ঢাকা, শনিবার   ৩০ নভেম্বর ২০২৪

এবার দোহারের রাস্তায় নিম্মমানের ইট

দোহার-নবাবগঞ্জ (ঢাকা) সংবাদদাতা.

প্রকাশিত : ২১:০৬, ৪ আগস্ট ২০১৯

ঢাকার দোহার উপজেলার নয়াবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদ সংলগ্ন ক্যাপ্টেন বাড়ির মোড় হতে ধোয়াইর বাজার পর্যন্ত ও আনসার মাদবরের বাড়ি হতে ইউনিয়ন পরিষদ পর্যন্ত রাস্তাটির কাজে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। নিম্মমানের ইট দিয়ে রাস্তাটি নির্মাণ করা হচ্ছিল। অনিয়মের সত্যতা পেয়ে আপাতত কাজ বন্ধ করে দিয়েছে প্রশাসন।

জানা যায়, এলজিইডির অধীনে ২২ লাখ টাকা ব্যয়ে নয়াবাড়ির কাপ্টেন বাড়ির মোড় হতে ধোয়াইর বাজার পর্যন্ত ১৬৫০ ফুট দৈর্ঘ্য ও ১০ ফুট প্রস্থের রাস্তাটি নির্মাণের দায়িত্ব পান ইস্টার্ণ বিল্ডার্স নামে একটি ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠানটি কাজের প্রথম থেকেই নিম্মমাণের ইট দিয়ে কাজ করছেন বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর। গত জুলাই মাসের ২৪ তারিখ থেকে কচ্ছপ গতিতে কাজ চলছে। রাস্তা হওয়ার কথা দশ ফুট চওড়া আর এখানে বেশিরভাগ স্থানেই নয় ফুট করে কাজ হয়েছে। এছাড়া রাস্তার পাশে কোন মাটি দেওয়া হয়নি।

রবিবার সকালে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, রাস্তাটি নির্মাণে নিন্মমানের ইট ব্যবহার করা হচ্ছে। অনিয়মের অভিযোগে একাধিকবার স্থানীয়রা কাজ বন্ধও করে দেয়। এতে টনক নড়েনি ঠিকাদার প্রতিষ্ঠাটির নিম্মমাণের ইট দিয়েই কাজ করে যাচ্ছেন প্রতিষ্ঠানটি।

স্থানীয় আব্দুস ছাত্তার ও তারা মিয়া জানান, আমরা অনেকবার অভিযোগ করেছি। উপজেলা থেকে লোক এসে কাজ বন্ধ করে দিলেও আবার কাজ শুরু হয়। এমন ইট দিয়ে রাস্তা নির্মাণ হলে কিছুদিন পরেই রাস্তা ভেঙ্গে যাবে। এই দুর্নীতির কি কোন সমাধান নেই।

স্থানীয় বাসিন্দা মো. দেলোয়ার হোসেন জানান, আমরা চাই সঠিক ভাবে এই রাস্তা নির্মাণ হোক। সিডিউলে যেভাবে উল্লেখ আছে সে ভাবে কাজ করা না হলে রাস্তাটি দ্রুত নষ্ট হয়ে যাবে।

এ বিষয়ে রাস্তা নির্মান কাজের ঠিকাদার ইস্টার্ন বিল্ডার্সের কর্ণধার মো.সান্টু রহমান জানান, আমি কামরুল ও মকবুল নামে দুইজনের কাছে কাজটি বিক্রি করে দিয়েছি। যদি কোন অনিয়ম হয় আমি তা সংশোধনের জন্য ব্যবস্থা নেব।
এবিষয়ে কামরুল ইসলাম জানান, এখানে দোহারের ঢাকা ব্রিক নামে ইট ভাটা থেকে কিছুটা নিন্মমানের ইট দিয়েছিল। আমরা এখন উন্নতমানের ইট দিয়ে রাস্তা নির্মান করব। আর কিছু কিছু জায়গায় নয় ফুট রাস্তা ছিল, সেখানে এখন দশ ফুট করে নির্মান করা হবে।

ঢাকা ব্রিক কর্তৃপক্ষ জানান, কামরুল ইসলামের অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। আমার ইট ভাটার যথেষ্ট সুনাম রয়েছে। এখানে সব ধরনের ইট তৈরি করা হয়। কামরুল ইসলাম আমার কাছে প্রতি হাজারে পাঁচ হাজার দুইশত টাকা মূল্যের যে ইটের অর্ডার দিয়েছে আমি তাকে সেই ইট দিয়েছি।

নয়াবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শামিম আহমেদ হান্নান বলেন, আমি এমন অনিয়মের অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে সঠিক নিয়মে কাজ করার নির্দেশ দেই। উপজেলা প্রশাসন বিষয়টি জানেন। কিন্ত এর পরেও কিভাবে অনিয়ম হয় এটা আমার বোধগম্য নয়।

দোহার উপজেলা উপ-সহকারি প্রকৌশলী মো.আবুল হোসেন বলেন, আমরা অনিয়মের খবর পেয়ে আপাতত কাজ বন্ধ করে দিয়ে এসেছি। কাজের সিডিউল অনুযায়ী উন্নতমানের ইট নিয়ে আসার পর আবার কাজ শুরু হবে।

আরকে//


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি