একাত্তরের ২৩শে মার্চ পাকিস্তান দিবস এর পরিবর্তে পালিত হয় স্বাধীন বাংলাদেশ দিবস
প্রকাশিত : ১২:২৭, ২৩ মার্চ ২০১৬ | আপডেট: ১২:২৭, ২৩ মার্চ ২০১৬
২৩শে মার্চ একাত্তরের এই দিনে সরকার ঘোষিত পাকিস্তান দিবস এর পরিবর্তে স্বাধীন বাংলাদেশ দিবস পালিত হয় উত্তাল বাংলায়। এদিন সামরিক কায়দায় কুচকাওয়াজ ও অভিবাদন গ্রহন এবং স্বাধীন বাংলার পতাকা উড়ান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, ঘোষনা দেন স্বাধীনতার। এদিন সচিবালয়, প্রধান বিচারপতির বাসভবনসহ সকল সরকারী বেসরকারী ভবনে উড়ে বাংলাদেশের পতাকা।
বাংলার স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে অনন্য এক দিন ২৩শে মার্চ। এই দিনটি ছিলো আক্ষরিক অর্থেই পাকিস্তান থেকে আলাদা হওয়ার সর্বোচ্চ পদক্ষেপ। এদিন সামরিক কায়দায় কুচকাওয়াজ ও অভিবাদন গ্রহণ, আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীন বাংলার পতাকা উত্তোলন, লাঠি-বর্শা এবং বন্দুক হাতে বিক্ষোভ মিছিলসহ রাজপথের কর্মসূচিতে ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করে এই ভূখন্ড।
ভোরে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের নিজ বাসভবনে বাংলাদেশের মানচিত্র আঁকা লাল সবুজের পতাকা উড়ান বঙ্গবন্ধু। পাকিস্তান দিবসেই বাংলার আকাশে বাতাসে এ পতাকা উড়ে দীপ্ত উচ্চারণে জানান দিয়েছে শোষণের নাগপাশ ছিন্ন করে বিপ্লবী জনতা স্বাধীনতা ছিনিয়ে আনবেই।
হোটেল ইন্টার কন্টিনেন্টালের সামনে হাজারো বিক্ষুদ্ধ মানুষ সেনাবাহিনীর বাঁধা উপেক্ষা করে স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করে। কায়েদ-এ আজম, জিন্নাহ, ইয়াহিয়া ও ভুট্টোর কুশপুত্তলিকা দাহ করে তারা। পাঁচশ সদস্যের বাহিনী প্যারেড করে বঙ্গবন্ধুর বাসভবনে গেলে তাদের সালাম গ্রহণ করে বঙ্গবন্ধু দীপ্ত কণ্ঠে ঘোষণা করেন, বাংলার জয় অনিবার্য।
এদিন ঢাকায় সচিবালয় ও প্রধান বিচারপতির বাসভবনসহ সকল সরকারি-বেসরকারি অফিস-আদালত, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আনুষ্ঠানিকভাবে উড়ে বাংলাদেশের পতাকা। গাড়িতে বাংলার নতুন পতাকা উড়িয়ে ইয়াহিয়ার উপদেষ্টাদের সঙ্গে দেখা করতে যান তাজউদ্দীন আহমেদ, সৈয়দ নজরুল ইসলাম ও ড. কামাল হোসেন।
একদিকে উড়ে স্বাধীন বাংলার পতাকা, অন্যদিকে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া আর ভুট্টো গোপনে আটতে থাকে বাঙালি দমনের ষড়যন্ত্র। তবে সব বিঘœকে পেড়িয়ে অগ্নিমন্ত্রে দীক্ষিত বিপ্লবী জনতা এগিয়ে যায় স্বাধীনতার পথে।
আরও পড়ুন