এই দিনে কারাগার থেকে পালিয়ে যায় ৩শ’ ৪১ কয়েদি (ভিডিও)
প্রকাশিত : ১০:৫৬, ৬ মার্চ ২০১৯ | আপডেট: ১১:৫৪, ৬ মার্চ ২০১৯
উত্তাল মার্চের এই দিনে আন্দোলনের ঢেউ আছড়ে পড়ে কারাগারে। ঢাকা কারাগার থেকে পালিয়ে যায় ৩শ’ ৪১ জন কয়েদি। কারারক্ষীদেও গুলিতে মারা যায় ৭জন। অসহযোগ আন্দোলনে কেঁপে ওঠে পাকিস্তানি শাসকদেও ভীত। ৭ মার্চে ঐতিহাসিক জনসভার দিকে তাঁকিয়ে মুক্তিকামী বাঙালি। কি বলবেন বঙ্গবন্ধু, তা শোনার অপেক্ষায় সবাই। বঙ্গবন্ধুও সবার সাথে আলোচনা করে প্রস্তুত করেন বাঙালীর সনদ।
অসহযোগ আন্দোলনের ঢেউ ছড়িয়ে পড়ে সারাদেশে। পরের দিন রেসকোর্স ময়দানের সমাবেশে যোগ দেয়ার প্রস্তুতি নেয় ঢাকাবাসী । দুপুরে প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান বেতার ভাষণে শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে আন্দোলন নিয়ে কটাক্ষ করেন। একই সাথে সেনা বাহিনীর দাপট তুলে ধরে কর্তৃত্ব চাপানোর চেষ্টা করেন। এই ভাষণ জনমনে তীব্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করে।
দেশ জুড়ে ছড়িয়ে পড়ে বিদ্রোহের দাবানল। বিক্ষুদ্ধ জনতা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র হাতে রাজপথে অবস্থান নেয়। এরপর পরই ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে রুদ্ধদ্বার বৈঠকে বসে আওয়ামী লীগ। বৈঠক শেষে বঙ্গবন্ধু বললেন, শহীদের রক্ত মাড়িয়ে ইয়াহিয়ার সাথে আলোচনায় বসা অসম্ভব। তাৎক্ষণিকভাবে ছাত্রনেতাদের সাথেও বৈঠক করেন বঙ্গবন্ধু।
এরইমধ্যে তৈরি হয়ে গেছে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের সেই ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণের প্রেক্ষাপট । সব কিছুর সমাধান ছিলেন আসলে বঙ্গবন্ধু নিজেই।
এদিন কারাগারে কয়েদিদের মধ্যেও অন্দোলনের উত্তাপ সঞ্চারিত হয়। বন্দি ছাত্র-জনতার সঙ্গে কারারক্ষীদের তুমুল সংঘর্ষ হয়। ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের তালা ভেঙ্গে ৩ শ ৪১ কয়েদি পালিয়ে যান।
হরতাল অবরোধের কারণে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন থাকা স্বত্ত্বেও ৬ই মার্চ বিভিন্ন স্থান থেকে শুরু হয়, ঢাকা অভিমুখী জনতার ঢেউ।
বিস্তারিত দেখুন ভিডিওতে :
এসএ/