ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪

এবার এইচএসসি পরীক্ষা দিচ্ছেন সেই সিয়াম

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১২:৪৩, ২ এপ্রিল ২০১৮

থেমে নেই শরীয়তপুরের নড়িয়ার সেই সিয়াম আহম্মেদ খান। মনে আছে কি, ২০১৭ সালে বাড়ি থেকে জোহরের নামাজ পড়তে যাওয়ার সময় পল্লী বিদ্যুতের ছিঁড়ে পড়া তারে জড়িয়ে গুরুতর আহত হয় সিয়াম। ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি করলে সংক্রমণ দেখা দেওয়ায় চিকিৎসকরা অস্ত্রোপচার করে কবজির ওপর থেকে হাত দুটো কেটে ফেলেন। কিন্তু এতে দমে যায়নি সিয়াম। প্রতিবন্ধকতাকে জয় করে নড়িয়া সরকারি কলেজ থেকে এ বছর এইচএসসি পরীক্ষা দিচ্ছে সে। সে আশা করছে ফল ভালো করবে। তার পরিবারের সদস্যরাও জানালেন সিয়ামের সংগ্রামের কথা।

অন্যের ঘাড়ে বোঝা হয়ে না থেকে স্বাভাবিক জীবন যাপনের জন্য শুরু করেছে পড়ালেখা। বড় হয়ে ইউএনও হতে চায় সিয়াম। দাঁড়াতে চায় প্রতিবন্ধীদের পাশে। এ জন্য সংগ্রাম করে যাচ্ছেন।

সিয়াম আহাম্মেদ খানের মা জানান, অনেক কষ্ট করে ছেলেকে লেখাপড়া করাতে হচ্ছে। হাত অকেজো হওয়ার কারণে অনেক কষ্ট হয়। আমার ছেলেকে যেন সমাজে অবহেলা না করা হয় সেজন্য যতদূর পারব তাকে লেখাপড়া করাব।

বাবা ফারুক আহাম্মেদ খান বলেন, আমি একজন গরিব মানুষ। তবুও ধার দেনা করে ওর চিকিৎসা করতে এই পর্যন্ত আট থেকে ১০ লাখ টাকা খরচ করেছি। এখন পথে বসেছি, আর পারছি না। এতো কষ্টের পরও ছেলেকে পড়ালেখা করাচ্ছি। হাইকোর্ট থেকে পল্লী বিদ্যুৎকে ৫০ লাখ টাকা দিতে বললেও এখনও কোনো টাকা পাইনি।

নড়িয়া সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ আবদুল খালেক বলেন, সিয়ামের দুর্ঘটনার পর কলেজ ম্যানেজিং কমিটি, শিক্ষক, শিক্ষার্থীরা মিলে ওর চিকিৎসার জন্য ৫০ হাজার টাকা সহযোগিতা করা হয়েছে।

নড়িয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার সানজিদা ইয়াসমিন বলেন, পড়ালেখার বিষয়ে সিয়াম ও নড়িয়া সরকারি কলেজের অধ্যক্ষের সঙ্গে কথা বলেছি। লেখার সহযোগিতার্থে সিয়ামকে একজন রাইটার দেওয়া হয়েছে। ওর পড়ালেখার জন্য ইতোমধ্যে জেলা প্রশাসকের সহযোগিতায় সমাজসেবা তহবিল থেকে ১০ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে। সব সময় সিয়ামকে আমরা সাহায্য সহযোগিতা করে যাব।

এসএইচ/


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি