ঢাকা, রবিবার   ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪

এবার নেপালের ‘লারকে’ পর্বত শিখরে বাংলাদেশের অভিযান

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৮:৪৯, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৭ | আপডেট: ১২:১৪, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৭

নেপালের মানাসলু হিমালয় অঞ্চলে অবস্থিত ‘লারকে’ পর্বতশিখর জয় করতে শুরু হচ্ছে বাংলাদেশের প্রথম অভিযান। লারকে পর্বতশিখরের উচ্চতা ২০ হাজার ৫০০ ফুট। নেপালের পর্বতচূড়াগুলোর মধ্যে এটি জয় করা অন্যতম কঠিন কাজ। বাংলাদেশ এবার সেই কঠিন কাজটিই করতে যাচ্ছে।

শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবে এ উপলক্ষ্যে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এতে ছয় সদস্যের অভিযাত্রীদলের পরিচিতি তুলে ধরা হয়। তাঁদের হাতে তুলে দেওয়া হয় জাতীয় পতাকা।

সংবাদ সম্মেলনে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ও অর্থনীতিবিদ হোসেন জিল্লুর রহমান, এমএম ইস্পাহানি লিমিটেডের জিএম সেলস অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন ওমর হান্নান, এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংক লিমিটেডের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট এ আই এম মোস্তফা এবং আরলা ফুডস বাংলাদেশ লিমিটেডের হেড অব মার্কেটিং গালীব বিন মোহাম্মদ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

সংবাদ সম্মেলন পরিচালনা করেন অ্যান্টার্কটিকা ও সুমেরু অভিযাত্রী ইনাম আল হক। সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, বাংলাদেশের পর্বতারোহী দল ৩ অক্টোবর নেপালের উদ্দেশ্যে ঢাকা ত্যাগ করবে। ২৫ দিনের অভিযানে পর্বতারোহী দল লারকে শিখর আরোহণ করবে। বাংলাদেশ দলকে নেতৃত্ব দেবেন দুবার এভারেস্ট আরোহণকারী এম এ মুহিত। দলে আরও আছেন নূর মোহাম্মদ, বাহলুল মজনু, শায়লা পারভীন, ইকরামুল হাসান ও রিয়াসাদ সানভী।

অভিযানটি পরিচালনা করছে বাংলা মাউন্টেইনিয়ারিং অ্যান্ড ট্রেকিং ক্লাব। পৃষ্ঠপোষকতা করছে এম এম ইস্পাহানি লিমিটেড, এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংক লিমিটেড, আজিম গ্রুপ ও আরলা ফুডস বাংলাদেশ লিমিটেড। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস ৫০ শতাংশ ছাড়ে অভিযাত্রীদের ঢাকা-কাঠমান্ডু-ঢাকা বিমান টিকিট দিচ্ছে।

সংবাদ সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ও অর্থনীতিবিদ হোসেন জিল্লুর রহমান বলেন, পর্বতারোহণের প্রতিটি অভিযান স্বতন্ত্র। তাই প্রার্থনা থাকে, দলের সবাই যেন নিরাপদে ফিরে আসতে পারে। পর্বতারোহণ থেকে তরুণ সমাজের অনেক কিছু শিক্ষণীয় আছে। এর ফলে সাহস, প্রকৃতির প্রতি মনোভাব, চারিত্রিক শুদ্ধতা, মানসিক দৃঢ়তা ও শারীরিক সক্ষমতার মতো গুণাবলি গড়ে ওঠে।

অর্থনীতিবিদ হোসেন জিল্লুর বলেন, আমরা যে বাংলাদেশকে নিয়ে এগুবার চেষ্টা করছি, মধ্যম আয়ের স্বপ্ন দেখছি, সেই স্বপ্নের মধ্যে শুধুমাত্র কিছু অর্থনীতি সূচক ও অবকাঠামোর সূচক চিন্তা না করে এই চিন্তাও করছি যে, মধ্যম আয় বা উন্নত বাংলাদেশ যখন হব, সেই বাংলাদেশের চেহারা আসলে কেমন হবে? এর মধ্যে বাড়তি কিছু জিনিস চিন্তা করি, যেমন সমাজের মূল্যবোধের বিষয় থাকবে, যার মধ্যে ‘হেলদি বাংলাদেশ’বলে উদ্যোগ নিয়েছি। আমি ফিট, তাহলে দেশ ফিট হবে।

আরকে/ডব্লিউএন


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি