‘ঋণ খেলাপি হলে তার দায় শাখা ব্যবস্থাপকদের নিতে হবে’
প্রকাশিত : ০০:০৭, ৪ আগস্ট ২০১৯
সাউথ বাংলা এগ্রিকালচার অ্যান্ড কমার্স (এসবিএসি) ব্যাংকের চেয়ারম্যান এস এম আমজাদ হোসেন বলেছেন, আমরা চাই আমাদের ব্যাংকে আর একটি টাকাও যেন খেলাপি না হয়। তবে কোনও ঋণ খেলাপি হয়ে গেলে তার দায়দায়িত্ব শাখা ব্যবস্থাপকদের নিতে হবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
শনিবার রাজধানীর ফারস হোটেলে ব্যাংকটির অর্ধবার্ষিক ব্যবসা উন্নয়ন সম্মেলন তিনি এসব কথা বলেন।
এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্যাংকের চেয়ারম্যান এস এম আমজাদ হোসেন। ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী মোঃ গোলাম ফারুকের সভাপতিত্বে সম্মেলনে স্বতন্ত্র পরিচালক মো. সাজিদুর রহমান, অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোস্তফা জালাল উদ্দিন আহমেদ, উপব্যবস্থাপনা পরিচালক তারিকুল ইসলাম চৌধুরী, মোঃ মামুনুর রশিদ মোল্লা ও মোহাম্মদ সেলিম চৌধুরীসহ বিভাগীয় প্রধান ও শাখা ব্যবস্থাপকরা উপস্থিত ছিলেন।
সম্মেলনে জানানো হয়, জুন-২০১৯ শেষে ব্যাংকের মোট আমানত দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ৩০৮ কোটি টাকা, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ৫ হাজার ১৬০ কোটি টাকা। সে হিসেবে একবছরের ব্যাংকের আমানত প্রবৃদ্ধি হয়েছে ২২ দশমিক ২৫ শতাংশ। এসময়ে ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৩১৪ কোটি টাকা, যা আগের একই সময়ে ছিল ৪ হাজার ৫৮৪ কোটি টাকা। সে হিসেবে একবছরে ঋণের প্রবৃদ্ধি হয়েছে প্রায় ১৬ শতাংশ। তথ্যে আরও জানানো হয়, ব্যাংক জানুয়ারি-জুন’১৯ সময়ে ৯১ কোটি টাকার পরিচালন মুনাফা করেছে, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ৮৮ কোটি টাকা।
সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন ব্যাংকটির চেয়ারম্যান এস. এম. আমজাদ হোসেন। তিনি তার বক্তৃতার শুরুতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আত্মার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
পরে তিনি বলেন, সরকার ব্যাংকিং খাতের স্বার্থে খেলাপি ঋণ কমিয়ে আনা ও সুদহার সিঙ্গেল ডিজিটে নিয়ে আসার ঘোষণা দিয়েছে। আমরা পর্ষদ থেকে সে লক্ষ্য বাস্তবায়নে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। কিন্তু এখানে মূল ভূমিকা পালন করতে হবে শাখা ব্যবস্থাপকদের। আপনাদেরকে ঋণগ্রাহকদের পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে।
প্রধান অতিথি বলেন, আমরা চাই, আমাদের ব্যাংকে আর একটি টাকাও যেন খেলাপি না হয়। সে জন্য ঋণ প্রস্তাব পাঠানোর আগে ভালোভাবে গ্রাহক পর্যালোচনা করতে হবে। তার পূর্বের ইতিহাস জানতে হবে। কোনও ঋণ খেলাপি হয়ে গেলে তার দায়দায়িত্ব কিন্তু শাখা ব্যবস্থাপকদের।
এসময় তিনি গ্রাহক সেবায় সর্বোচ্চ আন্তরিকতা এবং ঋণ আদায়ে সোচ্চার ভূমিকা পালনের আহ্বান জানান।
ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী মোঃ গোলাম ফারুক বলেন, ব্যাংক খাত বড় চ্যালেঞ্জ অতিক্রম করছে। চতুর্থ প্রজন্মের ব্যাংক হিসেবে সাউথ বাংলা ব্যাংকও এই চ্যালেঞ্জের বাইরে নয়। সমসাময়িক ব্যাংকগুলোর মধ্যে আমরা অধিকাংশ সূচকে ভাল করছি। এই ধারা অব্যাহত রাখতে আমাদেরকে দক্ষতা ও নৈতিকতার সঙ্গে ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, আমরা সবসময়ে বলে এসেছি, সাউথ বাংলা ব্যাংক মুনাফা অর্জনকে বড় করে দেখি না, ব্যাংকের সেবার মাধ্যমে গ্রাহকদের সন্তুষ্টিকে প্রাধান্য দিতে চাই। একইসঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের সবধরনের নীতিমালা সম্পূর্ণরূপে পরিপালন করে আমরা এগিয়ে যেতে চাই।
এনএস/
আরও পড়ুন