এলএনজি যুগে প্রবেশ করলো দেশ
প্রকাশিত : ১৭:২৯, ১৮ আগস্ট ২০১৮
জাতীয় গ্রিডে এলএনজির সরবরাহ শুরুর মধ্যে দিয়ে এলএনজির যুগে প্রবেশ করলো দেশ।বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, তীব্র গ্যাস-সংকটের সমাধানে এই গ্যাস দেশবাসী ও শিল্প-কারখানা মালিকদের আশার বাণী শোনাবে।
আজ শনিবার সকালে কর্ণফুলী গ্যাস কোম্পানির পাইপলাইনে আনুষ্ঠানিকভাবে এলএনজি সরবরাহ শুরু হয়।
জানা গেছে,‘প্রতিদিন ২৮৩ কোটি ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করে রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা পেট্রোবাংলা।দেশে গ্যাসের চাহিদা এর চেয়ে অনেক বেশি।গ্যাসের অভাবে দেশের শিল্প-কারখানা পুরোদমে উৎপাদনে যেতে পারছে না।
সারাদেশে সাড়ে ৩ হাজারের বেশি শিল্প-কারখানায় গ্যাস সংযোগের অনুমতি দিয়েও সংকটের কারণে গ্যাস দিতে পারছে না সরকার। এই সংকট সমাধানকল্পে সরকার এলএনজি আমদানির পরিকল্পনা করেছে।
পেট্রোবাংলা সূত্রে জানা গেছে, এলএনজি দিয়ে চট্টগ্রামের চাহিদা মিটে গেলে দেশের অন্যান্য স্থানে গ্যাসের চাপ বেড়ে যাবে। বিশেষ করে সিলেট হবিগঞ্জ এলাকায় গ্যাস উদ্বৃত্ত থাকবে।
এই গ্যাস বিক্রি করার মতো এখন পর্যাপ্ত শিল্প-গ্রাহক নেই।যারা আছেন তাদের আঙ্গিনায় গ্যাস পৌঁছে দেওয়ার মতো সঞ্চালন লাইনও নেই।
দীর্ঘদিন ধরে এই সঞ্চালন লাইন নির্মাণ বন্ধ রয়েছে। পেট্রোবাংলার শীর্ষ কর্মকর্তাদের বক্তব্য, সরকারকে দ্রুত সময়ের মধ্যে সঞ্চালন লাইন নির্মাণের অনুমতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
এলএনজি প্রকল্পের দায়িত্বে নিয়োজিত আরপিজিসিএলের এক কর্মকর্তা জানান, ‘টার্মিনালটি থেকে প্রতিদিন ৫০কোটি ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করা হবে।১৫ বছরের চুক্তির আওতায় এলএনজি রিগ্যাসিফিকেশন করে এই গ্যাস সরবরাহ করবে এক্সিলারেট এনার্জি। এলএনজি আমদানির দায়িত্ব পেট্রোবাংলার।
প্রাথমিক অবস্থায় ২৫ থেকে ৩০ কোটি ঘনফুট গ্যাস নেওয়া হবে।অক্টোবরের পর নতুন আরেকটি পাইপলাইন বসলে ৫০ কোটি ঘনফুট গ্যাস পাওয়া যাবে।
কেআই/
আরও পড়ুন