ঢাকা, শুক্রবার   ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪

একজন আমীরা হক

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৮:১৩, ১০ জানুয়ারি ২০২৩

আমীরা হক একজন বাংলাদেশি টেকনোক্র্যাট। বাংলাদেশিদের মধ্যে সর্বোচ্চ পদমর্যাদার অধিকারী ব্যক্তি তিনি। প্রায় চার দশকের চ্যালেঞ্জিং ও কর্মমুখর পেশাজীবনের অবসান ঘটিয়ে জাতিসংঘ থেকে বিদায় নিয়েছিলেন তিনি।

১৯৭৬ সালে জুনিয়র প্রফেশনাল অফিসার হিসেবে প্রথমে জাতিসংঘে যোগদান করেন। প্রথম ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তা মিশনে দুবছর দায়িত্ব পালনের পর তাকে আফগানিস্তানে জাতিসংঘের আবাসিক প্রতিনিধি হিসেবে বদলি করা হয়। ১৯৮০ সালে আফগানিস্তান থেকে নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দপ্তরসংলগ্ন ইউএনডিপির এশিয়া ও প্যাসিফিক অঞ্চলের কর্মকর্তা হিসেবে বদলি হন। 

টানা ১০ বছর দায়িত্বে থাকাকালে তিনি থাইল্যান্ড, মিয়ানমার ও ভূটানের জন্যে আন্তর্জাতিক সাহায্য সংস্থার একজন সমন্বয়ক হিসেবে কাজ করেন। এর মধ্যেই ১৯৮৫ থেকে ১৯৮৭ সাল পর্যন্ত ইউনাইটেড নেশন্স ডেভলপমেন্ট ফান্ড ফর উইমেনে দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি।

১৯৯৪ থেকে ১৯৯৭ সাল পর্যন্ত তিনি মালয়েশিয়ায় ইউএনডিপির আবাসিক প্রতিনিধি ছিলেন। এর আগে ১৯৯৪ সাল পর্যন্ত তিনি একই দায়িত্ব পালন করেন লাউসে। আমীরা নিউইয়র্কে ইউএনডিপি সদর দপ্তরে ব্যুরো অব ক্রাইসিস প্রিভেনশন অ্যান্ড রিকভারির ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট এডমিনিস্ট্রেটর এবং ডেপুটি ডিরেক্টরের দায়িত্বও পালন করেন। এরপর তিনি আফগানিস্তানে মহাসচিবের ডেপুটি স্পেশাল রিপ্রেজেনটেটিভ ছিলেন। 

সর্বশেষ ২০১২ সালের ১১ জুন আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল হিসেবে জাতিসংঘ থেকে বিদায় নিয়েছিলেন তিনি।

সাদামাটা জীবন-যাপনে অভ্যস্ত আমিরা হক দুই সন্তানের মা। যুক্তরাষ্ট্রের ওহাইয়ো রাজ্যের অক্সফোর্ড সিটিতে অবস্থিত ওয়েস্টার্ন কলেজ থেকে সাহিত্যে স্নাতক পাশের পর ইউনিভার্সিটি অব নিউইয়র্ক থেকে ব্যবসা প্রশাসনে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি নেন। এরপর তিনি নিউইয়র্কের কলাম্বিয়া ইউনিভার্সিটি থেকে কম্যুনিটি অর্গানাইজেশন অ্যান্ড প্ল্যানিং বিষয়ে আরেকটি স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন।

এমএম/


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি