ঢাকা, সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪

এখনো বাসযোগ্য হয়নি পূর্বাচল নতুন শহর (ভিডিও)

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৩:১৪, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২০

সিকি শতাব্দীতেও বাসযোগ্য হয়নি পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্প। জঙ্গলাকীর্ণ এলাকাটি বাসযোগ্য হবে কবে? এ প্রশ্নের সদুত্তর নেই কর্তৃপক্ষের কাছে। অগ্রগতির বদলে দীর্ঘসূত্রিতায় পড়েছে উন্নয়ন কাজ। ফলে আশাহত আদি এলাকাবাসী। 

ইট পাথরের জঞ্জাল আর তপ্ত ঢাকার পাশে ‘অক্সিজেন ব্যাংক’ খ্যাত পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্প। ২৫ বছর আগে এর শুরু। তবে শেষ হবে কবে জানা নেই। আগের মতোই ঝোপ-ঝাড়ে পরিপূর্ণ ৬ হাজার ২শ’ ২৭ একর আয়তনের এই প্রকল্প। 

এলাকাবাসীরা জানান, বসবাস করার উপযোগী করতে পারেনি, বিদ্যুৎ নেই, থানা নেই, স্কুল প্রতিষ্ঠান করেনি। একটি রাস্তা করে গিয়েছিল তাও ভেঙ্গে শেষ। রাজউক যদি ডেভেলপ করে তাহলে এই এলাকার মানুষ ভাল করে বাঁচতে পারে। এর জন্য সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা বা সরকারি নজরদারির কথাও বলেছেন কেউ কেউ।

এই প্রকল্পে দু’যুগ পরেও দৃশ্যমান হয়নি একটি ভবনও। নেই গ্যাস-পানি-বিদ্যুৎসহ কোনো পরিষেবাও। আর ১১১ তলার আইকনিক টাওয়ার আর বাণিজ্য মেলার স্থায়ী অবকাঠামো প্রকল্পও অধরা মাধুরী।

ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউশন ও রাজউকের সাবেক চেয়ারম্যান প্রকৌশলী নূরুল হুদা বলেন, যদি ওয়াটার সাপ্লাই না থাকে, সুয়্যারেজ সিস্টেম না থাকে, সেখানে যদি গ্যাস-বিদ্যু না থাকে তাহলে সেখানে মানুষ বসবাস করবে কিভাবে। কোন ডিপার্টমেন্টে যদি হেড অব অর্গানাইজেশন না থাকে এবং শক্তিশালী মনিটরিং টিম না থাকে তাহলে কিন্তু আপনি রেজাল্টটা পাবেন না।

ঢাকা নগর গবেষণা কেন্দ্রের চেয়ারম্যান প্রফেসর নজরুল ইসলাম বলেন, এখানে যে অবকাঠামো হওয়ার কথা সেটা খুব ধীর গতিতে এগুচ্ছে। যেহেতু এটা ওয়াসার সীমানার বাইরে, দ্বিতীয়ত এখানে গ্যাসের সরবরাহ থাকবে নাকি এলএনজি করে চলবে তার কোন সিদ্ধান্ত নেই।

নিজের জমি ছেড়ে আদি বাসিন্দারা নতুন স্বপ্নে বুক বেঁধেছিলেন পূর্বাচলকে ঘিরে। অপেক্ষায় থেকে অধিকাংশই এখন প্রকল্পের ভবিষ্যৎ নিয়ে হতাশ।

স্থানীয়রা জানান, কোন ভবন হচ্ছে না, যদি ভবন হতো তাহলে আমাদের অনেক সুবিধা হতো। এখানে স্কুল, কলেজ, ভার্সিটি ও থানা সবকিছুই থাকতে হবে। অনেকে ১৫ বছর হয় প্লট নিয়ে বসে আছে, এর মধ্যে কোন উন্নয়ন করতে পারছেন না। 

প্রায় সাড়ে ছয় হাজার ভূমিতে গড়ে ওঠা পূর্বাচল প্রকল্পে বহু আগেই কথা ছিল লোক বসতির। সেটা তো হয়ইনি, যে কারণে সাধারণ আদিবাসীদের পাশাপাশি যারা এখানে ঘুরতে আসেন তাদের জন্য এই এলাকাটি ক্রমেই হয়ে উঠেছে ভয়াবহ।

এএইচ/এমবি


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি