ঢাকা, রবিবার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪

কোটা সংস্কার

এপ্রিলে প্রজ্ঞাপন না হলে ফের আন্দোলন

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৪:৫৩, ২৬ এপ্রিল ২০১৮ | আপডেট: ১৬:৩৫, ২৬ এপ্রিল ২০১৮

চলতি মাসের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর ঘোষিত কোটা বাতিলের বিষয়টি প্রজ্ঞাপন আকারে প্রকাশ করা না হলে আগামী মাস থেকে আবারও আন্দোলনে করা হবে বলে ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ।

বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক নুরুল হক নূর এই কথা জানান। এছাড়া অজ্ঞাত মামলাকে হয়রানিমূলক উল্লেখ করা হয় সংবাদ সম্মেলনে।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, নিয়মানুযায়ী সংসদে প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার দুই-তিনদিনের মধ্যে প্রজ্ঞাপন জারি হওয়ার কথা। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর ব্যস্ততার কারণে সেটি একটু দেরী হচ্ছে। তবে চলতি মাসের মধ্যে এই প্রজ্ঞাপন জারি না হলে আগামী মাস থেকে সারা বাংলাদেশের ছাত্রসমাজ আবারও আন্দোলনে নামবে।

সংবাদ সম্মেলনে সাধারণ শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে হয়রানিমূলক অজ্ঞাতনামা মামলা প্রত্যাহার করার দাবি জানানো হয়। নুরুল হক নূর বলেন, ঢাবির উপাচার্যের বাসভবনে যারা হামলা চালিয়েছে, তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নয়। তারা সাধারণ শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক আন্দোলনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে এ হামলা চালিয়েছে। তাই তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসনকে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান তিনি।

নুরুল হক নূর আরও বলেন, ‘জনকণ্ঠের ২০ এপ্রিল অনলাইন ভার্সন ও ২১ এপ্রিল প্রিন্ট ভার্সনে কোটা সংস্কার আন্দোলন নিয়ে প্রকাশিত খবরটি আজ বৃহস্পতিবার বিকাল ৫টার মধ্যে প্রত্যাহার করা না হলে দৈনিক জনকেণ্ঠর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ আগামী ৩০ এপ্রিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রে সারাদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজ শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় করবে বলে জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের আহ্বায়ক হাসান আল মামুন ও যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদ খান।

উল্লেখ্য, কোটা সংস্কারের দাবিতে চাকরি প্রত্যাশীরা দীর্ঘদিন ধরেই বিচ্ছিন্নভাবে কর্মসূচি চালিয়ে আসছে। গত ১৭ ফেব্রুয়ারি থেকে কোটা সংস্কারসহ পাঁচ দফা দাবিতে বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের ব্যানারে সারাদেশে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন শুরু করে সাধারণ শিক্ষার্থী ও চাকরিপ্রত্যাশীরা। এর ধারাবাহিকতায় গত ৮ এপ্রিল ঢাবি থেকে শিক্ষার্থী ও চাকরিপ্রত্যাশীরা শোভাযাত্র নিয়ে বের হয়ে শাহবাগ মোড়ে জড়ো হয় এবং সড়ক অবরোধ করে। সে রাতেই পুলিশ তাদের উঠিয়ে দিতে কাঁদানে গ্যাস ছুড়লে ও লাঠিচার্জ করলে আন্দোলন তীব্র আকার ধারণ করে। রাতে ঢাবি উপাচার্যের বাসভবন ভাঙচুর করে দুর্বৃত্তরা। পরদিন থেকে এ আন্দোলন দেশের সব উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছড়িয়ে পড়ে। ছাত্রলীগ ও সরকার নানা উদ্যোগ নিয়েও আন্দোলনটি নিয়ন্ত্রণে আনতে ব্যর্থ হয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে  গত ১১ এপ্রিল জাতীয় সংসদ অধিবেশনে নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কোটা বাতিলের ঘোষণা দেন।

একে// এআর


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি