ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪

একমাসের কর্মসূচি ঘোষণা প্রগতিশীল ছাত্রজোটের

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৩:৪৬, ২৯ জানুয়ারি ২০১৮ | আপডেট: ১৪:৩২, ২৯ জানুয়ারি ২০১৮

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপাচার্যের কার্যালয়ে ঘেরাওয়ের সময় শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে  একমাসের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে প্রগতিশীল ছাত্রজোট। আজ মঙ্গলবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ভবনের সামনে ধর্মঘট শেষে বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে এ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।

প্রগতিশীল ছাত্রজোটের সমন্বয়ক ইমরান হাবিব রুমন এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে- হামলাকারীদের চিহ্নিত করে বহিস্কার না করা হলে আগামী ৩১ জানুয়ারি সারাদেশে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করা হবে। ১ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৫ ফেব্রুয়ারি সারাদেশের বিভিন্ন ক্যাম্পাসে দাবিপক্ষ পালন করা হবে।  এরপরও দাবি আদায় না হলে আগামী ১৮ ফেব্রুয়ারি ভিসি ও রাষ্ট্রপতির কাছে স্মারকলিপি দেওয়া হবে। এছাড়া আগামী ১০ ফেব্রুয়ারির মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ না করা হলে গণতদন্ত কমিটি করে প্রকৃত ঘটনা জনগণের সামনে তুলে ধরা হবে।

ইমরান হাবিব বলেন, সারাদেশে প্রগতিশীল ছাত্রজোটের ব্যানারে শান্তিপূর্ণভাবে ধর্মঘট পালন করা হয়েছে। কিন্তু বিভিন্ন স্থানে আমাদের শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করছে ছাত্রলীগ। তিনি চার দফা দাবি ফের তুলে ধরেন। সেগুলো হলো- ঢাবি অধিভুক্ত সাত কলেজের অধিভুক্তি বাতিল,সাধারণ শিক্ষার্থীদের আন্দোলন ঠেকাতে প্রশাসনের ব্যর্থতা দায়ে প্রক্টরের অপসারন, হামলাকারী ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের বহিষ্কার।

সমাবেশে আরও উপস্থিত ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক লিটন নন্দী, ঢাবি শাখা সভাপতি তুহিন কান্তি দাস, ছাত্রফ্রন্ট ঢাবি শাখার সভাপতি ইভা মজুমদার, ছাত্র ফেডারেশন ঢাবি শাখার সভাপতি উম্মে হাবিবা বেনজির প্রমুখ।

এর আগে সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের কলাভবনের মূল ফটকে তালা ঝুলিয়ে ধর্মঘট শুরু করে প্রগতিশীল ছাত্রজোট। সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, ধর্মঘটের পক্ষের নেতাকর্মীরা সোমবার সকাল ৭টার দিকে কলাভবনের সামনে অবস্থান নেন এবং ফটকে তালা লাগিয়ে দেন। পরে মিছিল নিয়ে তারা সকাল সাড়ে ৭টার দিকে সামাজিক বিজ্ঞান ভবনে যান এবং মূল ফটকে তালা দিয়ে সমাবেশ করেন।

সামাজিক বিজ্ঞান ভবনের সামনে সমাবেশ শেষে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে আবার কলাভবনের সামনে ফেরেন প্রগতিশীল ছাত্রজোটের নেতাকর্মীরা।

গত ২৩ জানুয়ারি বাম ছাত্র সংগঠনগুলোর নেতৃত্বে ‘নিপীড়নবিরোধী শিক্ষার্থী’ ব্যানারে শিক্ষার্থীরা দাবি আদায়ে উপাচার্যকে তার কার্যালয়ে অবরুদ্ধ করলে ছাত্রলীগ গিয়ে পিটিয়ে তাদের তুলে দেয়।

হামলার অভিযোগ অস্বীকার করে ছাত্রলীগ দাবি করেছে, সেদিন অছাত্রদের হাত থেকে উপাচার্যকে উদ্ধার করতে গিয়েছিল তারা। আর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষও বলেছে, সেদিন উপাচার্যের উপর আক্রমণ হয়েছিল।

/ এআর


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি