ঢাকা, মঙ্গলবার   ০৫ নভেম্বর ২০২৪

‘এতোদিন বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে দিন কাটছিল, এবার জমিসহ ঘর পেলাম’

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ১৫:৪৭, ৯ আগস্ট ২০২৩

কুড়িগ্রামে প্রধানমন্ত্রীর দেয়া ঘর পেল ৫০৫টি হত দরিদ্র গৃহহীন ও ভূমিহীন পরিবার। এর সাথে সুফলভোগীরা পাচ্ছেন বিশুদ্ধ পানি ও বিদ্যুৎ ব্যবহারের সুবিধা। সরকার প্রধানের দেয়া ঘর ও জমির দলিল পেয়ে খুশি তারা। 

বুধবার (৯ আগস্ট) সকালে কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলা পরিষদ চত্তরে আয়োজিত জেলা পর্যায়ে ঘর উদ্বোধন ও হস্তান্তর অনুষ্ঠানে সুবিধাভোগীদের হাতে ঘরের চাবি ও জমির দলিল তুলে দেন রংপুর বিভাগীয় কমিশনার মোঃ হাবিবুর রহমান। 
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক মোঃ সাইদুল আরীফ। এ সময় বক্তব্য রাখেন পুলিশ সুপার আল আসাদ মোঃ মাহফুজুল ইসলাম, উপজেলা চেয়ারম্যান জাহিদ সোহরদী বাপ্পি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নূরে তাসনিম প্রমুখ।

আশ্রায়ণ-২ প্রকল্পের অধীনে ৪র্থ পর্যায়ে (২য়-ধাপ) কুড়িগ্রাম জেলার ৯ উপজেলায় ৫০৫টি হত দরিদ্র ও ভূমিহীন পরিবারকে ঘর প্রদান করা হয়। এর মধ্যে কুড়িগ্রাম সদর উপজেলায় ৩টি, নাগেশ্বরী উপজেলায় ৪২টি, ভুরুঙ্গামারী উপজেলায় ১৪টি, ফুলবাড়ী উপজেলায় ৫টি, রাজারহাট উপজেলায় ৩০৪টি, উলিপুর উপজেলায় ৫৯টি, চিলমারী উপজেলায় ৩৬টি, রৌমারী উপজেলায় ১৭টি ও রাজিবপুর উপজেলায় ১৭টি করে ঘর ও জমির দলিলসহ হস্তান্তর করা হয়। 

এর মধ্যে চিলমারী উপজেলায় রয়েছে ৩০টি হরিজন সম্প্রদায় ও রাজারহাট উপজেলার রয়েছে ১৯টি ঢুলি পরিবার।  

জেলা প্রশাসনের তথ্যানুযায়ী জেলায় ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের সংখ্যা ৪ হাজার ৭শ’ ২ জন। ইতিমধ্যেই আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের অধীনে ৪র্থ পর্যায়ে মোট ৪ হাজার ৫শ'৫৩টি পরিবারকে জমিসহ ঘর দেয়া হয়েছে। অবশিষ্ট রয়েছে আর মাত্র ১৪৭টি পরিবার। 

রাজারহাট উপজেলার ঘড়িয়ালডাঙ্গা আশ্রয়ণ প্রকল্পের সুফলভোগী জহির উদ্দিন (৬৪) বলেন, “এতদিন বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে ঘর করে কোন রকমে দিন কাটছিল। এবার নিজের নামে জমিসহ ঘর পাওয়ায় আমরা অনেক খুশি।”

চিলমারী উপজেলার সবুজপাড়া আশ্রয়ণের (হরিজন পল্লীর) সুফলভোগী ইন্দ্রজিৎ লাল (৪৫) মধুমালা (৩৭) দম্পতি বলেন, আমাদের তো কোন ঠিকানা ছিল না, এবার আমরা প্রধানমন্ত্রী দেয়া জমিসহ পাঁকা ঘর পাওয়ায় নতুন ঠিকানা পেয়েছি। আমরা খুব আনন্দিত।

এএইচ


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি