উৎপাদনশীলতা বাড়ানোর বিকল্প নেই
প্রকাশিত : ০৮:৪৪, ২ অক্টোবর ২০২১
করোনাভাইরাস সংক্রমণের কারণে বিশ্ব অর্থনীতি বিপর্যস্ত। এই পরিস্থিতিতে বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে হলে উৎপাদনশীলতা বাড়ানো ছাড়া অন্য কোন বিকল্প নেই। এ উদ্দেশ্যকে সামনে রেখেই দেশে পালিত হচ্ছে- ‘জাতীয় উৎপাদনশীলতা দিবস’।
উৎপাদনশীলতা বাড়ানোর লক্ষ্যে প্রতি বছর ২ অক্টোবর দিবসটি পালিত হয়ে আসছে। দেশে উৎপাদনশীলতা বাড়াতে সরকারের ১০ বছর মেয়াদি মহাপরিকল্পনা রয়েছে। এর আওতায় প্রতি বছর গড়ে ৫ দশমিক ৬ শতাংশ হারে উৎপাদন বাড়ানোর লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে।
দিবসটি উপলক্ষে ‘অপ্রতিরোধ্য অগ্রযাত্রায় উৎপাদনশীলতা’ শীর্ষক এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীন ন্যাশনাল প্রোডাক্টিভিটি অর্গানাইজেশন (এনপিও)। দেশে উৎপাদনশীলতা বাড়াতে সরকারের দায়িত্বপ্রাপ্ত দপ্তর এটি। শিল্প মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি থাকবেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন।
ঢাকার বাইরে বিভিন্ন জেলা প্রশাসনের উদ্যোগেও আলোচনাসহ নানা কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। এসব কর্মসূচিতে অর্থনৈতিক উন্নয়নে উৎপাদনশীলতার গুরুত্বসহ বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা হবে।
জাতীয় উৎপাদনশীলতা দিবস উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, “আমরা ভিশন-২০২১ অর্জনের দ্বারপ্রান্তে। এছাড়া আমাদের সরকার ২০৩০ সালের মধ্যে জাতিসংঘ ঘোষিত টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে বদ্ধপরিকর। এছাড়া আমরা ২০৪১ সালের মধ্যে জাতির পিতার স্বপ্নের ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত উন্নত-সমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যমাত্রা গ্রহণ করেছি। এসব লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে সব সেক্টরে উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি করা অপরিহার্য।”
এসএ/