ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪

এইচআইভির টিকার সফল পরীক্ষা

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৭:৪৯, ৭ জুলাই ২০১৮ | আপডেট: ১৪:৪৪, ১০ জুলাই ২০১৮

মরণঘাতি রোগ এইডসের জন্মদাতা এইচআইভি ভাইরাসের বিরুদ্ধে কাজ করে এমন এক টিকার সফল পরীক্ষা চালিয়েছে একদল গবেষক। ল্যান্সেটের এক গবেষণায়, মানব দেহে এইচআইভি ভাইরাসের বিরুদ্ধে রোগ প্রতিরোধী ব্যবস্থা গড়ে তুলতে পারে এমন এক টিকার কার্যকর প্রয়োগ দেখতে পান গবেষকেরা।

এইচআইভি আক্রান্ত ৩৯৩ জন মানুষের ওপর চালানো ঐ গবেষণায় দেখা যায়, ঐ টীকাটি সেসব মানুষদের দেহে নতুন করে রোগ প্রতিরোধী ব্যবস্থা গড়ে তুলতে সক্ষম হয়। মানুষ ছাড়াও বানরের ওপর একই গবেষণা চালিয়েও ইতিবাচক ফলাফল পাওয়া যায়। তবে টীকাটির যথার্থতা নির্ধারনে আরও গবেষণা প্রয়োজন বলে মনে করেন গবেষকেরা।

পৃথিবীতে এখন পর্যন্ত এইচআইভি বা এইডস রোগে আক্রান্ত ৩৭ মিলিয়ন রোগী সনাক্ত করা হয়েছে। প্রতিবছর এই তালিকায় নতুন করেন যুক্ত হয় প্রায় ১৮ মিলিয়ন মানুষ। এর আগেও এইচআইভি ভাইরাসের টীকা নিয়ে গবেষণা হয়েছিল। তবে সেবার শুধু এইচআইভি ভাইরাসের এক ধরনের প্রজাতি নিয়ে কাজ করা হয়েছিল। কিন্তু এবার যে টীকাটি তৈরি করা হয়েছে তা এইচআইভি এর সকল প্রজাতির বিরুদ্ধেই কাজ করবে আশা করছেন গবেষকেরা।

এবারের গবেষণায়, ১৮ থেকে ৫০ বছর বয়সী ব্যক্তিদের শরীরে এই টীকার প্রয়োগ করা হয়। প্রাউ ৪৮ সপ্তাহব্যাপী চলা এই গবেষণায় অংশ নেয় যুক্তরাষ্ট্র, রুয়ান্ডা, উগান্ডা, দক্ষিণ আফ্রিকা এবং থাইল্যান্ড থেকে স্বেচ্ছাসেবক অংশ নেন। স্বেচ্ছাসেবকদের শরীরে টীকা প্রবেশ করানোর পর দেখা যায় যে, তাদের শরীরে অ্যান্টি-এইচআইভি প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে ওঠে।

গবেষক দলের প্রধান এবং হার্ভার্ড মেডিক্যাল স্কুলের মেডিসিন বিষয়ক অধ্যাপক ড্যান ব্যারাউচ বলেন, “এই ফলাফল খুবই গুরুত্বপূর্ণ এক মাইলফলক। এইচআইভি এর টীকার উন্নয়নে যে চ্যালেঞ্জ নিতে হয়ে তা কল্পনাতীত। তবে এর মানে এটা এখনই বলা যাবে না যে, এই টীকা মানুষদের এইচআইভি থেকে রক্ষা করবে”। এর কারণ হিসেবে ড্যান ব্যারাউচ বলছেন যে, এই প্রতিষেধক টীকা শেষ পর্যন্ত এইচআইভি এর বিরুদ্ধে লড়াই করার মতো পূর্ণ যোগ্যতা সম্পন্ন কী না তা এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

সূত্রঃ বিবিসি

//এস এইচ এস// এআর

 

 

    


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি