‘উন্নত বাংলাদেশ গড়তে ব্যবসায়ীদের অগ্রণী ভূমিকা রাখতে হবে’
প্রকাশিত : ২৩:৩৩, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৯ | আপডেট: ২৩:৩৩, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৯
উন্নত বাংলাদেশ গড়তে ব্যবসায়ীদের অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে। মুক্তিযোদ্ধাগণ জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান। বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের অর্থনৈকিত মুক্তির জন্য আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। ব্যবসায়ীরাই হলেন দেশের অর্থনীতির চালিকা শক্তি। ব্যবসায়ীরাই দেশের অর্থনীতিকে এগিয়ে নিচ্ছেন।
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি আজ ঢাকায় ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলের রুপসীবাংলা গ্রান্ড বল রুমে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবং রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো আয়োজিত সিআইপি(রপ্তানি) ও সিআইপি(ট্রেড)-২০১৭ কার্ড প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ সব কথা বলেন।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, দেশের প্রধান রপ্তানি পণ্য এখন তৈরী পোশাক। রপ্তানি আয়ের ৮৪ ভাগ আসে তৈরী পোশাক রপ্তানি করে। আমাদেরর রপ্তানি পণ্য ও বাজার সম্প্রসারণ করতে হবে। গত অর্থ বছর আমরা রপ্তানি করেছি ৪৬.৮৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এবছর ৫৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। আমার বিশ্বাস গতবারের ন্যায় এবারও রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা ছড়িয়ে যাবে। ২০২১ সালে আমাদেরর রপ্তানি ৬০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ছাড়িয়ে যাবে।
অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি তোফায়েল আহমেদ বলেন, বাংলাদেশের রপ্তানি বাণিজ্য একটি খাতের উপর নির্ভরশীল হয়ে পরেছে। ২০২৪ সালে বাংলাদেশ এলডিসি থেকে বেড়িয়ে উন্নয়ন শীল দেশে পরিনত হবে। তখন আর আমরা জিএসপি সুবিধা পাবো না। উন্নবিশ্ব থেকে জিএসপি প্লাস সুবিধা পেতে এখন থেকেই প্রচেষ্টা চালাতে হবে। বাংলাদেশ এখন আর দরিদ্র দেশের মডেল নয়, উন্নয়নের রোল মডেল। উন্নয়নের এ ধারা অব্যাহত রাখতে হবে।
রপ্তানি ও ব্যবসা-বাণিজ্যে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতি স্বরুপ সরকার ২০১৭ সময়ে ২২টি পণ্য খাতের মধ্যে ১৭টি খাতে যেমন- কাঁচাপাট, পাটজাত দ্রব্য, চামড়াজাত দ্রব্য, হিমায়িত খাদ্য, ওভেন গার্মেন্টস, কৃষিজাত দ্রব্য, এগ্রো প্রসেসিং, লাইট ইঞ্জিানয়ারিং প্রোডাক্ট, ফার্মাসিটিক্যালস প্রোডাক্ট, হস্তশিল্প দ্রব্য, স্পেশালাইজড টেক্সটাইলস/হোম টেক্সটাইলস, নিটওয়্যার, সিরামিক পণ্য, টেবিল ওয়্যার, প্লাষ্টিক পণ্য, টেক্সটাইল ফেব্রিকস, কম্পিউটার সফটওয়্যার ও কম্পিউটার সেবা, ডাটা প্রসেসিং, এবং ইপিজেড ভুক্ত সি ক্যাটাগরির বিভিন্ন পণ্য খাতে ১৩৬ জন সিআইপি(রপ্তানি) এবং ট্রেড ক্যাটাগড়িতে ৪৬ জনকে সিআিইপি(ট্রেড) কার্ড প্রদান করা হয়।এর মধ্যে চেম্বার গ্রুপ হতে এফবিসিসিআই এর পরিচালক ১৩ জন, এসোসিয়েশন গ্রুপ হতে ১৫ জন, ৯টি জেলা ভিত্তিক চেম্বার হতে মনোনিত এফবিসিসিআই এর পরিচালক ৯ জন এবং ৯টি এসোসিয়েশন হতে মনোনিত এফবিসিসিআই এর পরিচালক ৯ জন কে সিআইপি নির্বাচিত করা হয়েছে।
সিআইপি হিসেবে মনোনিত ব্যক্তিবর্গবিশেষ কিছু সুবিধা ভোগ করে থাকেন। সরকারি নীতিমালা অনুযায়ী সিআইপি কার্ড প্রাপকগণ বাংলাদেশ সচিবালয়ে প্রবেশের পাস এবং গাড়ির স্টিকার প্রাপ্ত হবেন, ব্যবসা সংক্রান্ত ভ্রমনে বিমান. রেল, সড়ক ও জলপথে সরকারি যানবাহনে আসন সংরক্ষণের ক্ষেত্রে বিশেষ অগ্রাধিকার লাভ করবেন। জাতীয় অনুষ্ঠান এবং মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের নাগরিক সংবর্ধনায় আমন্ত্রণ প্রাপ্তি এবং ব্যবসা সংক্রান্ত কাজে বিদেশ ভ্রমনের ক্ষেত্রে ভিসা সুবিধার জন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় হতে লেটার অফ ইট্রোডাকশন প্রাপ্ত হবেন।একজন সিআইপি তাঁর স্ত্রী, পুত্র, কন্যা ও নিজের চিকিৎসার জন্য সরকারি হাসপাতালে কেবিন প্রাপ্তির ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পাবেন। বিমান বন্দরে তিনি ভিআইপি লাউঞ্জ-২ ব্যবহারের সুযোগ পাবেন।
অনুষ্ঠানে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মো. জাফর উদ্দীন, রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর ভাইস চেয়ারম্যান ফাতিমা ইয়াসমিন, এফবিসিসিআই এর প্রেসিডেন্ট শেখ ফজলে ফাহিম এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব(রপ্তানি) তপন কান্তি ঘোষ বক্তব্য রাখেন।
আরকে//
আরও পড়ুন