এবার ধানের শীষ চাইবেন নাজমুল হুদা (ভিডিও)
প্রকাশিত : ১১:২১, ২৮ জুলাই ২০২২ | আপডেট: ১১:২৮, ২৮ জুলাই ২০২২
তারেক রহমান বন্ধু গিয়াসের সাথে মিশে বিপথে যাচ্ছে জেনে খালেদা জিয়া বিষয়টি দেখার দায়িত্ব দেন ব্যরিস্টার নাজমুল হুদাকে। সফল হননি তিনি। গত নির্বাচনে নৌকা নিয়ে লড়ার ইচ্ছা থাকলেও এবার ধানের শীষ চাইবেন নাজমুল হুদা।
এক সময়ের ডাকসাইটে মন্ত্রী, রাজনীতিবিদ ও তুখোড় আইনজীবী। ২০০১ এ চারদলীয় জোট ক্ষমতায় আসার পর যোগাযোগমন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়ে নাজমুল হুদা হয়ে উঠেছিলেন আলোচিত-সমালোচিত।
দল ক্ষমতা থেকে যাওয়ার পর দুর্নীতির মামলায় পড়েছেন তিনি। জেলও খেটেছেন। এর মাঝে নিজ দল বিএনপি থেকে বহিষ্কারও হয়েছেন।
একেক সময় একেক রাজনৈতিক অবস্থান নাজমুল হুদাকে আলোচনায় রাখলেও রাজনীতির মূলধারা থেকে অনেকটাই যেন বিচ্ছিন্ন হয়ে যান তিনি। তৃণমূল বিএনপি নামে নিজের বানানো যে দলটিতে তিনি এখন আছেন, সেটিও যেন চলতে চাইছে না।
সম্প্রতি নাজমুল হুদাকে তাঁর নিজ এলাকা দোহারে অবাঞ্চিত ঘোষণা করে স্থানীয় আওয়ামী লীগ।
ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা বলেন, “অর্থের সীমাবদ্ধতা রয়েছে। যে কারণে দলের প্রসারটা করতে পারছিনা।”
নাজমুল হুদার কথা কখনও আওয়ামী লীগের পক্ষে গেছে, কখনও বা বিএনপির। এসবের মাঝে এখন তিনি কার। জানতে চাইলে নাজমুল হুদা বলেন, গত নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নৌকা চেয়েছিলেন। আগামি নির্বাচনে বিএনপি থেকে ধানের শীষ চাইবেন।
নাজমুল হুদা বলেন, “সেই আসন স্বেচ্ছায় তুলে দিয়েছি আমার চাচা সালমান রহমানের হাতে। তাকে বলেছি, চাচা আমরা একই ফ্যামিলির। এতদিন আমি থাকলাম, আপনাকে একটা নির্বাচনে হারিয়েছি। আমার ভেতরে কিছুটা হলেও অনুতাপ আছে। আপনাকে আমার নির্বাচনী আসনটি ছেড়ে দিচ্ছি।”
বিএনপির সাবেক এই রাজনীতিক বলেন, ক্ষমতায় থাকতেই খালেদা জিয়া জানতেন গিয়াসউদ্দিন আল মামুন তারেকের ভাল বন্ধু নয়।
ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা বলেন, “বেগম জিয়া আমাকে অনুরোধ করেছেন, আপনিই পারবেন তারেককে বলেন মামুনের সাথে যাতে না মিশে। মামুনকে যাতে ধারে-কাছে আসতে না দেয়। আমি কয়েকবার চেষ্টা করলাম। পরে বললাম, ম্যাডাম আমার পক্ষে সম্ভব না।”
আলাপচারিতায় তিনি জানান, ভাতিজা সালমান এফ রহমানের মালিকানাধিন আইএফআইসি ব্যাংক থেকে ৩১ কোটি টাকা ঋণ সুবিধা নিয়েছিলেন। সেটি বেড়ে সুদে-আসলে এখন ৬১ কোটি। ভাতিজার কাছে এই ঋণ এখন মওকুফ চান তিনি।
নাজমুল হুদা বলেন, “যদিও বিরাট বড় একটা লোন তার ব্যাংক থেকে নিয়ে আমার হোটেলটা দাঁড় করিয়েছি। কিন্তু এই লোন এখন আমার কাছে বিষের মতো বোঝা হয়ে গেছে। ওটার জন্য ভবিষ্যতে নির্বাচন করতে পারবো কি পারবো না তাও জানি না। মনে করেছিলাম, উনি যে ধরনের বিত্তশালী ব্যক্তি নিজের দায়দায়িত্বের সাথে আমার দায়িত্বও নিয়ে নিবেন। আমাকে ফ্রি করে দিবেন।”
নাজমুল হুদা বলেন, এক সময় তত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে থাকা আওয়ামী লীগকে কোন রকম আলোচনায় বসতে দিতে চাননি যে খালেদা জিয়া, সেই তিনিই এখন আলোচনায় বসতে চান।
এই রাজনীতিবীদ আরও বলেন, “উনি আমাকে বহিষ্কার করলেন, এই নেত্রী এখন মাথাকুটেও সংলাপ পায় না, মাথাকুটলেও আলোচনার অনুমতি তাকে দেন না এখনকার প্রধানমন্ত্রী। তিনি তখন এটাকে ধিক্কার দিলেন, আজকে তার অবস্থা কি।”
একান্ত কথপোকথনে নাজমুল হুদা এও জানান, শত কোটি টাকার স্থাবর সম্পত্তি এবং মাসে আট দশ লাখ টাকা নগদ উপার্জনের পরও অভাবে আছেন তিনি।
এএইচ
আরও পড়ুন