ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪

এশিয়ান ইউনিভার্সিটিতে গুণিজন সংবর্ধনা

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ২০:৩৩, ৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ | আপডেট: ১৬:৪২, ৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৩

এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ জাতীয় গ্রন্থাগার দিবস-২০২৩ উপলক্ষে গুণিজন সংবর্ধনা ও বই মেলার আয়োজন করেছে। একুশে টেলিভিশনের সিনিয়র রিপোর্টার আউয়াল চৌধুরীসহ ১১জনকে এ সম্মাননা প্রদান করা হয়।

বুধবার (৮ ফেব্রুয়ারি) প্রতিষ্ঠানটির আশুলিয়াস্থ নিজস্ব ক্যাম্পাসে এ অনুষ্ঠান হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ইমিরেটাস প্রফেসর ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ।

এইউবি এর লাইব্রেরিয়ান রাবেয়া আক্তার ‘জাতীয় গ্রন্থাগার দিবস’ অনুষ্ঠানের সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করেন।  

সকাল ১০টা থেকে শুরু হওয়া অনুষ্ঠানে শুরুতে ডা. এবিএম আবদুল্লাহ মেলার স্টলগুলি পরিদর্শন করেন। এরপর প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রীদের সাংস্কৃতিক পরিবেশনা অনুষ্ঠিত হয়। বিভিন্ন শিল্পীরা গান এবং যাদু পরিবেশন করেন।

অনুষ্ঠানে এবিএম আবদুল্লাহ বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এক সময় ডিজিটাল বাংলাদেশের ঘোষণা দিয়েছিলেন। তখন অনেকে বুঝতে পারেননি ডিজিটাল বিষয়টা সম্পর্কে। পরবর্তীতে মানুষ এর সুফল পাওয়ার মাধ্যমে বুঝতে পেরেছেন ডিজিটালের প্রকৃত অর্থ। এখন তিনি ঘোষণা দিয়েছেন স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার। এই স্মার্ট দেশ গড়তে হলে আমাদের স্মার্ট লাইব্রেরি গড়ে তুলতে হবে। আলোকিত মানুষ তৈরি করতে স্মার্ট লাইব্রেরির বিকল্প নেই।’

অনুষ্ঠানে লাইব্রেরিয়ান রাবেয়া আক্তার বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘোষিত স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে হলে আমাদের শিক্ষা ব‍্যবস্থাকে স্মার্ট করতে হবে। স্মার্ট লাইব্রেরি গড়ে তুলতে হবে। তাহলেই স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলা সম্ভব হবে। সমাজকে আলোকিত করতে আলোকিত মানুষদের আমরা এ জন্য সম্মাননা দিচ্ছি। যাতে সবাই বইমুখি হয় এবং স্মার্ট দেশ গড়ে তোলে। আমরা এখানে বই মেলার আয়োজন করেছি। আগামী ১০ তারিখ পর্যন্ত ক্যাম্পাসে মেলা চলবে।’ 

তিনি আরও বলেন, যাদেরকে সংবর্ধনা দিয়েছি তারা হলেন ভবিষ্যতের আলোকবর্তিকা। তারা মানুষকে বইমুখি, গ্রন্থাগার মুখি করার জন্য যে অবদান রেখেছেন সে জন্য তাদেরকে সম্মান জানানো হয়েছে। ভবিষ্যতে আরও মানুষকে দেওয়া হবে। যাতে মানুষ উৎসাহিত হয়। এছাড়া আমরা নিয়মিত বৃক্ষ রোপন করে থাকি, দুস্থদের মাঝে খাবার বিতরণ করি। সামনের শুক্রবারও দেবো। রক্তদান কর্মসূচি পালন করি, হারিয়ে যাওয়া বাংলা খাবার ধরে রাখার জন্য এখানে পিঠা উৎসব করছি। 

অনুষ্ঠানে ১১ জন বিশেষ ব্যক্তিকে গুণিজন সংবর্ধনা দেয়া হয়। এসব ব্যক্তিরা সমাজে বিভিন্ন জায়গায় মানুষকে বই মুখি করতে এবং সমাজ পরিবর্তনে লাইব্রেরি প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে ভুমিকা পালন করছেন। 

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ এর প্রতিষ্ঠাতা ড. আবুল হাসান মুহাম্মদ সাদেক, উপাচার্য প্রফেসর ড. শাহাজান খান, কোষাধ্যক্ষ প্রফেসর ড. নুরুল ইসলাম, পাঠাগার আন্দোলন বাংলাদেশ এর ট্রাস্টি, বাংলাদেশ বেসরকারি গ্রন্থাগার পরিষদ এর সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মালিক খসরু পিপিএম, উপস্থাপনায় ছিলেন ডক্টর ঈসা মোহাম্মদ ও প্রফেসর ড. শিরিন আক্তার।  

এসি

 


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি