এস আলমের ৫ হাজার ১০৯ কোটি টাকার শেয়ার অবরুদ্ধের আদেশ
প্রকাশিত : ১১:০১, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
![](https://www.ekushey-tv.com/media/imgAll/2020June/S-Alam-2502130501.jpg)
আলোচিত ব্যবসায়ী মো. সাইফুল আলম মাসুদ (এস আলম) ও তার পরিবারের সদস্যদের ৪২টি কোম্পানির পাঁচ হাজার ১০৯ কোটি টাকার শেয়ার অবরুদ্ধ করার আদেশ দিয়েছেন আদালত।
বুধবার দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ জাকির হোসেন গালিব এ আদেশ দেন।
দুদকের সহকারী পরিচালক আমিনুল ইসলাম বলেন, দুদক তার পরিবারের এসব শেয়ার জব্দের আবেদন করে। পরে আদালত শুনানি শেষে আবেদন মঞ্জুর করে আদেশ দেন।
আবেদনে বলা হয়, এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাইফুল আলম ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে সিঙ্গাপুর, ব্রিটিশ ভার্জিন আইল্যান্ড, সাইপ্রাস ও অন্যান্য দেশে এক বিলিয়ন ডলার পাচারের অভিযোগ অনুসন্ধানকালে তার ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে যৌথ মূলধন কোম্পানি ও ফার্মগুলোর ৪৩৭ কোটি ৮৫ লাখ দুই হাজার ২৭৪টি শেয়ারের মালিকানার তথ্য পাওয়া যায়।
অনুসন্ধানকালে জানা যায়, এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাইফুল আলম ও তার পরিবারের সদস্যদের মালিকানাধীন উল্লিখিত বিভিন্ন কোম্পানির ৪৩৭ কোটি ৮৫ লাখ দুই হাজার ২৭৪টি শেয়ার, যার মূল্য পাঁচ হাজার ১০৯ কোটি ৬৭ লাখ ৯৬ হাজার ২৬০ টাকা হস্তান্তরের চেষ্টা করছেন।
যা করতে পারলে অত্র অনুসন্ধানের ধারাবাহিকতায় মামলা রুজু, আদালতে চার্জশিট দাখিল, আদালত থেকে বিচার শেষে সাজার অংশ হিসেবে অপরাধলব্ধ আয় হতে অর্জিত সম্পত্তি সরকারের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করাসহ সব উদ্দেশ্যই ব্যর্থ হবে।
তাই, অত্র অনুসন্ধান শেষে মামলা রুজু ও মামলা তদন্ত সম্পন্ন করে আদালতে চার্জশিট দাখিলের পর আদালতের বিচার শেষে সরকারের অনুকূলে সম্পত্তি বাজেয়াপ্তির সুবিধার্থে ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার স্বার্থে উল্লিখিত শেয়ারগুলো এবং শেয়ারগুলো থেকে উদ্ভূত সব মুনাফা ও আয় অবরুদ্ধ করা একান্ত প্রয়োজন।
এর আগে গত ১৬ জানুয়ারি আলোচিত ব্যবসায়ী মো. সাইফুল আলম (এস আলম) ও তার পরিবারের সদস্যদের তিন হাজার ৫৬৩ কোটি ৮৪ লাখ ২১ হাজার টাকার শেয়ার অবরুদ্ধ করার আদেশ দেন আদালত।
ছাত্র-জনতার আন্দোলনে সরকার পতনের পর ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের সুবিধাভোগী হিসেবে পরিচিতি পাওয়া শিল্পগোষ্ঠী এস আলম গ্রুপের বিভিন্ন অনিয়ম সামনে আসে।
চট্টগ্রামভিত্তিক এ গ্রুপের চেয়ারম্যান এস আলমের বিরুদ্ধে ব্যাংক খাতে অনিয়ম, টাকা পাচার, আয়কর ফাঁকির অভিযোগ তদন্ত শুরু করে সরকারের বিভিন্ন সংস্থা। দুদকও ‘অবৈধ সম্পদ’ অর্জনসহ বিভিন্ন অভিযোগ অনুসন্ধানে নামে।
এরইমধ্যে এস আলম ও তার পরিবারের সদস্যদের ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করা হয়েছে। তাদের বিও অ্যাকাউন্ট অবরুদ্ধ করে শেয়ার লেনদেনও স্থগিত করা হয়েছে।
এর মধ্যে গত ২৯ অগাস্ট এস আলমসহ সাত আলোচিত ব্যবসায়ী গোষ্ঠীর মালিকানা হস্তান্তর স্থগিতের অনুরোধ জানিয়ে যৌথমূলধনী কোম্পানি ও ফার্মগুলোর পরিদপ্তরকে চিঠি দেয় জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
গত ৩১ আগস্ট সিআইডির ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিট জানায়, এস আলম, তার স্ত্রী ফারজানা পারভীন এবং তাদের ছেলে আহসানুল আলম ও আশরাফুল আলমের বিরুদ্ধে প্রাথমিকভাবে এক লাখ ১৩ হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচারের তথ্য মিলেছে।
এএইচ
আরও পড়ুন