ঢাকা, সোমবার   ২১ এপ্রিল ২০২৫

Ekushey Television Ltd.

এক ব্যাগ রক্তে নির্ভরশীল যাদের জীবন-মৃত্যু (ভিডিও)

রিয়াজ সুমন, একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১২:২৩, ১৪ জুন ২০২২

Ekushey Television Ltd.

রক্তের অভাবে দেশে বছরে মারা যায় প্রায় ৫৫ হাজার মানুষ। ব্যাপক জনসচেতনতা ও স্বেচ্ছায় রক্তদাতা বাড়ানোই এ সংকট দূর করতে পারে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

রক্তস্বল্পতা, থ্যালাসেমিয়া, হিমোফিলিয়াসহ জন্মগত রোগীদের জীবন বাঁচাতে দিতে হয় নিয়মিত রক্ত। এছাড়া প্রসূতির রক্তক্ষরণ, অপারেশন, অগ্নিদগ্ধ বা দুর্ঘটনাজনিত রোগীর ক্ষেত্রেও প্রয়োজন রক্তের।

দেশে প্রতি ১৪ জনে একজন থ্যালাসেমিয়া রোগে আক্রান্ত। বছরে রোগটি নিয়ে জন্মগ্রহণ করে প্রায় ১০ হাজার শিশু। এই শিশুদের জীবন-মৃত্যুও নির্ভরশীল শুধুই স্বেচ্ছায় দান করা এক ব্যাগ রক্তে।

দেশে বছরে প্রয়োজন আট লাখ ব্যাগ রক্তের। এর ৩৫-৪০ শতাংশ রোগীর স্বজন, ১৫-২০ শতাংশ স্বেচ্ছাসেবী ও ১৫-২০ শতাংশ পেশাদার রক্ত বিক্রেতাদের থেকে পাওয়া যায়, যার সংখ্যা প্রায় পাঁচ লাখ ব্যাগ। বাকি ২০-২৫ শতাংশ রক্তের ঘাটতি থেকেই যায়।

বিভিন্ন গবেষণায় এসেছে যে, যারা বছরে দুই বার রক্ত দান করে থাকেন তাদের ক্যান্সারের ঝুঁকিটা কমে যায়, হৃদরোগ ও হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকিও কমে যায়।

ফলে পর্যাপ্ত রক্ত না পেয়ে প্রাণ হারাতে হয় বহু রোগীকে। 

তবে বেশ কয়েক বছর ধরে স্বেচ্ছায় রক্তদাতাদের কাছ থেকে সংগ্রহের মাধ্যমে রক্তসেবা দিয়ে যাচ্ছে বেশকিছু মানবিক সংগঠন। প্রায় সাড়ে চার লাখ রক্তদাতার সর্বোচ্চ ডোনারপুল নিয়ে কাজ করছে কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন, পাশাপাশি সন্ধানী ডোনার ক্লাব, রেডক্রিসেন্ট সোসাইটিও এক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকায় আছে।

‘একজন রক্তদাতা একজন মুমূর্ষের পাশে এসে দাঁড়ান, তিনি সমাজের সবচেয়ে সচেতন ব্যক্তি হিসেবে নিজেকে প্রমাণ করেন।’

রক্তদানে শুধু অন্যের জীবনই রক্ষাই পায় না। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ার পাশাপাশি ঠিক থাকে রক্তদাতার শরীরের ভারসাম্যও। তাই সুস্থ্য থাকতে নিয়মিত স্বেচ্ছায় রক্তদানের পরামর্শ সংশ্লিষ্টদের।

এএইচ


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি