এদেশের নিম্ন মধ্যবিত্তদেরও হীরার অলংকার পরাবো : দিলীপ
প্রকাশিত : ১৯:১৩, ২২ নভেম্বর ২০১৭ | আপডেট: ২০:০৮, ২২ নভেম্বর ২০১৭
এদেশের জুয়েলারি সেক্টরে এক সুপরিচিত নাম `ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ড`। দেশীয় এ ব্রান্ডটি পথচলার প্রায় ১ যুগ পার করেছে। প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক দিলীপ কুমার আগারওয়াল। তিনি বাংলাদেশ জুয়েলারি সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই-এর পরিচালক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে জুয়েলারি ব্যবসা ও ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ডের বিভিন্ন দিক নিয়ে ইটিভি অনলাইনের সঙ্গে একান্ত এক আলাপচারিতায় মিলিত হন সফল এ ব্যবসায়ী। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন ইটিভি অনলাইনের সহ-সম্পাদক সোলায়মান শাওন ।
ইটিভি অনলাইন : ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ডের শুরুর গল্পটা জানতে চাচ্ছি।
দিলীপ আগারওয়াল : ২০০৫ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর যাত্রা আরম্ভ করে ডায়মণ্ড ওয়ার্ল্ড। অতি সম্প্রতি আমরা ১ যুগ পূর্তি উদযাপন করলাম। শুরুর কথা বললে বলতে হয়, আমরা খুবই ছোট পরিসরে যাত্রা শুরু করি। আমার বা আমার কর্মচারীদের বসার মতো জায়গা ছিল না। এখন আমাদের ২০টি শো আউটলেট আছে।
আমি যখন এ ব্যবসা শুরু করি, তখন আমার উদ্দেশ্য ছিল এদেশের নিম্ন মধ্যবিত্ত মানুষদেরও হীরার অলঙ্কার পরাবো। আমাদের উদ্দেশ্য পূরণের খুব কাছাকাছি এখন আমরা।
ইটিভি অনলাইন : অনেকেই মনে করেন ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ডে শুধু ডায়মন্ডই বিক্রি হয়। সোনার অলংকার পাওয়া যায় না। বিষয়টি খোলাসা করবেন?
দিলীপ আগারওয়াল : আমাদের ব্যবসার ৭০ ভাগ স্বর্ণালংকার। বাকি ৩০ ভাগ ডায়মন্ড বা হীরার অলংকার। এটাকে আমাদের সৌভাগ্য বা দুর্ভাগ্যই বলেন, আমাদের নাম ‘ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ড’। তবে আমাদের আউটলেটগুলোতে স্বর্ণ এবং স্বর্ণালংকারও পাওয়া যায়।
ইটিভি অনলাইন : স্বর্ণ এবং হীরার ব্যবসায় বাংলাদেশের সম্ভাবনা কেমন?
দিলীপ আগারওয়াল : বাংলাদেশে জুয়েলারি এখন একটি শিল্প। স্বর্ণ বা হীরাকে আলাদা আলাদা না করে যদি এক জুয়েলারি শিল্পের মধ্যে বিবেচনা করি, তাহলে প্রতি বছর এর বাজার ১০০০ কোটি টাকা করে বাড়ছে। খুবই সম্ভাবনাময় এ শিল্প। শুধু সরকারের একটি স্বর্ণ আমদানি নীতিমালা করা দরকার।
ইটিভি অনলাইন : জুয়েলারি ব্যবসায় সফল ক্যারিয়ার গড়ার সম্ভাবনা কতটুকু?
দিলীপ আগারওয়াল : আমি বলব, এ সেক্টরে সফল ক্যারিয়ার গড়ার উত্তম একটি জায়গা। আমরা যখন প্রথম ব্যবসা শুরু করি, তখন তো কারিগরই খুঁজে পাচ্ছিলাম না। এখন আমাদের সঙ্গে বড় একটি দল কাজ করছে। আমাদের ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ডের নিজেদেরই ২০টি আউটলেট। সেই সঙ্গে আমাদের একটি ডায়মন্ড কাটিং ফ্যাক্টরি আছে। আমাদেরটাসহ বাংলাদেশে মাত্র দুইটি কাটিং ফ্যাক্টরি আছে। দক্ষ কারিগর পাওয়া গেলে এর সংখ্যা আরও বাড়বে। এখানে নারীদেরও কাজের সুযোগ আছে। আমাদের সঙ্গে এখন ৫০ নারী কারিগর কাজ করছেন।
ইটিভি অনলাইন : জুয়েলারি ব্যবসায় আসতে চান এমন তরুণ উদ্যোক্তাদের জন্য আপনার পরামর্শ কী হবে?
দিলীপ আগারওয়াল: দেখেন আমাদের দেশের প্রেক্ষাপট একটু ভিন্ন। তরুণেরা এখনও সেভাবে ব্যবসায় আগ্রহী নন। আমরা একটি জরিপ করে দেখেছি যে, তরুণদের প্রতি একশ’ জনের ৭ জন উদ্যোক্তা হতে চায়। বাদবাকি ৯৩ ভাগই চাকরি করতে চায়। আগে এই সংখ্যাটায় পরিবর্তন হতে হবে। কমপক্ষে ৬০ ভাগ তরুণকে উদ্যোক্তা হওয়ার প্রতি আগ্রহী হতে হবে। তখন দেখা যাবে এক্ষেত্রে বিদ্যমান চ্যালেঞ্জগুলো আর থাকবে না।
আর তরুণদের মধ্যে যারা ব্যবসায় আসতে চায় তাদের জন্য আমার পরামর্শ থাকবে যে, তাদের মধ্যে ৪টি গুণ অবশ্যই থাকতে হবে। এগুলো হচ্ছে- পরিশ্রম করার মানসিকতা, তীব্র একাগ্রতা, সময়ানুবর্তিতা এবং মানুষের আস্থা অর্জনের জন্য কাজ করে যাওয়ার দৃঢ় সংকল্প। তাদের শুরুটা ছোট করে হোক, কিন্তু লক্ষ্য থাকতে হবে বড়। অনেক বড়।
ইটিভি অনলাইন : একজন ব্যবসায়ী বা উদ্যোক্তা হিসেবে আপনি কী কী সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন। সেগুলো মোকাবেলা করলেন কীভাবে?
দিলীপ আগারওয়াল : জুয়ালারি ব্যবসা শুরু করতে গিয়ে আমি প্রথম যে সমস্যার মুখোমুখি হলাম, তা হলো আমি দেখলাম এদেশে কেউ খোলা হীরা আমাদের ভাষায় যাকে বলি লুস ডায়মন্ড আনেন না। আর আনা যায়ও না। তখন নিজেকে প্রশ্ন করলাম- কেন আমি আনতে পারব না?
তারপরের সমস্যা ছিল আমাদের দেশে দক্ষ কারিগর ছিল না। আমাদের দেশের অবকাঠামোগত বিষয়গুলো ঠিক জুয়েলারি ব্যবসা বান্ধব ছিল না। এগুলো যা-ও ঠিক করলাম। এরপর ব্যাংকের লোন পাচ্ছিলাম না। কাচা সোনা বন্ধক রেখে লোন চাচ্ছি; ব্যাংক দিবে না। এগুলোর মোকাবেলা করতে হয়েছে আমাকে। যাই হোক, সব চড়াই-উতরাই পেরিয়ে এটুকু পথ আসতে পেরেছি। আশা করি, সামনে আরও পথ পাড়ি দিতে পারবো।
ইটিভি অনলাইন : সামগ্রিকভাবে বাংলাদেশে স্বর্ণের ব্যবসায়ীরা কী কী সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছেন?
দিলীপ আগারওয়াল : সব থেকে বড় যে সমস্যাটি হচ্ছে, তা হলো বাংলাদেশে স্বর্ণ আমদানি করার কোনো নীতিমালা নেই। এই একটি বিষয় না থাকার কারণে আমাদের অনেক সমস্যার মুখোমুখী হতে হয়। আমাদের বিশ্বাস, স্বর্ণ আমদানি নীতিমাল হলে এ শিল্পের বিকাশ আরও তরান্বিত হবে। আমাদের দেশের ব্যাংকগুলোতে অলস টাকা পরে আছে। অনেক বিনিয়োগকারী বিনিয়োগের নির্ভরযোগ্য জায়গা পাচ্ছেন না। স্বর্ণ হতে পারে বিনিয়োগের এক উত্তর জায়গা। কারণ স্বর্ণ কেনা মানেই একটি ‘সম্পদ’ কেনা। তাই এ ব্যবসায় ক্ষতির সম্ভাবনা নেই বললেই চলে।
তবে আমরা গত বাজেটের সময় একটি আশার বাণী শুনতে পাই। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত চলতি অর্থ বছরের মধ্যেই একটি স্বর্ণ আমদানি নীতিমালা প্রণয়ন করবেন বলে আমাদেরকে জানান। আশা করি, এটি হয়ে গেলে এ ব্যবসা আরও প্রসারিত হবে।
ইটিভি অনলাইন : জুয়েলারি সেক্টরটিকে আরও ব্যবসা বান্ধব করার জন্য সরকারের প্রতি আপনাদের আহবান কী থাকবে?
দিলীপ আগারওয়াল : সরকারের কাছে আমরা প্রথমত দুইটি জিনিস চাই। এক. স্বর্ণ আমদানি নীতিমাল। দুই. জুয়েলারিকে শিল্প হিসেবে ঘোষণা করে জুয়েলারি শিল্প নীতিমালা প্রণয়ন করা। এর বাইরেও বিভিন্ন সময় আমাদের বিভিন্ন ব্যবসায়ী ভাইদেরকে বিভিন্ন সংস্থা কর্তৃক হয়রানি করা হয়। স্বর্ণ আমদানি নীতিমালা না থাকার কারণে এমন হয়রানি করতে পারছে সংস্থাগুলো। আমাদের দাবি, নীতিমালা না হওয়া পর্যন্ত কোনো ব্যবসায়ীকে যেন হয়রানি করা না হয়।
সেই সঙ্গে জুয়েলারি শিল্পের জন্য আমাদেরকে একটি ‘ইকোনমিক জোন’ বা ‘অর্থনৈতিক অঞ্চল’ দেয়া হোক। দেশে প্রায় আরও ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল করার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। সেগুলোর মধ্যে থেকে অন্তত একটি আমাদেরকে দেয়া হোক।
ইটিভি অনলাইন : আমদানি নীতি কেন হচ্ছে না?
দিলীপ আগারওয়াল : আমি ঠিক জানি না এত ব্যাপক সম্ভাবনাময় হওয়ার পরও কেন স্বর্ণ আমদানি নীতি হচ্ছে না। তবে এটুকু বলব যে, স্বর্ণ আমদানি নীত হয়ে গেলে তা দেশের যে কোনো ধরনের শিল্পকে ছাড়িয়ে যাবে। এখন মানুষ বিনিয়োগের নির্ভরযোগ্য জায়গা পাচ্ছে না। যারা বিনিয়োগ করছেন, তাদের বড় অংশ বিনিয়োগ করছেন শেয়ার বাজার কিংবা জমিতে। কিন্তু এগুলো নিয়ে আছে অনেক সমস্যা।
শেয়ার ব্যবসা আজ ভাল তো কাল মন্দ। জমি পাহারা দিতে হয়। জমি নিয়ে মামলা-মোকদ্দমা হলে তো জীবন পার। কিন্তু স্বর্ণের বাজারে এমন সমস্যা নেই। স্বর্ণ নিজেই একটি সম্পদ। হয়তো এ কারণেই কোনো এক অদৃশ্য শক্তির প্রভাবে নীতিমালা হয়নি। তবে ব্যবসা বান্ধব এ সরকারের সময়ে এ নীতিমালা হবে বলে আমাদের বিশ্বাস।
ইটিভি অনলাইন : আবারও ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ড নিয়ে একটু আলোচনা করি। ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ডের আজকের অবস্থানকে কীভাবে দেখেন?
দিলীপ আগারওয়াল : আগেও বলছি আমরা পুরো ১ যুগ অতিক্রম করলাম। আমাদের সাফল্য-ব্যর্থতা আমাদের গ্রাহকেরাই বেশি ভালো মূল্যায়ন করতে পারবে। তবে এর কর্ণধার হিসেবে আমি এটুকু বলতে পারি, ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ড তার গ্রাহকের আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। আমরা বাংলাদেশের মানুষকে হীরার অলংকারে আগ্রহী করে তুলতে সক্ষম হয়েছি। বাংলাদেশের জুয়েলারি ব্যবসা যত বড়ই হোক, এর ‘পাইওয়নিয়ার’ হিসেবে ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ডকে কৃতিত্ব দিতেই হবে।
আমাদের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ অর্জন হচ্ছে- আমাদের প্রতিটি আউটলেট আইএসও সার্টিফিকেট অর্জনধারী। বাংলাদেশের ব্যক্তি মালিকানার টেলিভিশন এবং সংবাদ পরিবেশনে একুশে টেলিভিশন যেমন পথ প্রদর্শক তেমনি হীরার ব্যবসায় ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ড। আগে মানুষ হীরাকে অনেক দামি মনে করত। আমাদের কারণে এখন মানুষ ব্যাপক হারে ডায়মন্ড বা হীরা ব্যবহার করা শুরু করেছে।
ইটিভি অনলাইন : আমাদের দেশেই যখন উন্নতমানের হীরার অলংকার তৈরি হচ্ছে, তাহলে গ্রাহকেরা বিদেশ থেকে কেন কিনে আনছেন?
দিলীপ আগারওয়াল : প্রথমত আমাদের দেশের মানুষের মধ্যে হীরা বা ডায়মন্ড নিয়ে ধারণা কম। কম ধারণার কারণেই মূলত তাদেরকে দেশীয় বাজারে উৎসাহী করা যাচ্ছে না। অনেকেই মনে করেন, আমাদের দেশের হীরার গুণগত মান ভালো নয়। কথাটা আসলেই ঠিক না। আমাদের দেশেই এখন বিশ্বমানের হীরা পাওয়া যাচ্ছে। আমাদের দেশের হীরার কাটিং এবং ক্লিয়ারিং করা হচ্ছে।
আরেকটি ভুল ধারণা, আমাদের দেশের মানুষের মধ্যে আছে আর তা হল হীরার ‘রিসেল ভ্যালু’ (পুনঃ বিক্রির মূল্য) পাওয়া যায় না। ধারণাটি মোটেও ঠিক নয়। বরং হীরার যথেষ্ট রিসেল ভ্যালু আছে। আমি তো বলব শতভাগ রিসেল ভ্যালু পাওয়া যায়।
উদাহরণস্বরুপ আমাদের ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ডের কথাই যদি বলি, আমাদের যেকোন আউটলেট থেকে কেন কোনো হীরার অলংকার যদি ৩০ দিনের মধ্যে পরিবর্তন করে অন্য আরেকটি নিতে চান, তাহলে কোনো অতিরিক্ত চার্জ নেয়া হয় না। উপরন্তু ক্যাশ রিফান্ডের ক্ষেত্রে অলংকারের মূল দাম থেকে মাত্র ১০-২০ শতাংশ কেটে রাখা হয়।
আমাদের দেশের জুয়েলারি শিল্পের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ হল অতিরিক্ত কর এবং সহজ ভিসা ব্যবস্থা। বিষয়টিকে একটু খোলাসা করে বলি। আমাদের দেশে হীরার অলংকারের ওপর ১২৫% এবং স্বর্ণের অলংকারের ওপর ১৩% কর দিতে হয়; যা পার্শবর্তী দেশগুলোতে ৫% এরও কম। উপরন্তু আমাদের দেশের মানুষ এখন খুব সহজেই অন্যান্য দেশের ভিসা পাচ্ছে, বিশেষত ভারতের। আর তাদের দেশীয় জুয়েলারি ব্যবসা নিয়ে ভুল ধারণার কারণে বিদেশ থেকেই স্বর্ণ বা হীরা কিনে আনছেন। তবে আশা করছি, পরিস্থিতির পরিবর্তন হবে। ইতোমধ্যে অনেক হয়েছে। সামনে আরও হবে।
ইটিভি অনলাইন : ব্যবসায়িক কার্যক্রমের বাইরে ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ড আর কী কী কাজ করে থাকে?
দিলীপ আগারওয়াল : কর্পোরেট সোশ্যাল রেসপন্সিবিলিটি বা সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে আমরা সামাজিক কিছু কাজ করে থাকি। ৪০০-৪৫০ ব্যক্তিকে আমরা ‘মিড ডে মিল’ দেই। এর বাইরেও দেশের সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডেও ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ড নিজেকে সংযুক্ত করে। যেমন ‘মিস ইউনিভার্সিটি’ প্রতিযোগিতার পৃষ্ঠপোষক ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ড। শুধুমাত্র ব্যবসাই আমাদের মূল লক্ষ্য নয়।
ইটিভি অনলাইন : ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ড নিয়ে আপনার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কী?
দিলীপ আগারওয়াল : আগামী বছর আমরা একটি ইন্সটিটিউট চালু করার চেষ্টা করছি। সেখানে জুয়েলারি শিল্পের বিভিন্ন বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। এদেশের জুয়েলারি শিল্পের আরও সম্প্রসারণে আমরা কাজ করে যাবো।
ইটিভি অনলাইন : একটু ভিন্ন প্রসঙ্গে আসি। আপনি বাংলাদেশ জুয়েলারি সমিতির সাধারণ সম্পাদক এবং এফবিসিসিআই-এর পরিচালক। ব্যবসায়ীদের নেতা আপনি। কেমন মনে হয়?
দিলীপ আগারওয়াল : আমি প্রায় ১৪ মাস ধরে বাংলাদেশ জুয়েলারি সমিতির সাধারণ সম্পাদক এবং ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই-এর নির্বাচিত পরিচালক। ২০১৭-১৯ বছরের জন্য আমি পরিচালক নির্বাচিত হই। সত্যি কথা বলতে নিজের কাছে ভাল লাগে যে, ব্যবসায়ীরা আমাকে এ পদে আসীন করেছেন। তবে দায়িত্ব অনেক বেশি। আগে শুধু নিজের এবং নিজের প্রতিষ্ঠান নিয়ে চিন্তাভাবনা করলেও এখন সবার সার্থ নিয়েই কাজ করতে হয়। দায়িত্বটি আমি বেশ উপভোগ করি। যতদিন ব্যবসায়ী ভাইয়েরা আমাকে চাইবে ততদিন তাদের সেবা করে যাব।
ইটিভি অনলাইন : আপনি ইতোমধ্যে ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতা। ভবিষ্যতে মূল ধারার রাজনীতিতে আশার কোনো পরিকল্পনা আছে?
দিলীপ আগারওয়াল : ব্যবসায়ীদের মধ্যে অনেকেই এখন রাজনীতিতে আসছেন। এর একটি উত্তম উদাহরণ মেয়র আনিসুল হক। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যদি মনে করেন যে, আমি এর যোগ্য তাহলে অবশ্যই মূল ধারার রাজনীতিতে আসব। প্রধানমন্ত্রী এবং দল যদি আমাকে সে দায়িত্বের জন্য যোগ্য মনে করেন, তাহলে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করব।
ইটিভি অনলাইন : সাক্ষাৎকারের একেবারেই শেষ পর্যায়ে আমরা। ধন্যবাদ আপনার মূল্যবান সময় এবং মতামতের জন্য।
দিলীপ আগারওয়াল : ধন্যবাদ আপনাকে। সেই সঙ্গে ধন্যবাদ পুরো একুশে পরিবারকে। ইটিভি অনলাইনের পাঠকদের প্রতি রইল শুভ কামনা।
/ এআর /
আরও পড়ুন