একদিনেই ১৩ হাজার রোহিঙ্গা, স্কুল-মাদ্রাসায় জায়গায় নেই
প্রকাশিত : ১৯:২৮, ৩ সেপ্টেম্বর ২০১৭ | আপডেট: ২০:১২, ৩ সেপ্টেম্বর ২০১৭
এক রাতের ব্যবধানেই মিয়ানমারের রাখাইন থেকে টেকনাফে পালিয়ে আসা নতুন ১৩ হাজার রোহিঙ্গা শরণার্থীকে চিহ্নিত করেছে জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংগঠন ইউএনএইচসিআর। এতো পরিমাণ শরণার্থী আসার কারণে স্কুল-মাদ্রাসাগুলোয় জায়গা ধরছে না।
ইউএনএইচসিআর কর্মকর্তা ভিভিয়েন ট্যান বিবিসিকে বলেছেন, এক রাতের ব্যবধানেই তারা আজ রোববার নতুন অন্তত ১৩ হাজার রোহিঙ্গাকে চিহ্নিত করেছেন।
ফলে, শনিবার যেখানে রাখাইন থেকে পালিয়ে ঢোকা রোহিঙ্গার সংখ্যা ৬০ হাজারের মত বলা হয়েছিল, আজ সেই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে অন্তত ৭৩ হাজার।
ভিভিয়েন ট্যান বলেন, যেভাবে শরণার্থীর সংখ্যা বাড়ছে তাতে শিগগিররই আশ্রয়ের ক্ষেত্রে বড় ধরণের জরুরি সঙ্কট তৈরি হতে পারে।
তিনি বলেন, পুরনো যে দুটো রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবির - কুতুপালংএবং নয়াপাড়া - তাতে আর তিল ধরণের জায়গা নেই।
স্থানীয় স্কুল মাদ্রাসা ছাড়াও, বিভিন্ন খোলা জায়গায় তাঁবু খাটিয়ে পালিয়ে আসা মানুষজনকে ঠাঁই দেওয়ার চেষ্টা চলছে। কিন্তু বর্তমান হারে শরণার্থী আসতে থাকলে পরিস্থিতি আয়ত্তের বাইরে চলে যেতে পারে।
ঈদের কারণে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো আশ্রয়ের জন্য ব্যবহার করা এখন সম্ভব হলেও, ছুটির পর কি হবে তা নিয়ে ত্রাণ সংস্থাগুলো উদ্বিগ্ন।
পালিয়ে আসা রোহিঙ্গারা বলছেন, আরো হাজার হাজার লোক বাংলাদেশ সীমান্তের পথে রয়েছে।
টেকনাফের বালুখালি এলাকায় একটি অস্থায়ী ক্যাম্পেই রোববার সকাল থেকে ৮০টি পরিবার এসে ঢুকেছে। সেখানে আশ্রয় নেওয়া জামাল হোসেন বিবিসিকে বলেন, পথে শত শত মানুষ সীমান্তের দিকে এগুচ্ছে।
বাংলাদেশে-মিয়ানমার সীমান্তের নো-ম্যানস্ ল্যান্ডের কয়েকটি জায়গায় কয়েক হাজার রোহিঙ্গা অপেক্ষা করছে।
রেডক্রস কর্মকর্তা সেলিম আহমেদ বিবিসিকে বলেন, নো-ম্যানস ল্যান্ডে বসে থাকা রোহিঙ্গাদের অবস্থা সঙ্গিন, কারণ তাদেরকে কোনো সাহায্য দেওয়া যাচ্ছে না।
রেডক্রসের একটি দলের আজ নো-ম্যানস্ ল্যান্ডে অপেক্ষমাণ লোকজের কাছে ত্রাণ-সাহায্য নিয়ে যাওয়ার কথা থাকলেও সরকারের সাথে বোঝাপড়া সম্পন্ন না হওয়ায় তারা যেতে পারেননি।
সূত্র : বিবিসি বাংলা।
ডব্লিউএন
আরও পড়ুন