ঢাকা, শনিবার   ২১ ডিসেম্বর ২০২৪

এই দিনে জুলিও কুরি পদকে ভূষিত হন বঙ্গবন্ধু

আদিত্য মামুন

প্রকাশিত : ১১:১৮, ১০ অক্টোবর ২০২৩


স্বাধীন একটি জাতিরাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠাসহ বিশ্বশান্তির বাণী পৃথিবীব্যাপী ছড়িয়ে দিয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। ভালোবাসার বার্তার এই সম্মোহন এড়াতে পারেনি তৎকালীন বিশ্ব আর তার শাসকেরা। সূর্যের মতো প্রখর দূত্যিময়তায় নিপীড়িত মানুষের পক্ষে আপোষহীন অবস্থান নিয়ে আলো ছড়িয়েছেন বঙ্গবন্ধু। তাইতো ১৯৭২ সালের ১০ অক্টোবর বঙ্গবন্ধুকে জুলিও কুরি পদকে ভূষিত করে ধন্য হয় বিশ্বশান্তি পরিষদ। 

১৯৩৮ সাল থেকে গণমানুষের জন্য নিবেদিত এক প্রাণ শেখ মুজিব। ১৩ বছরের কারাজীবন শুধু অধিকার প্রতিষ্ঠার লড়াই করতে গিয়ে। কেবল স্বদেশ বা মাতৃভূমিই নয়- তাঁর বর্জ্রকণ্ঠে আস্থা রেখেছিল বিশ্বের নিড়ীপিত মানুষও।

তাইতো তার ওপর দৃষ্টি ছিল বিশ্ব নেতাদের। বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার পর তাঁর শান্তির বার্তা আরও স্পষ্ট আরও গভীর আরও তীব্রতর হয় মানুষের কাছে। একেএকে নানাদেশ ভ্রমণেও তিনি গেয়েছেন সম্প্রীতি আর সৌহার্দে্যর গান।

ঝঞ্ঝাবিক্ষুব্ধ সময়ে তার শাণিত কণ্ঠনির্দেশ পাথেয় ছিল বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের কাছেও। আন্তর্জাতিক সেমিনার-সিম্পোজিয়ামে বঙ্গবন্ধুর বক্তব্য গুরুত্ব পেতো আর্থ-সামাজিক, রাজনৈতিক ও বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে। 

পৃথিবী যে দুইভাগে বিভক্ত আর তিনি যে শোষিতের পক্ষে তাই-ই তাকে করেছে মহিয়ান। এই চেতনা লালনে শুধু রাষ্ট্রনায়ক নয়, ব্যক্তি শেখ মুজিবকে শান্তির অগ্রদূত ঘোষণা করে বিশ্বশান্তি পরিষদ। 

১৯৭২ সালের ১০ অক্টোবরের ঘোষণার পরের বছর ১০ মে এশিয়া শান্তি পরিষদের সম্মেলনে বঙ্গবন্ধুকে পদক প্রদানের সাথে বিশ্ববন্ধু উপাধীতে ভূষিত করা হয়।

এরআগে ফিদেল ক্যাস্টো, হো চি মিন, সালভেদর আলেন্দ, ইয়াসির আরাফাতের মতো নেতাদের এই পদক দেয়া হয়েছিল। পৃথিবীব্যাপী সাম্রাজ্যবাদ-ফ্যাসিবাদের বিরোধিতা এবং মানবতা ও বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠার অগ্রণীদেরই এই সম্মানে ভূষিত করা হয়। 

শুধু বাঙালির অবিসংবাদিত নেতাই নন, মানবমুক্তির মহানায়ক বিশ্বের নেতা বঙ্গবন্ধুকে এই পৃথিবী একবার পায় তারে- পায় নাকো আর।

এএইচ


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি