ঢাকা, রবিবার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪

একুশে টেলিভিশনের জন্মদিন উদযাপন

প্রকাশিত : ০০:৫৬, ১৪ এপ্রিল ২০১৯ | আপডেট: ১৫:৪২, ১৭ এপ্রিল ২০১৯

বেসরকারি খাতে দেশের প্রথম টেলিভিশন চ্যানেল একুশে টেলিভিশন পা রাখলো ২০ বছরে। এই উপলক্ষে ১২টা এক মিনিটে একুশে টেলিভিশনের কার্যালয়ে কেক কাটা হয়। প্রধান অতিথি হিসেবে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ উপস্থিত থেকে জন্মদিনের কেক কাটেন।

এ সময় একুশে টেলিভিশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মেজর জেনারেল একেএম মোহাম্মাদ আলী শিকদার (অব.), একুশে টেলিভিশনের পরিচালক কে এম শহিদুল্লাহ, পরিচালক সাকিব আজিজ চৌধুরী,কোম্পানি সেক্রেটারি আতিকুর রহমান, এফবিসিসিআইয়ের সাবেক পরিচালক আমিন হেলালি, কবি আসাদ চৌধুরী, বিশিষ্ট নাট্য নির্মাতা মুস্তাফা সরওয়ার ফারুকী, সঙ্গীত শিল্পী দিনাত জাহান মুন্নি, একুশের অনুষ্ঠান বিভাগের প্রধান মোহছেনা রহমান, ভারপ্রাপ্ত সিএনই রঞ্জন সেন, মার্কেটিং বিভাগের প্রধান সিরাজুম মুনিরা ডালিয়া, প্ল্যানিং এডিটর দেবাশীষ রায়, ডিসিএফও সাত্বিক আহমেদ, হেড অব ইনপুট ড. অখিল পোদ্দার, প্রশাসন ও নিরাপত্তা বিভাগের প্রধান মেজর (অব.) নাসিম হোসেন, সম্প্রচার বিভাগের ডিজিএম সুজন দেবনাথসহ একুশে পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।  

অনুষ্ঠানে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা সর্বপ্রথম একুশে টেলিভিশন চ্যানেলের অনুমোদন দেওয়ার মাধ্যমে দেশে অবাধ তথ্য প্রবাহের দ্বার উন্মোচন করেন। যার ধারাবাহিকতায় দেশে এখন ৩৩টি চ্যানেল অনইয়ারে।

একুশে টেলিভিশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মেজর জেনারেল একেএম মোহাম্মাদ আলী শিকদার (অব.) বলেন, একুশে টেলিভিশনে গ্রামগঞ্জের মানুষের আকাঙ্ক্ষা এবং প্রত্যাশা যেন ফুটে ওঠে। আমরা মানুষের অধিকার নিয়ে কাজ করতে চাই। মানুষের অধিকারের সঙ্গে থাকতে চাই। মানুষের জীবনের কথা নিয়ে অনুষ্ঠান তৈরিতে প্রথম পথিকৃৎ কিন্তু একুশে টেলিভিশন।

শুরুর লগ্নেই একুশে সৃষ্টি করেছিল ইতিহাস। তবে, চলার পথ মসৃন হয়নি। সব সংকট পায়ে দলে একুশে মাথা তুলে দাঁড়িয়েছে বারবার। ২০ বছরে পা রাখার এই দিনে একুশেকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, বিরোধী দলীয় নেতা হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ, তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদসহ বিশিষ্টজনেরা।

২০০০ সালের ১৪ এপ্রিল, বাংলার চিরায়ত উৎসবের দিন নববর্ষে প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার মধ্য দিয়ে যাত্রা শুরু বেসরকারি খাতে প্রথম টেরিস্ট্রেরিয়াল টেলিভিশন একুশে টেলিভিশন।

প্রতিষ্ঠার পর ২৮ মাস একুশে টেলিভিশন বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ, বৈচিত্র্যময় অনুষ্ঠানের সৌন্দর্য্য ছড়িয়ে জয় করে কোটি দর্শকের মন।

কিন্তু সাড়া জাগানো এই চ্যানেলটি ২০০২ সালে আইনি জটিলতার অজুহাতে তৎকালীন সরকার বন্ধ করে দেয়। একুশে শিকার হয় প্রতিহিংসার রাজনীতির।

একুশে টেলিভিশন বন্ধের পর বছরের পর রাজপথে ছিল সে সময়ের একুশের সাংবাদিক, কর্মী, কলাকুশলীরা, সঙ্গে ছিলেন শুভানুধ্যায়ীরা। ২০০৫ সালে আদালত একুশে টেলিভিশন সম্প্রচারের বৈধতা দিলেও সরকার যতটা দ্রুত বন্ধ করেছিল, খুলে দিতে সেই দ্রুত দেখা যায়নি। ২০০৭ সালে আবারও সম্প্রচারের আসার পর থেকে নানা ঘাত-প্রতিঘাত পার করে পা রাখলো ২০ বছরে। একুশের জন্মদিনে রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ তার বাণীতে কামনা করেছেন একুশের সাফল্য। গণমানুষের উন্নয়নে ভূমিকার রাখারও আহবান জানিয়েছেন।

একুশে টেলিভিশনের মালিকপক্ষও চান, ২০ বছরে পা দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় সংবাদ ও অনুষ্ঠান দিয়ে অন্যায়ের বিরুদ্ধে মানুষের পাশে দাঁড়াবে চ্যানেলটি।

প্রতিষ্ঠাকালীন একমাত্র টেরিস্ট্রিয়াল চ্যানেল বর্তমানে স্যাটেলাইটে দেখেন দর্শকরা। একুশে টেলিভিশনের , দক্ষ কর্মী ও উন্নত প্রযুক্তির সমাবেশেই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হবে।

সংবাদ-বিনোদনে দেশের কোটি দর্শকের স্বপ্নপুরণের চ্যানেল হয়ে উঠবে একুশে টেলিভিশন- এমন প্রত্যাশা সবার।

 

 


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি