কোয়ান্টাম ল্যাব
এ বছর লক্ষাধিক ইউনিট রক্ত সরবরাহ
প্রকাশিত : ১৭:০২, ২১ ডিসেম্বর ২০১৮ | আপডেট: ১৭:১২, ২১ ডিসেম্বর ২০১৮
এ বছর শেষ না হওয়ার আগেই কোয়ান্টামের অর্জিত হলো এক লক্ষাধিক ইউনিট রক্ত ও রক্ত উপাদান সরবরাহের লক্ষ্যমাত্রা (৪ ডিসেম্বর ২০১৮)। কোয়ান্টাম ল্যাব প্রতিষ্ঠার ১৮ তম বছরে এটি সম্ভব হয়েছে, কোয়ান্টাম স্বেচ্ছা রক্তদান কার্যক্রমে তালিকাভুক্ত তিন লক্ষাধিক রক্তদাতার নীরব ও নিঃস্বার্থ দানের ফলে।
কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন রক্তদান কার্যক্রম ১৯৯৬ সালে শুরু হলেও ২০০০ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় কোয়ান্টামের নিজস্ব ল্যাব। ল্যাব প্রতিষ্ঠার আগে রোগীর প্রয়োজনে বিভিন্ন ক্লিনিক ও হাসপাতালে গিয়ে কোয়ান্টাম পরিবারের সদস্যরা রক্তদান করতেন।
২০১৩ সালে অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতিতে সমৃদ্ধ করা হয় কোয়ান্টাম ল্যাব। ফলে মুমূর্ষের প্রাণ বাঁচাতে প্লাটিলেট কনসেনট্রেট, প্লাটিলেট রিচ প্লাজমা, প্লাটিলেট পুওর প্লাজমা, এফএফপি, ফ্রেশ প্লাজমা, ক্রায়ো-প্রিসিপিটেট, আরসিসি-সহ রক্তের সকল উপাদান সরবরাহ করা সম্ভব হয়।
২০০৫ সাল থেকে রক্তগ্রহীতা ও রক্তদাতাদের জন্যে কোয়ান্টাম ল্যাবে দিনরাত ২৪ ঘণ্টা সেবাদান শুরু হয়। নিরাপদ রক্ত সরবরাহকে আরো গতিশীল ও বিস্তৃত করতে বছরে ৩৬৫ দিনই ল্যাব খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় ২০১২ সালে।
কোয়ান্টামের অন্যান্য সেবা কার্যক্রমের মতোই স্বেচ্ছা রক্তদান কার্যক্রমও পরিচালিত হচ্ছে স্ব-উদ্যোগে, স্ব-পরিকল্পনা ও স্ব-অর্থায়নে।
সূচনালগ্ন থেকেই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা নির্ধারিত পাঁচটি মৌলিক স্ক্রিনিং সম্পন্ন করে নিরাপদ রক্ত প্রদানের ব্যাপারে আপসহীন মনোভাব পোষণ করে আসছে কোয়ান্টাম ল্যাব। ফলে অল্পদিনেই মুমূর্ষ পরিবার ও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের বিবেচনায় কোয়ান্টাম ল্যাব সরবরাহকৃত রক্ত হয়ে ওঠে আস্থা ও নির্ভরতার প্রতীক।
এর পাশাপাশি সম্মাননা অনুষ্ঠান আয়োজনের মাধ্যমে রক্তদাতাদের সম্মানিত করার কাজটিও করেছে কোয়ান্টাম। নিয়মিত সংযোগায়নের মধ্য দিয়ে গড়ে উঠেছে তিন লাখ ৪১ হাজার রক্তদাতাদের এক পরিবার।
কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের অর্থাৎ তরুণ প্রজন্মকে নিয়মিত রক্তদানে উদ্বুদ্ধ করতে ২০০৮ সালে শুরু হয় অজেয় ১৯ কার্যক্রম। ১৯তম জন্মদিনকে রক্তদানের মধ্য দিয়ে স্মরণীয় করে রাখার আহ্বান নিয়েই এ কর্মপ্রয়াস।
রক্তদান কার্যক্রমকে আরো গতিশীল করতে এবং সামাজের সকল মানুষকে সচেতন করে তুলতে নিয়মিত নানা স্থানে আয়োজন করা হয় ব্লাড ক্যাম্প। ২০১২ সালে সংযোজন করা হয় মোবাইল ব্লাড ক্যাম্প। এর মধ্য দিয়ে যাত্রা শুরু করে আমাদের দেশের প্রথম মোবাইল ব্লাড ক্যাম্প।
এভাবেই নিরাপদ রক্ত পরিসঞ্চালনের আন্দোলকে এগিয়ে নিতে কোয়ান্টাম গ্রহণ করেছে সময়োপযোগী নানা পদক্ষেপ। ফলে নিয়মিত রক্তের চাহিদা মেটানোর সাথে সাথে দেশের যে কোনো দুর্যোগ বা জরুরি প্রয়োজনে নিরবচ্ছিন্ন সেবা দিয়ে যাচ্ছে কোয়ান্টাম স্বেচ্ছা রক্তদান কার্যক্রম। ল্যাব প্রতিষ্ঠার বছর ২০০০ সালে কোয়ান্টাম সরবরাহ করেছে ১ হাজার ৫৬৪ ইউনিট রক্ত ও রক্ত উপাদান। আর ২০১৮ সালে সরবরাহ করা সম্ভব হলো ১ লক্ষ ইউনিট।