ঢাকা, বুধবার   ০৯ অক্টোবর ২০২৪

এস আলমের দুই প্রতিষ্ঠানের বিআইএন লক, হিসাব জব্দ

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১০:৫৪, ৯ অক্টোবর ২০২৪

নানা কেলেঙ্কারিতে ব্যাপক আলোচিত ও সমালোচিত শিল্পগোষ্ঠী এস আলম গ্রুপের দুটি প্রতিষ্ঠানের সুদসহ প্রায় সাত হাজার ৭১ কোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকির বিষয়টি সামনে এসেছে। ফাঁকি দেওয়া টাকা উদ্ধারে প্রতিষ্ঠান দুটির বিজনেস আইডেন্টিফিকেশন নম্বর (বিআইএন) লক (স্থগিত) করা হয়েছে। এছাড়া প্রতিষ্ঠান দুটির ব্যাংক হিসাবও ফ্রিজ (অপ্রচলনযোগ্য) করা হয়েছে।  চট্টগ্রাম ভ্যাট কমিশনারেটের অধীন পটিয়া ভ্যাট বিভাগ থেকে এরই মধ্যে দেশের ৫৭টি ব্যাংকে এ সংক্রান্ত চিঠি দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।

গতকাল মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) এ সংক্রান্ত চিঠি দেওয়া হয়েছে বলে এনবিআরের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা নিশ্চিত করেছেন।

প্রতিষ্ঠান দুটি হলো— এস আলম ভেজিটেবল অয়েল লিমিটেড ও এস আলম সুপার এডিবল অয়েল লিমিটেড।

মূসক আইনের ধারা ৯৫ অনুযায়ী, কোনো প্রতিষ্ঠান বকেয়া রাজস্ব পরিশোধ না করলে সহযোগী প্রতিষ্ঠানেরও বিআইএন লক করা যায়। এস আলমের ওই দুই প্রতিষ্ঠান বকেয়া সাত হাজার কোটি টাকা পরিশোধ করেনি। 

এদিকে, গ্রুপটির সহযোগী নয়টি প্রতিষ্ঠানের আরও এক হাজার ৪১২ কোটি ৬৯ লাখ টাকা রাজস্ব ফাঁকি উদ্ঘাটন ও দাবিনামা জারি করা হয়েছে বলেও একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে। 

এনবিআর সূত্র জানায়, গত ৯ জুন চট্টগ্রাম ভ্যাট কমিশনারেট ওই দুই প্রতিষ্ঠানকে পরবর্তী ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে ফাঁকি দেওয়া তিন হাজার ৫৩৯ কোটি ৩১ লাখ টাকা ভ্যাট, তিন হাজার ৫৩১ কোটি ৮১ লাখ টাকা জরিমানা এবং এর ওপর প্রযোজ্য সুদের টাকা রাষ্ট্রীয় কোষাগারে পরিশোধের নির্দেশ দেয়। কিন্তু প্রতিষ্ঠান দুটি তা পরিশোধ করেনি। তাগাদা দেওয়া হলেও ভ্যাট পরিশোধের কোনো উদ্যোগ দেখা যায়নি। ফলে প্রতিষ্ঠান দুটির বিআইএন লক ও ব্যাংক হিসাব জব্দ করা হয়েছে। 

চট্টগ্রাম কমিশনারেট সূত্রে জানা যায়, বকেয়া রাজস্ব পরিশোধ না করা হলে আইন অনুযায়ী গ্রুপের সহযোগী প্রতিষ্ঠানের বিআইএন লক করার বিধান রয়েছে। ফলে এস আলম গ্রুপের ওই দুটি প্রতিষ্ঠানের ফাঁকি দেওয়া রাজস্ব পরিশোধ না করা হলে সহযোগী নয়টি প্রতিষ্ঠানেরও বিআইএন লক করা হবে। ইতোমধ্যে নয়টি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে এক হাজার ৪১২ কোটি ৬৯ লাখ টাকা রাজস্ব ফাঁকি উদ্ঘাটন ও দাবিনামা জারি করা হয়েছে।

এ বিষয়ে নাম প্রকাশ না করার শর্তে ভ্যাট বিভাগের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, মূসক আইনের ধারা ৯৫ অনুযায়ী, কোনো প্রতিষ্ঠান বকেয়া রাজস্ব পরিশোধ না করলে সহযোগী প্রতিষ্ঠানেরও বিআইএন লক করা যায়। এস আলমের ওই দুই প্রতিষ্ঠান বকেয়া সাত হাজার কোটি টাকা পরিশোধ করেনি। ফলে আইন অনুযায়ী বকেয়া আদায়ে সহযোগী প্রতিষ্ঠানগুলোর বিআইএন লক করার সুযোগ রয়েছে। প্রয়োজনে আমরা ওই পদক্ষেপে যাব।

এসএস//


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি