ঢাকা, মঙ্গলবার   ২১ জানুয়ারি ২০২৫

একই স্কুলে এক পরিবারের ১৬ জন কর্মরত, তদন্তের নির্দেশ

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৪:২১, ২১ জানুয়ারি ২০২৫

দেশের একটি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক থেকে আয়া পর্যন্ত একই পরিবারের ১৬ জন কর্মরত, এমন অভিযোগ তদন্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

এ সংক্রান্ত এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি ফাহমিদা কাদের ও বিচারপতি মুবিনা আসাফের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ সোমবার রুলসহ এ আদেশ দেন।

মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের (ডিজি) প্রতি এ নির্দেশ দেয়া হয়েছে। একই সঙ্গে তদন্ত করে চার মাসের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।

গত বছরের ৪ সেপ্টেম্বর ‘এক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক থেকে আয়া পর্যন্ত সবাই একই পরিবারের’ শিরোনামে এবং ‘এক স্কুলে প্রধান শিক্ষকসহ একই পরিবারের ১৬ জন কর্মরত, যা জানা গেল’ শিরোনামে গণমাধ্যমে পৃথক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এই দুটিসহ এ বিষয়ে গণমাধ্যমে আসা বিভিন্ন প্রতিবেদন যুক্ত করে গত বছরের ২২ অক্টোবর হাইকোর্টে রিট করেন কিশোরগঞ্জের বাসিন্দা মো. আইয়ুব আলী।

আদালতে রিট আবেদনকারীর পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মো. মনিরুল ইসলাম মিয়া। তিনি আদালতের আদেশের বিষয়টি জানান।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মাহফুজ বিন ইউসুফ, শফিকুর রহমান ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল ইকরামুল কবির।

গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশের পর নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার ‘কিশামত বদি উচ্চবিদ্যালয়ে (এমপিওভুক্ত)’ অবৈধ ও দুর্নীতির মাধ্যমে নিয়োগপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকসহ একই পরিবারের ১২ জন এবং সহকারী শিক্ষক ও কর্মচারীসহ মোট ১৬ জনের নিয়োগ ও এমপিওভুক্তির বিষয়ে তদন্ত করে তাদের নিয়োগ ও এমপিও বাতিলের ব্যবস্থা নিতে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরে গত ৫ সেপ্টেম্বরে আবেদন দেয়া হয়। 

এতে দৃশ্যমান ফল না পেয়ে ওইসব নিয়োগের বিষয়ে যথাযথ পদক্ষেপ নিতে নির্দেশনা চেয়ে রিটটি করা হয়।

অ্যাডভোকেট মো. মনিরুল ইসলাম মিয়া বলেন, ২০০২ সালে বিদ্যালয়টি এমপিওভুক্ত হয়। প্রধান শিক্ষক হিসেবে অনন্ত কুমার নিয়োগ পাওয়ার পর নিয়মনীতি অনুসরণ না করে নিজের ভাই, স্ত্রী ও ভাইয়ের স্ত্রীসহ পরিবারের লোকজনকে নিয়োগ পাইয়ে দেন বলে গণমাধ্যমে এসেছে। 

এ বিষয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের কাছে আবেদন করে ফল না পেয়ে রিটটি করা হয়।

রিটের শুনানিতে ওই বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক থেকে আয়া পর্যন্ত একই পরিবারের ১৬ জনের কর্মরত থাকার অভিযোগ তদন্ত করে চার মাসের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।

এএইচ


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি