‘এমন কোনো গুণ নেই যা তাঁদের মধ্যে নেই’
প্রকাশিত : ২৩:০৪, ২৯ আগস্ট ২০১৯ | আপডেট: ১০:৫৯, ৩১ আগস্ট ২০১৯
সাবেক দুই অর্থমন্ত্রী এম সাইদুজ্জামান ও আবুল মাল আবদুল মুহিত, দুইজনই সজ্জন ও সত্যবাদী। প্রখর স্মৃতিশক্তি। পালন করেছেন অর্থ মন্ত্রণালয়ের গুরু দায়িত্ব। অবদান রেখেছেন, সাহিত্য-সাংস্কৃতিক কাজেও।
একজন ছিলেন সরকারি কর্মচারী অন্য বাংলাদেশের পরিবেশ আন্দোলনের কর্মী। তারা ছিলেন, মানবিক, কর্মবীর, পরিশ্রমী এবং সর্বোপরি চলন্ত ইতিহাস।
আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর হোটের সোনারগাঁও এই দুই সাবেক অর্থমন্ত্রীকে গুণীজন সংবর্ধনা প্রদান অনুষ্ঠানে এভাবেই তাদের বর্ণনা তুলে ধরলেন সহকর্মী, বন্ধু ও স্বজন এবং বিশিষ্ট জনেরা। বিআরডিএস-বর্নিকবার্তা যৌথ উদ্যোগে এই সম্মাননা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে সাবেক দুই অর্থমন্ত্রীর আত্মজীবনীর স্মৃতিময় কর্মজীবন প্রকাশ করা হয়।
বিআইডিএসের জ্যেষ্ঠ গবেষণা ফেলো নাজনীন আহমেদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশী, বর্তমান অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান, মুহিতের ভাই পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন, পিকেএসএফ চেয়ারম্যান কাজী খলীকুজ্জামান আহমদ, প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা মসিউর রহমান ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আনিসুজ্জামান, সংসদ সদস্য রাশেদ খান মেনন, আওয়ামী লীগ প্রেসিডিয়াম সদস্য মতিয়া চৌধুরী, বিআইডিএসের মহাপরিচালক কে এ এস মুরশিদ, বণিকবার্তা সম্পাদক দেওয়ান হানিফ মাহমুদ বক্তব্য দেন।
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, আমরা যাঁরা রাজনীতি করি, অনেক সময় কথা বলতে চাই না। কিন্তু তিনি সত্য কথাটা বলে ফেলেন। এমন কোনো গুণ নেই, যা তাঁর মধ্যে নেই। তাঁর মতো সামাজিক সম্পর্ক বজায় রাখা মানুষ জীবনে আমি কম দেখেছি।
প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান বলেন, দুইজনই আমার বড় ভাই। তাদের দুজনেরই কর্মজীবন প্রায় সমান। একই ক্লাসের ছাত্রও ছিলেন। অবশ্য অসুস্থ থাকায় তাঁর এক বছর পরে আমি সম্মান পরীক্ষা পাস করেছিলেন।
আওয়ামী লীগ প্রেসিডিয়াম সদস্য মতিয়া চৌধুরী বলেন, আবুল মাল আবদুল মুহিত লেখক হিসেবে সাহিত্যের জায়গা থেকে আলোকিত করছেন, সাহিত্যের জায়গাটি সমৃদ্ধ করছেন-এটাই বড় পাওয়া।
আরও পড়ুন