ঢাকা, সোমবার   ০৬ জানুয়ারি ২০২৫

এবার চিফ স্ট্র্যাটেজিস্টকে বরখাস্ত করলেন ট্রাম্প

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৯:৩৮, ১৯ আগস্ট ২০১৭ | আপডেট: ১৮:৪৪, ১৯ আগস্ট ২০১৭

ট্রাম্প প্রশাসনের শীর্ষ ব্যক্তিদের বরখাস্তের তালিকায় এবার যুক্ত হলেন স্টিভ ব্যানন। মার্কিন প্রেসিডেন্টের চিফ স্ট্রাটেজিস্ট পদ থেকে স্থানীয় সময় শুক্রবার তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে। খবর বিবিসির।


হোয়াইট হাউজে শুক্রবারই যে ছিল তার শেষ দিন, সেকথা নিশ্চিত করেছেন প্রেস সেক্রেটারি সারা স্যান্ডার্স। চিফ অব স্টাফ জন কেলির সঙ্গে আলোচনার পরই প্রেসিডেন্টের `চিফ স্ট্র্যাটেজিস্ট` পদটি ছাড়তে হল ব্যাননকে।


শার্লটসভিলে শ্বেতাঙ্গ শ্রেষ্ঠত্ববাদীদের মিছিলে কিছু `ভাল মানুষও` ছিল, এমন বক্তব্য দিয়ে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প যখন বিশ্বজুড়ে সমালোচিত হচ্ছেন, সেই প্রেক্ষাপটে চাকরি হারালেন ব্যানন।


অথচ ক্ষমতায় আসার পর ডোনাল্ড ট্রাম্প ডানপন্থী জাতীয়তাবাদী ব্যাননের জন্যেই এই পদটি সৃষ্টি করেছিলেন।
ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচারণায় `আমেরিকা ফার্স্ট` দর্শনকে একটি গ্রহণযোগ্য পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে গোল্ডম্যান স্যাশ ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংকার ব্যাননের বড় ভূমিকা ছিল। ট্রাম্পের জয়ের অন্যতম কারিগরও মনে করা হয় ব্যাননকে।


কিন্তু সমালোচকদের অভিযোগ ছিল যে, ব্যানন এন্টি-সেমেটিক এবং শ্বেতাঙ্গ জাতীয়তাবাদীদের পৃষ্ঠপোষকতা করছেন।


তিনি হোয়াইট হাউজের অন্য পরামর্শক এবং ট্রাম্প পরিবারের সঙ্গেও দ্বন্দ্বে জড়িয়েছিলেন বলে শোনা যায়। রিপাবলিকান দলের কয়েকজনের সঙ্গেও তৈরি হয়েছিল শত্রুতা। সেই সঙ্গে মতে মিলছিলোনা হোয়াইট হাউজের শীর্ষ কর্মকর্তা ম্যাক মাস্টার এবং জেনারেল কেলির সঙ্গেও।


প্রেসিডেন্টের জাতীয় অর্থনৈতিক কাউন্সিলের উপদেষ্টা গ্যারি কোন, কন্যা ইভাঙ্কা ট্রাম্প এবং তার স্বামী জ্যারেড কুশনারও ব্যাননকে কিছু ক্ষেত্রে হুমকি বিবেচনা করছিলেন।


তবে উদারপন্থি হিসেবে পরিচিত ম্যাগাজিন আমেরিকান প্রসপেক্ট-এ চলতি সপ্তাহে ব্যাননের একটি সাক্ষাৎকার ছাপা হাওয়ার পর তার বরখাস্ত হওয়ার বিষয়টি অবধারিত হয়ে ওঠে।


ওই সাক্ষাৎকারে ব্যানন দাবি করেন, স্টেট ডিপার্টমেন্টের কর্মকর্তাদের বরখাস্ত করার ক্ষমতাও তার রয়েছে। আর উত্তর কোরিয়ার বিষয়ে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের অবস্থানের সঙ্গে তিনি একমত নন।


রয়টার্স লিখেছে, ওই সাক্ষাৎকার যে একজন সাংবাদিককে দিচ্ছেন, তা বুঝতে পারেননি বলে ব্যানন তার ঘনিষ্ঠজনদের কাছে দাবি করেছেন। তার ধারণা ছিল, তিনি কোনো অ্যাকাডেমিকের সঙ্গে কথা বলেছেন এবং পুরো বিষয়টি ছিল ‘অফ দ্য রেকর্ড’।


প্রেস সেক্রেটারি হাক্যাবি স্যান্ডার্সের বিবৃতিতে বলা হয়, হোয়াইট হাউজের চিফ অব স্টাফ জন কেলি ও স্টিভ ব্যানন একমত হয়েছেন যে, শুক্রবারই হবে স্টিভের শেষ কর্মদিবস। তিনি যে দায়িত্ব এতদিন পালন করেছেন, সেজন্য আমরা কৃতজ্ঞ। আমরা তার মঙ্গল কামনা করি।   


উগ্র ডানপন্থী সংবাদমাধ্যম ব্রাইবার্ট নিউজের সাবেক প্রধান ব্যানন তার পুরনো কর্মক্ষেত্রে ফিরে যাচ্ছেন জানিয়ে বলেছেন, তিনি বরাবরের মতোই ট্রাম্পের পক্ষে থেকে তার রাজনীতি, বাণিজ্য আর সংবাদমাধ্যমের শত্রুদের মোকাবিলা করবেন। ব্যাননের চলে যাবার মধ্য দিয়ে হোয়াইট হাউজের অস্থিতিশীলতা আরও প্রকট হল।


এর আগে জুলাইয়ে ট্রাম্প প্রশাসন থেকে চলে যেতে হয় যোগাযোগ উপদেষ্টা অ্যান্থনি স্কারামুচি, চিফ অফ স্টাফ রায়ান্স প্রিবাস এবং মুখপাত্র শন স্পাইসারকে। আর বছরের শুরুতে চাকরি হারান এফবিআই ডিরেক্টর জেমস কোমি এবং জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইকেল ফ্লিন।
/এআর


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি