উন্নত লজিস্টিকস সেবায় পিছিয়ে দেশ (ভিডিও)
প্রকাশিত : ১১:৫৭, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২২
বিনিয়োগ বাড়ছে বিকশিত হচ্ছে বাণিজ্যও। তবে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে না উন্নত লজিস্টিকস সেবা। এতে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যে সময় আর ব্যয় দুটোই বাড়ছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শুধু লজিস্টিকস সেবা উন্নয়নের মাধ্যমে রপ্তানি-আয় আরও ২০ ভাগ বাড়ানো সম্ভব।
২০২১-২২ অর্থবছরে ৫২ বিলিয়ন ডলারের পণ্য রপ্তানি করে বাংলাদেশ। এ সময়ে আমদানি হয় প্রায় ৮৮ বিলিয়ন ডলারের পণ্য। আর আমদানি-রপ্তানির সিংহভাগই হয়েছে চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর দিয়ে। অথচ সক্ষমতা দিক দিয়ে এশিয়ার অন্যান্য দেশগুলোর মধ্যে চট্টগ্রাম বন্দরের অবস্থান পেছনের সাঁড়িতে।
এদিকে, উন্নত লজিস্টিকস সেবাতেও পিছিয়ে দেশ। লজিস্টিকস সূচকে উদীয়মান ৫০ দেশের মধ্যে বাংলাদেশ ৩৯তম। এক সমীক্ষা বলছে, এখাতের উন্নয়নের মাধ্যমে রপ্তানি আয় আরও ২০ শতাংশ বাড়াতে পারে বাংলাদেশ।
২০৩০ সালের মধ্যে শুধু তৈরি পোশাক থেকেই ১০০ বিলিয়ন ডলার আয়ের পরিকল্পনা রয়েছে। লক্ষ্য অর্জনে উন্নত লজিস্টিকস সেবার বিকল্প নেই, বলছেন ব্যবসায়ী নেতারা।
ডিসিসিআই সাবেক সভাপতি আসিফ ইব্রাহিম বলেন, “আমরা চাই যে চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা আরও অনেক বাড়ুক। কারণ আমদানী-রপ্তানি দুটোই বাড়বে তাই অবকাঠামোও বাড়াতে হবে।”
লজিস্টিকস সেবার মান ও ডিপোর সক্ষমতা বৃদ্ধিতে আধুনিক যন্ত্রাপাতির সাথে দক্ষ মানবসম্পদ জরুরি। এসব নিশ্চিতে বিনিয়োগ বাড়ানোর পরামর্শ দিচ্ছেন অর্থনীতিবিরা।
অর্থনীতিবিদ ড. মাহবুব আলী বলেন, “বন্দর আধুনায়ক হলেই যে সবকিছুর সমাধান হবে তা নয়। যে অসাধু চক্রটি আছে তারা কিন্তু বন্দর আধুনায়ক হলেও উল্টাপাল্টা করতে পারে।”
এছাড়া লজিস্টিকস খাতের জন্য একটি নীতিমালা প্রণয়ন জরুরি, বলছেন ব্যবসায়ীদের পাশাপাশি অর্থনীতিবিদরাও।
এএইচ
আরও পড়ুন