরিক্ত ৪০ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি আয় বৃদ্ধি করবে এবং প্রায় এক কোটি মানুষের কর্মসংস্থান করবে।
- পদ্মা সেতুর দুই পাড়ে সিঙ্গাপুরের আদলে শিল্পনগরী গড়ে তোলার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হবে।
- জেলা শহর ও মফস্বল শহরে স্থানীয় কাঁচামাল ভিত্তিক ক্ষুদ্র ও মাঝারী শিল্পের গুচ্ছ শিল্পাঞ্চল (ক্লাস্টার ইন্ডাস্ট্রি) গড়ে তোলা হবে। সরকারের “একটি বাড়ী একটি খামার” প্রকল্পকে গ্রামভিত্তিক ক্ষুদ্র ও মাঝারী গুচ্ছশিল্প কাঠামোর সাথে সংযুক্ত করা হবে।
- সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানা আধুনিকায়নের মাধ্যমে দেশের অভ্যন্তরে বগি ও কোচ উৎপাদন করার উদ্যোগ নেয়া হবে।
- বিভাগীয় শহরে আইটি শিল্প পার্ক স্থাপন করা হবে এবং এসব শিল্প পার্কে আগামী পাঁচ বছরে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে।
- শিল্পের ভিত্তি মজবুত এবং আধুনিকায়নে ভারী ও মৌলিক শিল্প স্থাপনে উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে, যাকে কেন্দ্র করে শিল্পনগরী গড়ে উঠবে।
- জ্ঞানসমৃদ্ধ সমাজে বিজ্ঞান-প্রযুক্তি ভিত্তিক শিল্পকে উৎসাহিত করা হবে।
জলবায়ু পরিবর্তন ও পরিবেশ সুরক্ষা
জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে যে সব দেশ সবচেয়ে বেশী ক্ষতিগ্রস্থ ও ঝুঁকিপূর্ণ বাংলাদেশের অবস্থান তার মধ্যে শীর্ষে। ইতোমধ্যে জলবায়ু পরিবর্তন, উষ্ণায়ন ও পরিবেশ রক্ষার চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বাংলাদেশের অবস্থান ও পদক্ষেপ বিশ্ব সমাজে বহুলভাবে প্রশংসিত হয়েছে। এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আরো সাহসী ও দুরদৃষ্টিসম্পন্ন পরিকল্পনা ও পদক্ষেপ গ্রহণ এখন সময়ের দাবি।
লক্ষ্য ও পরিকল্পনা
- বিশ্ব উষ্ণায়নের বর্তমান ধারা অব্যাহত থাকলে বাংলাদেশের ১৭ শতাংশ এলাকা থেকে মানুষকে অন্যত্র সরিয়ে নেয়ার প্রয়োজন হতে পারে। সেই প্রেক্ষিতে পরিকল্পনা ও কর্মসূচি প্রণয়ন করা হবে।
- ক্ষতিগ্রস্থ মানুষকে সাহায্য করার লক্ষ্যে ২০১০ সালে প্রতিষ্ঠিত ‘বাংলাদেশ জলবায়ু ট্রাস্ট ফান্ডে’ বরাদ্দ আরো বাড়ানো হবে।
- উৎপাদনশীল বনের আয়তন ২০১৫ সালের ১৩.১৪ শতাংশ হতে ২০ শতাংশে উন্নীতকরণ; ঢাকা ও অন্যান্য বড় নগরগুলোতে বায়ুর মান উন্নয়ন এবং বিশুদ্ধ বায়ু আইন প্রণয়ন; শিল্প বর্জ্যরে শূণ্য নির্গমণ/নিক্ষেপণ প্রবর্ধন করা; জলাভূমি সংরক্ষণ আইন মেনে বিভিন্ন নগরের জলাভূমি পুনরুদ্ধার ও সুরক্ষা করা; উপকূলরেখা ব্যাপী ৫০০ মিটার চওড়া স্থায়ী সবুজ বেষ্টনী গড়ে তোলা হবে।
- সেচ সুবিধা সম্প্রসারণ ও লবণাক্ততা রোধ ও সুন্দরবনসহ অববাহিকা অঞ্চলের মিঠা পানি প্রাপ্তির লক্ষ্যে গঙ্গা ব্যারেজ প্রকল্প বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেয়া হবে।
- দেশের বিস্তীর্ণ হাওর ও ভাটি অঞ্চলের প্রাকৃতিক পরিবেশ রক্ষায় স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদি প্রকল্প গ্রহণ করা হবে।
- উন্নয়ন কার্যক্রমের সকল ক্ষেত্রে সবুজ প্রবৃদ্ধি কৌশল (green growth strategy) গ্রহণ করা হবে।
এসি