এরশাদের কবর নিয়ে প্রেসিডিয়াম বৈঠকে আলোচনা
প্রকাশিত : ১১:৪৫, ৪ জুলাই ২০১৯
জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম বৈঠকে এরশাদের শারীরিক অবস্থা ও তিনি মারা গেলে তার কবর কোথায় দেওয়া হবে এ নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে।
গতকাল বুধবার বিকালে অনুষ্ঠিত এ সভায় দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জিএম কাদের সভাপতিত্ব করেন।
এ সময় তিনি জানান, সিএমএইচে এরশাদের চিকিত্সকরাই সিঙ্গাপুরে যোগাযোগ করেছেন। সিঙ্গাপুর থেকে চিকিত্সককে ঢাকায় আনার বিষয়েও কথা হচ্ছে।
দলীয় নেতাদের জিএম কাদের এও জানান, সিএমএইচের চিকিত্সায় এরশাদের পরিবার সন্তুষ্ট। তারপরেও যদি চিকিত্সকরা মনে করেন তাকে বিদেশে নেওয়া প্রয়োজন, সেক্ষেত্রে তাকে সিঙ্গাপুরে নেওয়া হবে। দলীয় নেতারাও এতে সায় দিয়ে বলেছেন, তারা সবাই এর জন্য প্রয়োজনীয় অর্থের যোগান দেবেন।
যৌথসভা শেষে জাপার একাধিক প্রেসিডিয়াম সদস্য এসব তথ্য জানায়।
এছাড়া এরশাদের জন্য আগামীকাল শুক্রবার সারাদেশে মসজিদে দোয়া এবং মন্দির-গির্জায় প্রার্থনা করার সিদ্ধান্ত হয়েছে সভায়।
এছাড়া এরশাদ মারা গেলে তাকে কোথায় দাফন করা হবে, গতকালের এই সভায় এ নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা হয়। কেউ কেউ সামরিক কবরস্থানের কথা বলেছেন। কেউ বলেছেন নিজস্ব অর্থে জায়গা কিনে সেখানে সমাহিত করার জন্য। জাপার প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদ কবরের জন্য সাভারে জমি দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছেন। প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী মামুন কবরের জমি কিনতে অর্থ সহযোগিতা দেওয়ার কথা বলেন।
এরআগে রাজধানী ও আশপাশের এলাকায় কবর খোঁজার জন্য ঘনিষ্ঠ কয়েকজনকে পরামর্শ দিয়েছিলেন এরশাদ। এ নিয়ে তারা কবরের জন্য একাধিক সম্ভাব্য স্থান সরেজমিনে দেখেছেন।
ওই সময় কবরের সন্ধানে যাওয়া কয়েকজন জানান, এরশাদের ইচ্ছা মৃত্যুর পর যেন ঢাকায় তাকে সমাহিত করা হয়। সেক্ষেত্রে কবরের কাছে যেন মসজিদ, মাদ্রাসা থাকে। এ রকম উপযুক্ত স্থান পাওয়া না গেলে রংপুরে সমাহিত করার কথা জানিয়ে রেখেছেন তিনি।
ওই সময় জানা গিয়েছিল, এরশাদের ইচ্ছা অনুযায়ী ইতিমধ্যে বনানী কবরস্থানে স্থায়ী জায়গা কেনার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। বিকল্প হিসেবে রাজধানীর বারিধারায় আমেরিকান সেন্টারের কয়েকশ গজ উত্তরে একটি মাদ্রাসা ও এতিম খানার কাছে জায়গা দেখা হয়েছে। এছাড়া পূর্বাচলের কাছেও একটি জায়গা দেখে এসেছেন সংশ্লিষ্টরা। তবে কোনোটিই চূড়ান্ত হয়েছিল না।
উল্লেখ্য, এর আগে জাতীয় পার্টি (জাপা) চেয়ারম্যান এরশাদ বেশ কিছুদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন। পরে কয়েকদিন আগে তিনি সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে ভর্তি হন।
এনএম//
আরও পড়ুন